ফেব্রুয়ারিতে সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের যাতায়াত উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করবে সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোট।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর পল্টনের ইকোনমিক রিপোটার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়টি জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা উন্নয়ন জোটের সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটনকে ঘিরে সরকার নানান বিধি-নিষেধ দিয়েছে। এতে দেশের পর্যটন খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং স্থানীয় অধিবাসীদের জীবন-জীবিকা অচল ও হুমকির মুখে পড়েছে। সেন্টমার্টিনে ১০ হাজারের বেশি মানুষ বাস করে। যারা সম্পূর্ণভাবে পর্যটন ব্যবসার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু সরকার সেন্টমার্টিন ভ্রমণে নানান বিধি-নিষেধ দেওয়ার ফলে সেখানকার স্থানীয় অধিবাসীসহ পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত লাখো মানুষের জীবন ও জীবিকা মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। 

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দ্বীপের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার পথে। সরকার সিদ্ধান্ত দেয় যে নভেম্বর ২০২৪-এ পর্যটকরা যেতে পারবে কিন্তু রাত্রিযাপন করতে পারবে না, ডিসেম্বর ২০২৪ ও জানুয়ারি ২০২৫-এ দুই হাজার জন পর্যটক যেতে পারবে ও রাত্রী যাপন করতে পারবে এবং ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ কোনো পর্যটক সেন্টমার্টিন যেতে পারবে না। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে পর্যটন ব্যবসায়ী ও দ্বীপের বাসিন্দারা নিদারুণ অর্থকষ্টে, অর্ধাহারে ও অনাহারে দিনাতিপাত করছেন। ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এমতাবস্থায় আগামী ফেব্রুয়ারিতে সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের যাতায়াত উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবিতে সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোট সাংবাদিক সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন সেন্টমার্টিনস দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোট-এর চেয়ারম্যান শিবলুল আজম কোরেশি। উপস্থিত থাকবেন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব), সেন্টমার্টিনস দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোট, ই-ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ট্যাব), ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা, সেন্টমার্টিন হোটেল মালিক সমিতি, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সেন্টমার্টিন, সেন্টমার্টিন দোকান মালিক সমিতি, বোট মালিক সমবায় সমিতি, মৎস্যজীবী মালিক সমিতি, বাংলাদেশ স্লিপার এসি বাস মালিক সমিতি, জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি-ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশসহ (স্কুয়াব) পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

এএসএস/জেডএস