প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

প্রথম আলো

হারুনের সেই ভাতের হোটেলে এখন কী হয়

ডিবি কার্যালয়ে আসা বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভাত খাওয়ানোর ভিডিও করে প্রচার করে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ডিবি কার্যালয়ে তাঁর এমন কর্মকাণ্ডকে অনেকে ‘দুষ্টুমি’ করে বলতেন ‘হারুনের ভাতের হোটেল’। এমন নামকরণের বিষয়টি অবশ্য উপভোগ করতেন তিনি। একাধিক সাক্ষাৎকারে হারুন নিজেই সে কথা জানিয়েছিলেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ‘ভাতের হোটেলের’ হারুন পলাতক। এখন ডিবিপ্রধানের দায়িত্বে আছেন রেজাউল করিম মল্লিক। তিনিসহ ডিবির কর্মকর্তারা ‘হারুনের ভাতের হোটেল’ নিয়ে কথা বলতে বিব্রত বোধ করেন।

সমকাল

বাংলাদেশে ৩৩৯৯ অবৈধ ভারতীয়র বসবাস

মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাসহ অবৈধভাবে দেশে অবস্থান করছেন ৬ হাজার ৯৭ জন বিদেশি নাগরিক। তাদের মধ্যে শীর্ষ পাঁচ দেশ হলো– ভারত, চীন, নেপাল, পাকিস্তান ও ফিলিপাইন। এখন অবৈধভাবে বসবাসকারীর মধ্যে ভারতীয়র সংখ্যা ৩ হাজার ৩৯৯, চীনের ১ হাজার ৯৯, নেপালের ৩৭৬, পাকিস্তানের ১৪০ ও ফিলিপাইনের ১৩১ জন।

তিন মাসে আগেও দেশে অবৈধ বিদেশি নাগরিক ছিল ৪৯ হাজার ২৬৫ জন। সম্প্রতি নিয়মবহির্ভূতভাবে যেসব নাগরিক দেশে অবস্থান করছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযানসহ নানামুখী তৎপরতা চালানো হয়। এতে গত ১৮ নভেম্বর থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত অবৈধ বিদেশি নাগরিক কমেছে ৪৩ হাজার ১৬৮ জন। এ ছাড়া গত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন মাসে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪০ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। 

কালের কণ্ঠ

অপরাধের ব্যাপকতায় আতঙ্ক

সারা দেশে সব ধরনের অপরাধ বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পিটিয়ে হত্যা, নারী-শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা, ছিনতাই, অপহরণ, চাঁদাবাজি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে হামলা, দখল, চোরাচালান, মাদক ব্যবসার মতো অন্তত ১১ ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা বেড়েছে। এসব নিয়ন্ত্রণে জোরালো পদক্ষেপ না থাকায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত।

অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, সমাজে অপরাধমূলক নানা ঘটনায় স্পষ্ট যে মানুষ কতটা অসহিষ্ণু এবং ভুক্তভোগীরা কত অসহায়।

যুগান্তর

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগই মাস্টারমাইন্ড

ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির মতো অপরাধ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ার পেছনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ অনেকাংশে দায়ী। নিষিদ্ধ ঘোষিত এ সংগঠনটির মাস্টারমাইন্ডরা পরিকল্পিতভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পেশাদার অপরাধীদের নানা পন্থায় মাঠে নামাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে নিজেরাও যুক্ত হচ্ছে। এসব অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারসহ বিভিন্ন অ্যাপস গ্রুপের মাধ্যমে। গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

প্রথম আলো

যমুনা রেলসেতু: তিন মিনিটে নদী পার, ট্রেনযাত্রীদের গুনতে হবে বাড়তি ভাড়া

যমুনা নদীর ওপর নতুন রেলসেতু নির্মাণ করা হয়েছে। আগের সড়কসেতু দিয়ে আর রেল চলছে না। ফলে ট্রেনে যমুনা নদী পাড়ি দিতে সময় লাগছে দু–তিন মিনিট। আগে সেখানে সময় লাগত ২০ থেকে ২৫ মিনিট। অবশ্য দ্রুত নদী পাড়ি দিতে উত্তরের রেলযাত্রীদের বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে। এই সেতু ব্যবহার করে চলা ট্রেনের আসনভেদে ভাড়া বাড়বে ৪৫ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত। ১৯ মার্চ থেকে বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে।

