প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

প্রথম আলো

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মৃত্যু: লাশ পেতে আর কত ভোগান্তি

হলুদ জার্সি, লুঙ্গি আর জুতা পায়ে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন আবুল হোসেন। ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আবুল হোসেনের সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা জানিয়েছিলেন, আবুল হোসেনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভ্যানে তোলা হয়েছে। তার পর থেকে বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গ, কারাগার, এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে আবুল হোসেনকে খোঁজেননি তাঁর স্ত্রী লাকী আক্তার।

প্রথম আলোকে লাকী আক্তার বলেন, ‘প্রথমে ভাবছিলাম স্বামী বাঁইচ্যা আছে। তবে ঘটনার প্রায় ২৫ দিন পর আশুলিয়া থানার সামনে ভ্যানে লাশের একটা ভিডিও ভাইরাল হয়। ভ্যানে লাশের স্তূপে হলুদ জার্সি পরা একজনকে দেখি। আমি তো দেইখ্যাই চিন্না ফালাইছি। সেই দিন তো এই জার্সি গায়ে দিয়াই বাইর হইছিল।’

বণিক বার্তা

বাংলাদেশের বোরো উৎপাদন প্রত্যাশিত না হলে আঞ্চলিক খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং গৃহযুদ্ধের অভিঘাতে ব্যাহত হচ্ছে মিয়ানমারের শস্য উৎপাদন। বিশেষ করে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের খাদ্য সংকট পরিস্থিতি এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, যা সামনের দিনগুলোয় আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এক পূর্বাভাসে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে আগামী মার্চ-এপ্রিল নাগাদ রাখাইনের স্থানীয় উৎপাদন নেমে আসতে পারে সেখানকার মোট চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশে। বছরের মাঝামাঝি এ পরিস্থিতি দুর্ভিক্ষের রূপ ধারণ করতে পারে। এ অবস্থায় সেখানে বেড়ে যেতে পারে খাদ্যশস্যের কালোবাজারি। সেক্ষেত্রে রাখাইনে খাদ্য সংকটের ধাক্কা প্রতিবেশী বাংলাদেশের খাদ্য ঘাটতিতে থাকা কক্সবাজারসহ চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোয়ও এসে পড়তে পারে।

কালের কণ্ঠ

এজেন্সির লোভে টিকিট দুর্মূল্য

অতিমুনাফালোভী কিছু ট্রাভেল এজেন্টের লোভের মাশুল গুনছে প্রবাসীসহ সাধারণ বিমান যাত্রীরা। এই চক্রের সিন্ডিকেটের কবজায় বিমানের টিকিট বাণিজ্য। তারা এয়ারলাইনসগুলোর টিকিট আগাম ব্লক করে নিজেদের জিম্মায় রেখে পরে ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছে। ফলে বিদেশগামী বিমানের যাত্রীদের স্বাভাবিক ভাড়ার তিন গুণ পর্যন্ত বেশি টাকা দিয়ে টিকিট কিনতে হচ্ছে। যাত্রী, কর্মী ও ট্রাভেল এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

সমকাল

উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে গরিবের সুরক্ষায় ভাটা

দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে নিম্ন আয়ের মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্য বিতরণ বাড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও অর্থের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। এর কারণ, সরকারের রাজস্ব আয় কমে গেছে। সামগ্রিক আয় ও ব্যয়ের মধ্যে বড় ঘাটতি রয়েছে। ঋণ পরিশোধে অনেক বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমান আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা বাড়ানো প্রয়োজন। এ জন্যই খাদ্য মন্ত্রণালয় এই খাতে ভর্তুকি বাবদ বাড়তি অর্থ বরাদ্দ চেয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সরকারের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ঘাটতি অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় বেশি। এসব ক্ষেত্রে বাড়তি অর্থের তেমন সংস্থান করা যাচ্ছে না। খাদ্য সহায়তার জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রেখেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ কারণে বেশ কিছুদিন বন্ধ বা আংশিক চালু থাকার পর সামাজিক সুরক্ষার আওতায় কয়েকটি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উপকারভোগীর তালিকা হালনাগাদ করে ফের চালু করা হচ্ছে।

