জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে পাকিস্তানের সঙ্গে ঝুঁকে যাওয়া নয় বরং দেশটির সঙ্গে দীর্ঘদিন স্থবির থাকা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে আলোচনার প্ল্যাটফর্ম ফরেন অফিস কনসালটেশন বা এফওসি বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন।

আগে বাংলাদেশ ভারতের দিকে ঝুঁকে ছিল এখন আবার পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে কিনা— এমন প্রশ্ন রাখা হয় পররাষ্ট্রসচিবের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে যেসব ইনস্টিটিউশনে মেকানিজম আছে তার মধ্যে এফওসি, যেটা ২০১০ সালে হয়েছে। জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন আরেকটি, সেটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৪ সালে অর্থাৎ ২১ বছর আগে, দুই দশকেরও বেশি সময় আগে।

জসীম উদ্দিন বলেন, আমরা এখন স্থবির যে সম্পর্ক সেই সম্পর্কটাকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি এবং সম্পূর্ণরূপে জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই আমরা করছি। এক্ষেত্রে ঝোঁকার কথা যদি বলেন, আমি উদাহরণ দিয়ে বলতে পারি যেটা আমাদের জন্য লাভ; যেমন-যোগাযোগ, বিমান যোগাযোগ চালু করছি। এক দেশ থেকে আরেক দেশে মানুষ গেলে সেটাকে আমার মনে হয় না যে ঝোঁকা বলা হয়। কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্য যদি বৃদ্ধি পায় সেটাকেও ঝোঁকা বলা হয় না।

তিনি বলেন, আমি মনে করি আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে যেভাবে এনগেজ হচ্ছি সেটার ভিত্তি হচ্ছে, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা এবং পারস্পরিক লাভ। আমরা আমাদের লাভটাও দেখছি। কাজেই এটা কোনোভাবে একটা দেশের দিকে ঝোঁকা নয়।

আরেক প্রশ্নে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সুদূরপ্রসারী প্রভাব সম্পর্কে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আমরা চাই, দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা। যে বৈঠকটি প্রতি বছর হওয়ার কথা সেটা যেন দেড় দশক পরে না হয়। নিয়মিত যোগাযোগ থাকলে আমরা এই সম্পর্ক থেকে পারস্পরিক লাভবান হতে পারব। কাজেই আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য এই যোগাযোগগুলোকে নিয়মিত করা এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সমুদ্র বা বিমান পথে যোগাযোগ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

এনআই/এমজে