৮২ ব্যাচ থেকে ৫০ ভূতাপেক্ষ সচিব: ক্ষুব্ধ হয়ে সেই মিলনের স্ট্যাটাস
ভূতাপেক্ষ সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়াদের তালিকায় নেই অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলনের নাম। এছাড়া ভূতাপেক্ষ সচিব হওয়া ১১৯ জনের ৫০ জনই ১৯৮২ ব্যাচের!
এ ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম ফেসবুকে নিজের আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন কবীর মিলন।
বিজ্ঞাপন
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বঞ্চিতদের তালিকায় ভূতাপেক্ষ সচিব পদে পদোন্নতি প্রাপ্তদের তালিকায় আমার নাম নেই। ১১৯ জন সচিব পদে পদোন্নতি প্রাপ্তদের মধ্যে ৫১ জন ছিলেন অতিরিক্ত সচিব। জনপ্রশাসন সচিব এবং কেবিনেট সচিব স্যারসহ বর্তমান সরকারে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় সবাই ১৯৮২ ব্যাচের।’
কবীর মিলন লেখেন, ‘এই ১১৯ জন সচিব পদোন্নতির মধ্যে ৫০ জন ১৯৮২ ব্যাচের (বিশেষ ব্যাচসহ)। আমিও অতিরিক্ত সচিব ছিলাম এবং বিগত সরকার দুর্নীতি দূর করতে চেয়ে অন্যায়ভাবে চারটি শাস্তি দিয়েছিল। প্রায় দেড় বছর ওএসডি অবস্থায় রেখে চাকরি থেকে বিদায় দিয়েছিল।’
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
বর্তমান সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি লেখেন, ‘# ১১৯ জন সচিবের মধ্যে ৫১ জন অতিরিক্ত সচিব যারা পদোন্নতি পেলেন, তারা কীভাবে কোন ক্রাইটেরিয়ায় বঞ্চিত ছিলেন? কীভাবে নিপীড়িত নির্যাতিত ছিলেন? # ১১৫ জন সচিব পদোন্নতির মধ্যে ৫০ জন কীভাবে ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা হলেন।’
‘সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি এই ৫১ জন অতিরিক্ত সচিব, যারা সচিব পদে পদোন্নতি পেলেন, তাদের বঞ্চিত হওয়ার কাহিনি। তা নাহলে সব অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিবকে ভূতাপেক্ষ সচিব পদোন্নতি দিতে হবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি মামলা করব হাইকোর্টে, সেখানে অবশ্যই জানতে চাইব ৫১ জন অতিরিক্ত সচিবের বঞ্চনার কাহিনি এবং ১৯৮২ ব্যাচের কীভাবে ৫০ জন কর্মকর্তা বঞ্চনার স্বীকার হলেন।’
উল্লেখ্য, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বঞ্চিত দাবি করে আবেদন করা দেড় হাজার কর্মকর্তার (অবসরপ্রাপ্ত) মধ্যে ৭৬৪ জনকে উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব, গ্রেড-১ ও সচিব পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পাঁচটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এরমধ্যে সচিব পদে ১১৯, গ্রেড-১ পদে ৪১, অতিরিক্ত সচিব পদে ৫২৮, যুগ্মসচিব পদে ৭২ ও উপসচিব পদে চারজনকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হয়।
এসএইচআর/এমএ