ইত্তেফাক

বাজার থেকে আবার উধাও সয়াবিন তেল

বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেল সয়াবিন, পাম অয়েলের বাজার স্থিতিশীল। দেশেও যে পরিমাণে সয়াবিন, পাম অয়েল আমদানির পাশাপাশি পাইপ লাইনে রয়েছে তাতে আসন্ন রমজানে সংকট হওয়ার কথা নয়। কিন্তু রমজানের এক মাস আগেই ব্যবসায়ীরা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর সেই পুরোনো পথে হাঁটছেন।

যুগান্তর

ফিরবে পাচারের অর্থ

গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আমলে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে সরকার এবার তিনটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও সুইজারল্যান্ডের পৃথক এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিগগির এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় অফিশিয়াল প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হবে। এ সংক্রান্ত নথি বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। চুক্তি সম্পন্ন হলে উদ্ধারকৃত অর্থের ১০ ভাগ কমিশন হিসাবে পাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক সফলতার নজির রয়েছে। বিশ্বজুড়ে রয়েছে তাদের শাখা অফিসের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক।

বণিক বার্তা

বোরো মৌসুমের আগে কৃষিঋণ বিতরণ কমেছে ১৪ শতাংশের বেশি

দুটি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমনের উৎপাদন। বোরোয় এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার প্রত্যাশা করছিলেন সংশ্লিষ্টরা। এজন্য কৃষি খাতে সহজ শর্তে সুলভ ঋণের প্রবাহ বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া হচ্ছিল বেশি। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বোরো মৌসুমের আগে দেশের কৃষি খাতে ঋণের প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) দেশের কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ কমেছে ১৪ শতাংশের বেশি।

প্রথম আলো

শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ক্যাডার থেকে আলাদা করার সুপারিশ

বিসিএস শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ক্যাডারভুক্ত না রেখে জুডিশিয়াল সার্ভিসের মতো আলাদা করার সুপারিশ করছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। আর প্রশাসন ক্যাডারের জন্য বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তে এমন একটি সার্ভিস করা হচ্ছে, যেখানে তাদের পদগুলো মাঠ প্রশাসনে সীমাবদ্ধ থাকবে।

তবে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা এবং অন্যান্য ক্যাডার ও নন–ক্যাডার কর্মকর্তারা পরীক্ষার মাধ্যমে উপসচিব হওয়ার সুযোগ পাবেন। এ পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ এবং অন্য ক্যাডার, নন–ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ নেওয়া হবে। বর্তমানে উপসচিব পদে পরীক্ষা ছাড়াই প্রশাসন থেকে ৭৫ শতাংশ এবং অন্য ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ পদোন্নতি হয়।

সমকাল

যুক্তরাষ্ট্রসহ পাঁচ দেশ এখনও দেয়নি তথ্য

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংঘবদ্ধ হ্যাকার গ্রুপ যে ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সরিয়েছিল, তা পুরোপুরি উদ্ধারের কোনো কিনারা হয়নি। এই ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক মামলা করার পর তদন্তে নামে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ৯ বছর পার হলেও শেষ হয়নি তাদের তদন্ত। এটি ‘ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম’ হলেও এখনও সংশ্লিষ্ট পাঁচ দেশ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য পায়নি বাংলাদেশ। দেশগুলো হলো– যুক্তরাষ্ট্র, শ্রীলঙ্কা, বেলজিয়াম, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া।

