২ কোটি ৮১ লাখ ২ হাজার ১০৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২ কোটি ৫৬ লাখ ৭১ হাজার ৯৪৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের নামে অভিযোগপত্র বা চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিকানার প্রমাণ পাওয়ায় ২০২২ সালের ২১ জুন তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল দুদক।

আজ (মঙ্গলবার) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৭ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ প্রদর্শন করেছেন। তবে তদন্তকালে দেখা গেছে আসামি ২ কোটি ৫৬ লাখ ৭১ হাজার ৯৪৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ ছাড়া আসামি ২ কোটি ৮১ লাখ ২ হাজার ১০৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

আসামি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে চাকরিকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এই অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।  

প্রতিবেদন সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর আবদুল্লাহ আল মামুন দুদকে সম্পদবিবরণী দাখিল করেন। দাখিলকৃত সম্পদের হিসাবে ২০০২-২০০৩ থেকে ২০২১-২০২২ করবর্ষ পর্যন্ত হিসাবের বর্ণনা দেওয়া রয়েছে। যেখানে তিনি ২ কোটি ৯২ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ টাকার স্থাবর সম্পত্তির বর্ণনা দিয়েছেন। আর অস্থাবর সম্পদ হলো ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬৪ হাজার ৭৫০ টাকা। সব মিলিয়ে ১৮ বছরে তিনি মোট ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৪১ হাজার ২৫৩ টাকার সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন। ওই সময়ে কর পরিশোধ ও পারিবারিক খরচ বাবদ ৫৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৯৫ টাকা বাদ দিয়ে তার নীট আয় দেখিয়েছেন ৪ কোটি ৭৮ লাখ ৩৬ হাজার ১২৪ টাকা। ২০০৬ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ক্রয়কৃত কিছু জমিসহ ৬টি ফ্ল্যাট ক্রয়বাবদ ২ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং নগদ ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ দেখিয়ে ২০২০-২০২১ করবর্ষে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর ১৯ AAAAA ধারা অনুযায়ী বৈধ করেছেন। সেখানে তিনি ফ্ল্যাটে বর্গমিটার অনুযায়ী কর পরিশোধ করেছেন। সবমিলিয়ে ৩ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বৈধ করেছেন বলে জানা গেছে।

আরএম/এনএফ