রেলওয়ে সূত্র বলছে, যমুনা রেলসেতুটির দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার। কিন্তু সেতুটিকে ১২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ধরা হয়েছে। অর্থাৎ সেতুটির প্রতি কিলোমিটার দূরত্বকে ২৫ কিলোমিটারে বাড়িয়ে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। অবশ্য যমুনা সড়কসেতু দিয়ে ট্রেন চলার সময়ও প্রতি কিলোমিটারকে ১৭ কিলোমিটার ধরে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল। নতুন সেতুতে প্রতি কিলোমিটারে আট কিলোমিটার বেড়েছে।

সমকাল

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে ঋণের মহোৎসব

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের দপ্তরের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ খান। কমিশনের মধ্যম সারির এই কর্মকর্তার সাকল্যে বেতন পাওয়ার কথা ৬৮ হাজার ২৮৩ টাকা। তবে তিনি নিজ দপ্তর থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা ঋণ নিয়েছেন। এই মুহূর্তে অফিসের কাছে তাঁর ঋণের দেনা ৫৬ লাখ ৫৮ হাজার ৪৭০ টাকা।

ছয়টি আলাদা ঋণের কিস্তি বাবদ ৫৬ হাজার ৯০৮ টাকা ৭৫ পয়সা কেটে রেখে সব মিলিয়ে তিনি মাস শেষে হাতে পান মাত্র ১১ হাজার ৩৭৪ টাকা ২৫ পয়সা। প্রশ্ন উঠেছে, রাজধানীতে থেকে গৃহিণী স্ত্রী, দুই সন্তানসহ চারজনের সংসার এত কম টাকায় তিনি কীভাবে চালান?

কালের কণ্ঠ

রাজনৈতিক গ্যাঁড়াকলে পদোন্নতি

বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তারা যুগ্ম সচিব হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। দুই বছর পার হলেও এখনো তাঁদের পদোন্নতির জট খুলছে না। কবে নাগাদ পদোন্নতি হবে, সেটাও বলতে পারছেন না দায়িত্বশীল কেউই। বিএনপির শাসনামলে নিয়োগ পেলেও চাকরির পুরোটা সময় কেটেছে আওয়ামী আমলজুড়ে।

শেষ মুহূর্তে এই ব্যাচের নিয়োগ নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলায় তাঁদের কপাল পুড়েছে বলে মনে করছেন ব্যাচের কর্মকর্তারা। তাঁদের দাবি, তাঁরা রাজনৈতিক গ্যাঁড়াকলে পড়েছেন, কোনো পক্ষই তাদের আপন ভাবছে না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এমন তথ্য।

আজকের পত্রিকা

রেলসংকটে খালাসে বিপর্যয়: কনটেইনারের চাপে চট্টগ্রাম বন্দর

চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারের জট ভয়াবহ আকার নিয়েছে, বিশেষ করে ঢাকার কমলাপুর আইসিডিগামী কনটেইনারগুলোর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও জটিল। ট্রেনের ইঞ্জিনের সংকটে নির্ধারিত সময়ে মালপত্র খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আইসিডি ইয়ার্ডে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি কনটেইনার জমেছে। ৮৭৬ টিইইউএস সক্ষমতার ইয়ার্ডে এখন রয়েছে ১ হাজার ১৬২ টিইইউএস কনটেইনার, যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪৬ টিইইউএস ডেলিভারি হলেও কনটেইনারের জট কাটছে না। দুই সপ্তাহ আগেও এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭১১ টিইইউএস, যা ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে আমদানিকারকদের সতর্ক করে দিয়েছে, দ্রুত পণ্য খালাস না করলে ১০ মার্চ থেকে চার গুণ স্টোরেজ চার্জ আদায় করা হবে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি এক নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ৯ মার্চের মধ্যে কনটেইনার খালাস করতে হবে; অন্যথায় অতিরিক্ত চার্জ গুনতে হবে। এই বাস্তবতায় ব্যবসায়ীরা বিষয়টিকে চাপ হিসেবে দেখলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, অব্যবস্থাপনা এড়াতে এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে তারা।

