ইসির সিদ্ধান্তে ঝুলে গেল ‘আম’ প্রতীক
দীর্ঘ এক দশক পর আবার ‘আম’ প্রতীক নিয়ে ঝামেলায় পড়ল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)। দলটির প্রতীক নিজের বলে দাবি করছেন বহিষ্কৃত নেতা ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। প্রতীক নিয়ে ঝামেলার কারণে দুই পক্ষের শুনানি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শুনানি শেষ হলেও আম প্রতীক কার সেই সিদ্ধান্ত দেয়নি ইসি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ইসির শুনানিতে অংশ নিয়ে এনপিপি (নিলু) চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালু নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন।
বিজ্ঞাপন
রোববার (৯ মার্চ) এনপিপির বহিষ্কৃত নেতা ফরিদুজ্জামান ফরহাদের শুনানি করেছে নির্বাচন কমিশন। শুনানি শেষে ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, আজ আমাদের দলীয় প্রতীক নিয়ে শুনানি ছিল। ২০০৭ সালে আমাদের দল গঠন হয়। এরপর ২০০৮ সালে আমরা আম মার্কা প্রতীক পাই। জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা শওকত হোসেন নিলু ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকার কারণে আমরা তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিলাম। তখনকার নির্বাচন কমিশনার আমাদের আমটা না দিয়ে নিলু সাহেবকে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আম প্রতীক দেওয়ার কারণে আমরা ইসিতে দরখাস্ত করেছিলাম। কারণ তখন শেখ হাসিনার সঙ্গে আমরা যাইনি, তার আজ্ঞাবহও হইনি। শওকত হোসেন নিলু ফ্যাসিস্টের সঙ্গে ছিল, তাই তখন ন্যায়বিচার পাইনি। আশা করছি এখন ন্যায়বিচার পাব। কোর্টে আমরা গিয়েছিলাম, কোর্ট অর্ডার দিয়েছেন এটা ন্যায়সংগত করার জন্য। শুনানি ছিল আমরা সব কিছু বলেছি, আশা করছি আমরা আম প্রতীক পাব। কমিশন সব কিছু শুনেছে এবং বলেছে, আমাদের কথাগুলো বাস্তবসম্মত, কমিশনও ন্যায়বিচার করবে। আশা করি আম প্রতীক আমরা পাব।
জানা গেছে, জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা শওকত হোসেন নিলুর নেতৃত্বে ২০০৭ সালের ১৯ জুলাই এনপিপির আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর আবেদনের ভিত্তিতে ২০০৮ সালে ‘আম’ প্রতীকে দলটিকে নিবন্ধন দেয় কমিশন। ২০১৪ সালের ১৬ আগস্ট দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তৎকালীন মহাসচিব ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে মহাসচিব পদ থেকে বহিষ্কার করে দলটি। তার বিরুদ্ধে তারেক রহমানের পক্ষে পোস্টারে প্রচার চালানোর অভিযোগ আনা হয়। এর বছর খানেক পর ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ইসির কাছে ‘আম’ প্রতীকটি নিজেদের বলে দাবি করেন। পরে ২০১৬ সালের মে মাসে শুনানি করে নিলুর হাতেই ‘আম’ প্রতীক তুলে দেয় ইসি।
এর মধ্যে নিলু মারা গেলে দলটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শেখ ছালাউদ্দিন ছালু।
এসআর/এসএসএইচ