কৃষি প্রণোদনা ও কৃষিঋণ বিতরণ সহজ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষক ঐক্য পরিষদ। 

রোববার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়। 

তাদের দাবিগুলো হলো

১. আলু, পেঁয়াজ কমিশন গঠন, উপজেলাভিত্তিক কাঁচামাল সংরক্ষণাগার ও রপ্তানি কেন্দ্র স্থাপন করা।

২. ঢাকাসহ সারাদেশে কৃষকের বাজার স্থাপন করা। 

৩. কৃষি প্রণোদনা ও কৃষিঋণ বিতরণ সহজ করা ও সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করা। 

৪. সিন্ডিকেটমুক্ত করে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা।

৫. কৃষিপণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি, টোলপ্রথা বাতিল করা ও কৃষিপণ্য পরিবহনে রেল বগি বরাদ্দ করা। 

৬. কৃষকদের জন্য খাস ও পতিত জমি বরাদ্দ করাসহ কৃষকদের জন্য বিশেষ ভাতা চালু করা।

৭. সরকারিভাবে কৃষিবিমা চালু করা ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। 

৮. সরকারি হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ৫০ শতাংশ হারে চিকিৎসা সেবা প্রদান নিশ্চিত করা (জাতীয় সংসদ, অন্যান্য জাতীয় কমিটি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মাসিক সভায় আনুপাতিকহারে কৃষক প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা)। 

১০. বীজ ও সার সিন্ডিকেটমুক্ত করে ডিলারদের ছয় মাসের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা, প্রযুক্তি ও অ্যাপস আধুনিকায়ন ও বাস্তবমুখী করা।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব সুলতান হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় আলু নষ্ট হলেও ন্যায্যদাম পাওয়া যাচ্ছে না। আলুসহ বিভিন্ন সবজি সংরক্ষণ করার জন্য প্রতিটি উপজেলায় কোল্ডস্টোরেজ চাই। এটি ছাড়া বিভিন্ন কৃষি পণ্য চাষ করে আমরা প্রতিনিয়ত পুঁজি হারাচ্ছি। কারণ পণ্যগুলো সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না। কৃষি পণ্য সংরক্ষণ করা গেলে সঠিক দামও পাওয়া যাবে। 

তিনি আরো বলেন, দেশে সব কিছুর বাজার থাকলেও কৃষি পণ্যের নির্দিষ্ট বাজার নেই। ফলে নানাভাবে কৃষকরা পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে বঞ্চিত হয়। তাই কৃষকদের জন্য বাজার চাই, যেখানে কৃষকরা সরাসরি ভোক্তাদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে পারবে। কোনো ধরনের মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না। এতে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাবে এবং লাভবান হবেন। এছাড়া কৃষি কাজ করতে গিয়ে আহত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহত কৃষকদের ভাতা দেওয়ার দাবি জানান তিনি। 

কৃষক ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ মনজুর বলেন, যেসব কৃষি পণ্য সংরক্ষণ করা যায় সেগুলোর দাম নির্ধারণ করতে হবে। এসব পণ্যের মৌসুমে একটা দাম হবে এবং সংরক্ষণ করার পর যখন আবার বাজারে আসবে তখনও দাম নির্ধারণ থাকবে। এতে কৃষকরা ন্যায্যদাম না পেয়ে আর পুঁজি হারাবেন না। এছাড়া ফরমালিনমুক্ত কৃষির চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক নুরে আলম, দপ্তর সম্পাদক আলম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. নজরুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া সংগঠনের বিভিন্ন অঞ্চলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

ওএফএ/জেডএস