মানবজমিন

রেলের মাফিয়া

শুরুটা ২০১১ সালে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী দুই নেতার আশীর্বাদ নিয়ে রেলের নির্মাণ খাতে আবির্ভূূত হন এক টেন্ডার ডন। ৫ থেকে ১০ কোটি টাকার ছোট কাজের অভিজ্ঞতা থাকলেও নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে বাগিয়ে নেন একের পর এক হাজার কোটি টাকার কাজ। এখন পর্যন্ত  রেল খাতের অন্তত ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাগিয়ে নিয়েছে অখ্যাত এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রকল্পের বরাদ্দের একটা বড় অংশ লুটপাট হয়েছে সিন্ডিকেট করে। আর এই অর্থের বিপুল পরিমাণ কমিশন চলে গেছে দেশ-বিদেশের সুবিধাভোগীদের হাতে। রেল প্রকল্পের টেন্ডার ডন খ্যাত সেই কোম্পানির নাম ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির জাল- জালিয়াতির মাধ্যমে রেলের নির্মাণ খাত নিয়ন্ত্রণের বিস্তারিত তথ্য মানবজমিনের হাতে এসেছে। নথিপত্র ঘেঁটে মিলেছে তাদের নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির চিত্র। সময়টা ২০০৯ সাল। খুঁড়িয়ে চলছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার। ওই সময়ে মাত্র ৫ থেকে ১০ কোটি টাকার ছোট ছোট নির্মাণকাজ করতো প্রতিষ্ঠানটি। তাও টেনেটুনে শেষ করতে হতো। ব্যাংক লোন নিয়ে চলতো প্রকল্পের কাজ। তখন ম্যাক্সের এককভাবে মাত্র ১৬.৭০ কোটি টাকার রেললাইন প্রকল্প নির্মাণের অভিজ্ঞতা ছিল। তাও কাজের মান ছিল নিম্নস্তরের। পরে আওয়ামী লীগের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও মির্জা আজমের সহায়তায় রাতারাতি বদলে যায় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার। এই দুই নেতার সহায়তায় দরপত্রে ১৫ নম্বরে থেকেও ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার ২০৯ কোটি টাকার চিনকি আস্তানা থেকে আশুগঞ্জ রিনিউয়াল রেল প্রকল্পের কাজ পেয়ে যায়। ওই প্রকল্প পেতেও জালিয়াতি করে ম্যাক্স। মাত্র ১৬ কোটি টাকার একটি কাজের সঙ্গে আরও দুটি চলমান প্রকল্প ৫০ ও ৯৬ কোটি টাকার যোগ্যতা একসঙ্গে দেখিয়ে চিনকি প্রকল্পের দরপত্রে অংশগ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে মন্ত্রীর লিখিত সুপারিশে প্রকল্পটির কাজও পেয়ে যায়।

সমকাল

বিষণ্নতা ও মাদকের গ্রাস, পর্নোতে ঝুঁকছে কিশোর-কিশোরী

শ্যামলীর বেসরকারি চাকরিজীবী শামসুল আলমের দশম শ্রেণিপড়ুয়া ছেলে কয়েক মাস ধরে উদ্ভট পোশাক পরছে, উল্টাপাল্টা আচরণ করছে। কেন এ রকম করছে, তার কারণ খতিয়ে দেখতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ছেলেটি টিকটক ও রিলসের প্রতি আসক্ত হয়ে ভাইরাল হওয়ার চেষ্টা করছে। এসএসসির প্রস্তুতির সময় ছেলের এমন আচরণে চিন্তিত হয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন তিনি।

অবসরে কিশোরী মেয়ের সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন লিলি আক্তার। মেয়ে মোবাইল ফোনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রিলস দেখছিল। হঠাৎ বিশেষ অঙ্গভঙ্গির একটি ভিডিও সামনে চলে এলে বিব্রত হয়ে মায়ের দিকে তাকায় ১৩ বছর বয়সী মেয়ে। সঙ্গে সঙ্গে ফোন কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দেন লিলি। মেয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নিয়ে বলতে গিয়ে এ ঘটনার বর্ণনা দেন রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসিন্দা লিলি।