চাঞ্চল্যকর এই রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তদন্ত শেষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে এসব দেশের সহযোগিতা জরুরি। যদিও এই মামলা ঘিরে নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় ভুল ধারায় মামলা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তদন্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৪ কর্মকর্তার নামও উঠে আসে। তারা সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় মামলাটি তদন্তের এখতিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। এটি দুদকের তপশিলভুক্ত অপরাধ। গত ৩১ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব চেয়ে সিআইডিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও সিআইডি থেকে উত্তর মেলেনি। এদিকে এই ঘটনায় বিদেশি ৭৬ নাগরিকের সংশ্লিষ্টতাও মিলেছে। 

বণিক বার্তা

সবজির দাম কমায় কিছুটা হ্রাস পেয়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি

বাজার ভরপুর শীতের সবজিতে। নাগালের মধ্যে দাম। এর ফলে জানুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ। আগের মাস অর্থাৎ ডিসেম্বরে ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চাঁদাবাজি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে সরকার সফল হলে মূল্যস্ফীতি আরো কমানো সম্ভব ছিল। তবে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি জানুয়ারিতে সামান্য বেড়ে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশে পৌঁছেছে, যা গত ডিসেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গতকাল প্রকাশিত ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এমনটা উঠে এসেছে।

যুগান্তর

মূল্যস্ফীতিতে আরও আঘাতের শঙ্কা

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭ দেশ ও চীনের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক আরোপের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বিশ্ব অর্থনীতিতে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পণ্যের ওপর চীন পালটা শুল্কারোপের ঘোষণা দেওয়ায় বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বাড়বে। ইইউভুক্ত দেশগুলোও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছে। সব মিলে পালটাপালটি এই বাণিজ্যযুদ্ধে বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির গতি কমবে, বাড়বে ডলারের দাম। এর প্রভাবে পণ্যের মূল্য বাড়বে। এসবের বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে দেশের অর্থনীতিতেও। বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ঘটলে এর প্রভাব থেকে বাংলাদেশও রক্ষা পাবে না। বিদেশ থেকে বছরে গড়ে সাড়ে ছয় হাজার কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করছে বাংলাদেশ। শুল্ক আরোপের ফলে বাড়তি মূল্যে পণ্য আমদানিতে ব্যয় বাড়বে। যা দেশের বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দেবে। এদিকে কানাডা ও মেক্সিকোর ওপরও নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু পরে তা এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে।

সমকাল

অপরাধ জগতে মেরূকরণ, হত্যা হামলা বেড়েছে খুলনায়

খুলনায় সন্ত্রাসীদের মেরূকরণ হয়েছে। দীর্ঘদিন পর এলাকায় ফিরে নতুন করে সংগঠিত হয়েছে সন্ত্রাসী পলাশ গ্রুপের সদস্যরা। পুরোনো সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবু, আশিক বাহিনীর অনুসারীদের মধ্যে প্রায়ই তাদের সংঘাত হচ্ছে। নগরীতে সশস্ত্র মহড়া, প্রকাশ্যে খুনের ঘটনাও বাড়ছে। মূলত এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, বিগত দিনে হামলা ও হত্যার প্রতিশোধ, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খুন-সংঘাত বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা সন্ত্রাসীদের অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) তথ্য বলছে, গেল নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে খুলনা মহানগরীতে ১০টি খুনের মামলা হয়েছে। বছরের শেষ ৬ মাসে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ২৩টি। অন্যদিকে ২০২৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে খুন হয়েছিল মাত্র একটি। শেষ ৬ মাসে হত্যা মামলা ছিল ১১টি। গত জানুয়ারি মাসেই দুটি হত্যা এবং ৬ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে জখম করা হয়েছে। 

এছাড়া এবার তৃণমূলে হাত বিএনপির; পূবালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান-এমডি আত্মসাৎ করেছেন হাজার কোটি টাকা; মূল্যস্ফীতিকে গুরুত্ব দিয়ে হচ্ছে মুদ্রানীতি; যুক্তরাজ্যের আদলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চায় বিএনপি; মোবাইল কোর্টে কারাদণ্ড দেওয়া যাবে না—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।