রাজধানীর রামপুরার বনশ্রীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত লন্ড্রি ব্যবসায়ী মো. মোসলেহ উদ্দিনের (৩৫) মরদেহ মৃত্যুর ২০৪ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পূর্ব রামপুরার কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করে বিকেলে দিকে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নিহতের স্ত্রী নাসরিন আক্তার বলেন, আমার স্বামী লন্ড্রির দোকান ছিল। গত ১৯ জুলাই দুপুরের দিকে বাসায় ফেরার পথে বনশ্রী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। তখন আমরা হাসপাতাল থেকে মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে নিয়ে দাফন করেছিলাম। পরে এ বিষয়ে রামপুরা থানায় মামলা হলে আজ দুপুরের দিকে আদালতের নির্দেশে পুলিশ এসে পূর্ব রামপুরার কবরস্থান থেকে আমার স্বামীর লাশ উঠিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, আমার ১০ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। গত ২২ দিন আগে আমার কন্যা সন্তান হয়েছে।

মো. মোসলেহ উদ্দিনে ভোলার লালমোহন উপজেলার গজারিয়া পাঙ্গাসিয়া গ্রামের আব্দুল হানিফের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে রামপুরার জাকের রোড এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পূর্ব জোনের পরিদর্শক মো. আমির হোসেন জানান, গত বছরে ১৯ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে রামপুরার বনশ্রীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মোসলেহ উদ্দিনের মৃত্যু হয়। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ দাফন করা হয়। এ বিষয়ে রামপুরা থানায় একটি মামলা হয়। মামলা তদন্তের স্বার্থে আদালতের আদেশে আমরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসিফ উদ্দিন মিয়ার নির্দেশে পূর্ব রামপুরার কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।

এসএএ/এসএসএইচ