যুগান্তর

পেশাজীবীর ব্যানারে ৭৬% আন্দোলন

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন ঘটে। এরপর ৮ আগস্ট গঠন করা হয় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর থেকেই শুরু হয় একের পর এক আন্দোলন। এতে এক রকম বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে বর্তমান সরকার। এসব আন্দোলনের মধ্যে ৭৬ শতাংশই হয়েছে বিভিন্ন পেশাজীবীর ব্যানারে। শিক্ষাসংশ্লিষ্ট আন্দোলন আছে ৩২ ভাগ। এছাড়া শ্রমিক আন্দোলন আট ভাগ এবং অন্যান্য ব্যানারের আন্দোলন ১০ ভাগ। এর মধ্যেই বন্ধ হয়েছে ৯০ ভাগ আন্দোলন। ১০ ভাগ আন্দোলন এখনো চলমান। ৫ আগস্টের পর থেকে গত ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২৬টি (কর্মসূচি) আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া খুন, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব শিক্ষার্থীর আবাসন নিশ্চিত এবং চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোসহ বেশকিছু দাবিতে আরও কয়েকটি আন্দোলন চলমান বলে যুগান্তরের অনুসন্ধানে জানা গেছে। আন্দোলনসংশ্লিষ্ট অনেক বাহারি নামের সংগঠনের তৎপরতার বিষয়েও তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রথম আলো

শর্ত না মানাই বেসরকারি মেডিকেলের অভ্যাস

বেসরকারি ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ব্যাপারে ছয় মাসের ব্যবধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অবস্থান পাল্টিয়েছে। গত জুনে বলেছিল, কলেজে শিক্ষক ও পরিসর (স্পেস) ঘাটতি এবং হাসপাতাল রোগী কম আসাসহ কয়েকটি কারণে কলেজের আসন কমানোর পাশাপাশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখতে হবে। নভেম্বরে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে বলছে, আসন ঠিক থাকবে, নতুন ভর্তিতে বাধা নেই।

শুধু এই একটি মেডিকেল কলেজের ক্ষেত্রে এমন ঘটছে তা নয়, বছর বছর এমন লুকোচুরি চলছে। প্রায় সব বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ক্ষেত্রে এটা দেখা যাচ্ছে। কেউই শর্ত পুরোপুরি মানছে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কলেজের (বিএমডিসি) প্রতিনিধিরা কলেজ পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে কলেজগুলোর নানা ধরনের ত্রুটি ও সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করা হয়। এগুলো দূর করে শর্ত সাপেক্ষে কলেজ চালুর অনুমতিও দেওয়া হয়। যদিও শর্ত পূরণ না করেই কলেজ চলতে থাকে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, শর্ত না মানাই বেসরকারি মেডিকেলের অভ্যাস।

সমকাল

দিনে দিনে পাওয়া সনদ-সেবা মিলছে না মাস পেরোলেও

চট্টগ্রাম নগরের জামালখান ওয়ার্ডের মোমিন রোডের বাসিন্দা কিরণ দাশ। স্বামীকে হারিয়েছেন ১৪ বছর আগে। স্বামীর কর্মস্থল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাওয়া ভাতায় চলছে তাঁর সংসার। এ জন্য  দ্বিতীয় বিয়ে করেননি মর্মে সিটি করপোরেশন থেকে সনদ নিয়ে প্রতি বছর জমা দিতে হয়। সনদটির জন্য এক মাস আগে আবেদন করলেও এখনও সেটি পাননি। এ কারণে তাঁর ভাতা বন্ধ হয়ে আছে।

শুধু কিরণ দাশই নন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ওয়ার্ড কার্যালয়ে জন্ম-মৃত্যুর নিবন্ধন, নাগরিক সনদসহ ১৭ ধরনের নাগরিক সেবা পেতে পদে পদে হয়রান হতে হচ্ছে নগরবাসীকে। আগে যেখানে দিনে দিনে সনদ মিলত, এখন কখনও দুই সপ্তাহ, কখনও পার হচ্ছে মাস। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন মাসেও মিলছে না প্রত্যাশিত সনদ। অথচ সিটি করপোরেশনের সিটিজেন চার্টার (সেবাদান প্রতিশ্রুতি) অনুযায়ী, দুই কার্যদিবসের মধ্যে জন্মনিবন্ধন ও সংশোধিত জন্মনিবন্ধন পাওয়ার কথা। 

এছাড়া চোখের পাতা নেড়েছে সেই শিশুটি; শেখ হাসিনার শাসনামল অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে; ফলকার টুর্কের বার্তা সম্পর্কে সেনাবাহিনী অবগত নয়; পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে শিগগির বিশেষ আইন—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।