ঢাকা শহরে উন্মুক্ত স্থানে আর বর্জ্য দেখতে চাই না উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসিসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।  

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) নগরীর ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

ফজলে নূর তাপস বলেন, আমাদের নিজস্ব জমির অভাব রয়েছে। আমরা বিভিন্ন সংস্থা থেকে জমি নিচ্ছি। আমরা রেলওয়ের কাছে চেয়েছি, অন্যান্য কর্তৃপক্ষের কাছে চেয়েছি, যেন আমাদের পর্যাপ্ত জমি দেওয়া হয়। যাতে করে আমরা এসব অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করতে পারি।

তিনি বলেন, আমরা গত বছর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে ঢেলে সাজিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে একটি করে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র থাকবে এবং সেখান থেকেই বর্জ্য অপসারিত হবে। আমরা সন্ধ্যা ৬টা থেকে সূচি করে দিয়েছি। সেই সূচি অনুযায়ী বাসা-বাড়ি, স্থাপনা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের নিবন্ধিত প্রাথমিক বর্জ্য সেবা সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান বর্জ্য সংগ্রহ করে তা অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে নিয়ে যাবে এবং সেখান থেকেই আমরা তা ভাগাড়ে নিয়ে যাবো।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে মেয়র আরও বলেন, আমরা আর কোনোভাবেই উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য দেখতে চাই না। এসব বর্জ্য নর্দমায় যায় এবং সেখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। কিছুদিন আগে পুরান ঢাকার আগামাসি লেনে যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল, সেটার কারণ খুঁজতে গিয়ে আমরা দেখলাম, সেখানে নর্দমাগুলো এসব বর্জ্য দ্বারা বন্ধ হয়ে গেছে।

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল। আমাদের প্রত্যাশা সফল হয়েছে। এক সময় এই এলাকায় জলাবদ্ধতার সমস্যা ছিল, এখন সেই সমস্যা নেই। এই এলাকার লোকজন এক সময় মশার যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারতেন না, এখন সেই সমস্যা দূরীভূত হয়েছে। একজন মেয়র চাইলেই যে জনগণকে শান্তি দিতে পারেন, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সেই উদাহরণ সৃষ্টি করে চলেছেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী বোরহান উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/এনএফ