রাজধানীর মহাখালী থেকে উদ্ধার হওয়া ময়না মিয়ার (৩৮) খণ্ডিত মরদেহের মাথা উদ্ধার করেছে বনানী থানা পুলিশ। রোববার (৩০ মে) রাতে মহাখালীর আমতলী সড়ক থেকে ময়না মিয়ার হাত-পা মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। 

এছাড়া একই রাতে মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকার একটি ডাস্টবিন থেকে ময়না মিয়ার কাটা দুই হাত-পা উদ্ধার করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ।

সোমবার (৩১ মে) বিকেলে ময়না মিয়ার খণ্ডিত মরদেহের মাথা উদ্ধারের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম।

নূরে আজম বলেন, এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে মহাখালী ওয়ারলেসের টিএন্ডটি মাঠ সংলগ্ন ঝিল থেকে মরদেহের মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। আসামির নাম ও হত্যাকাণ্ডের রহস্যসহ বিস্তারিত তথ্য বিকেলে সাড়ে ৪টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে।

এর আগে সোমবার সকালে মরদেহের নাম-পরিচয় শনাক্ত করে শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ। এ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কিশোর শীল ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল (রোববার) রাতে বনানী থানা পুলিশ মহাখালী থেকে হাত-পা ও মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে। আমাদের থানা এলাকায় অর্থাৎ মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় ডাস্টবিন থেকে কাটা অবস্থায় ওই মরদেহটির হাত-পা উদ্ধার করা হয়। পরে দুই থানার সুরতহাল প্রতিবেদনে নিশ্চিত হওয়া যায় কাটা হাত-পা এবং কাটা শরীর একই ব্যক্তির।

বিপ্লব কিশোর শীল আরও বলেন, পরে আমরা কাটা হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে ডাটা সার্ভারে মেলাতে থাকি। মেলানোর একপর্যায়ে নিহতের জাতীয় পরিচয়পত্রটি আমরা খুঁজে পাই ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে। তার নাম ময়না মিয়া। তিনি সিলেটের গোলাপগঞ্জের বাসিন্দা। দুটি বিয়ে করেছেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়ি কিশোরগঞ্জে‌। তিনি প্রথম স্ত্রী শিল্পীকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে শিল্পীকে এখনও আমরা খুঁজে পাইনি। তাকে খোঁজা হচ্ছে। এছাড়া তার কিশোরগঞ্জের শ্বশুর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে, তারা ঢাকায় আসছেন। তারা ঢাকায় এলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

বিপ্লব কুমার শীল বলেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী নাসরিন কিশোরগঞ্জ থেকে এলে হয়ত মামলা হবে। তবে আমরা তদন্ত করে দেখছি এই যুবককে কীভাবে মারা হয়েছে বা তার কীভাবে মৃত্যু হয়েছে।

এমএসি/ওএফ/জেএস