বাগেরহাট জেলার পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফের বিরুদ্ধে প্রায় ১০ কোটি টাকার দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে গত ১৬ এপ্রিল একটি ভিডিও বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন। বক্তব্যে মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) পুলিশে কর্মরত কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেন না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেনের বক্তব্যটি বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের  (বিপিএসএ) দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং তারা এটির প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে একটি ‍বিবৃতি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন থেকে গণমাধ্যমে বিবৃতিটি পাঠানো হয়।

‍বিবৃতি বলা হয়, পুলিশ বাহিনীর কোনো কর্মকর্তা কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ অনুসন্ধানপূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে অনেকগুলো জেলার পুলিশ সুপারসহ একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানপূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান।

‍বিবৃতি আরও বলা হয়, আইন অনুযায়ী সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়া কারো বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে এ রকম বক্তব্য উপস্থাপন করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মানহানির শামিল। একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত একজন কর্মকর্তাকে কোনো অনুসন্ধান ছাড়া দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার বলায় আমাদের হতাশ করেছে এবং পুলিশ বাহিনীর প্রধানকে জড়িয়ে এ ধরনের অসত্য বক্তব্য প্রদান কোনোভাবেই কাম্য নয়।

এ ধরনের বক্তব্য পুলিশ বাহিনীর মনোবলকে দুর্বল করা ও সুনাম জনসমক্ষে হেয় করার শামিল। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছে। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিটি সদস্য সব সময় দেশের আইন-শৃঙ্খলা সুরক্ষায় এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’

এমএসি/এমএ