রাজধানীর চকবাজার থানার রহমতগঞ্জ মাঠ এলাকার একটি বাড়ির তৃতীয় তলায় ঢুকে মৌসুমী বেগম(৩৫) ও সেন্টু (২৫) নামে দুইজনকে ছুরিকাঘাত করেছে এক যুবক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক মোক্তার হোসেনকে (৩২) গণধোলাই দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।

আহত সেন্টু জানান, আমরা চকবাজার থানার রহমতগঞ্জ এলাকার মাঠের বড় গেটের একটি বাড়ির তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকি। হঠাৎ আমার পাশের বাসার ওই নারী চিৎকার দিয়ে ওঠে। পরে দেখতে পাই এক যুবক চুরি হাতে করে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। তখন আমি দাঁড়াতে বললে সে না দাঁড়ালে আমি তাকে ধরতে গেলে সেও আমাকে হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পরে আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে আমরা তাকে ধরে ফেলি। ওই যুবককে গণধোলাই দিয়ে ওই বাসায় আবার নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই আমাদের পাশের বাসার ভাবি মৌসুমী বেগমের পেটে ও পায়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে ওই যুবক। পরে তাদের আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।

সে আরও জানায়, অভিযুক্ত মুক্তার হোসেন তাদের আগে থেকেই পরিচিত। সে নাকি ওই বাসায় আগে থেকে যাতায়াত করত কিন্তু কেন সে ওই নারীকে পেটে ও পায়ে ছুরিকাঘাত করেছে সে বিষয়ে কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারছে না।

অভিযুক্ত মুক্তার হোসেন জানায়, মৌসুমী বেগম আমার আগে থেকে পরিচিত এবং তার দেবরের সঙ্গে পরিচয় থাকা সুবাদে ওই বাসায় আমার আগে থেকে যাওয়া আসা আছে। আমি বাসায় ঢুকতেই ভাবি চোর চোর বলে চিৎকার করে। এই কথা শোনার পর আমার মাথায় আর কোনো কাজ করেনি। পরে ওনাদের বাসায় থাকা ছুরি দিয়ে আমি ওই নারীর ওপর আঘাত করি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) হাসানুর রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এসেছি। অভিযুক্ত মুক্তার হোসেন আমাদের হেফাজতে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে মৌসুমী বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। অভিযুক্ত মুক্তার তাদের পূর্ব পরিচিত বলে জানতে পেরেছি, কি কারণে কেন সে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে এবং তার নামে আগের কোনো মামলা আছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এসএএ/এআইএস