বাংলাদেশে নারীদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ ৩৬.৩% থেকে বেড়ে ৪২.৬৭% হয়েছে। তবে মাঝারি ও উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্বের ক্ষেত্রে তাদের প্রতিনিধিত্ব এখনও আশঙ্কাজনকভাবে কম। এর কারণ সামাজিক রীতি, প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য এবং পারিবারিক দায়িত্বের কারণে কর্মজীবনে বিরতি। আর এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার লক্ষ্যে অক্সফাম ও ওয়াটারএইড যৌথভাবে শুরু করেছে ‘অনির্বাণ-রাইজ অ্যান্ড লিড’ কর্মসূচি।

এ কর্মসূচি ক্যারিয়ারে বিরতি নেওয়া নারীদের পুনরায় কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসার সুযোগ তৈরি করবে এবং নেতৃত্ব বিকাশে সহায়তা করবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এসময় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন খাতের প্রধান ব্যক্তিত্ব, উন্নয়ন সংস্থা এবং নীতিনির্ধারকরা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমাইরা আজম বলেন, সফলতা শুধু শিক্ষাগত দক্ষতার ওপর নির্ভর করে না। এর জন্য প্রয়োজন আন্তব্যক্তিক দক্ষতা, মানসিক প্রশিক্ষণ এবং অতিরিক্ত সময়কে কাজে লাগানোর কৌশল। আপনার জ্ঞান থাকলে আপনি সফল হবেন, তবে সেই সঙ্গে প্রয়োজন জোরালোভাবে কথা বলার আত্মবিশ্বাস, নিজেকে সাবলীলভাবে স্থাপনা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা।

অক্সফাম বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশীষ দামলে বলেন, অগ্রগতির পরও অনেক নারী অদৃশ্য প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন। যা তাদের পেশাগত অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে। এখনই সময় এমন কর্মপরিবেশ তৈরি করার, যেখানে বৈচিত্র্যময় নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।

ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, ‘একটি ক্যারিয়ার ব্রেক কখনোই একজন নারীর সম্ভাবনা নির্ধারণ করতে পারে না। কাঠামোবদ্ধ সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করে আমরা নারীদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসতে সাহায্য করতে পারি, যাতে তারা তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে নেতৃত্বের জায়গায় অবদান রাখতে পারেন।’

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশের উইমেন্স রিটার্নশিপ প্রোগ্রামের প্রকল্প সমন্বয়ক নুসরাত আনোয়ার এবং অক্সফাম বাংলাদেশের ইকোনমিক ইনক্লুশন অ্যান্ড জাস্টিস বিভাগের প্রধান বিদোওরা তাহমিন খান।

এমএ