প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

প্রথম আলো

গণহত্যার বিচারে আরও একটি ট্রাইব্যুনাল হচ্ছে

গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আরও একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিষয়ে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করবে আইন মন্ত্রণালয়। এই ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম চলবে বর্তমান ট্রাইব্যুনালের পাশের ভবনে। এ লক্ষ্যে পুরোনো হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে একটি ভবনের সংস্কারকাজ এখন পুরোদমে চলছে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এখন এই ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারও চলছে। পাশাপাশি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম, খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার এই ট্রাইব্যুনালে করা হচ্ছে। তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার এখন বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে ট্রাইব্যুনালে। এ বিচার কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সমকাল

সাড়ে চার হাজার কোটি ব্যয় বাড়িয়েও মিলছে না সুফল

চট্টগ্রাম নগরজুড়ে খাল রয়েছে ৫৭টি। কিন্তু জলাবদ্ধতার গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোতে সংস্কারের জন্য খাল রাখা হয়েছে মাত্র ৩৬টি। ২১টি খালকে সংস্কারের বাইরে রেখেই তড়িঘড়ি করে তিন সংস্থা নিয়েছে চার প্রকল্প। এসব প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খরচও করে ফেলেছে তারা ৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। তবুও বর্ষা এলে দফায় দফায় ডুবছে বন্দর নগরী। খাল-নালায় পড়ে মরছে মানুষ। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। যথাযথভাবে সমীক্ষা না করে নেওয়া এসব প্রকল্পের খেসারতও গুনতে হচ্ছে ৬০ লাখ নগরবাসীকে। প্রকল্পের মাঝপথে এসে পরিবর্তন করতে হচ্ছে নকশা। বাড়াতে হচ্ছে ব্যয়ও। চারটি প্রকল্পের মধ্যে তিনটিতেই মাঝপথে ব্যয় বেড়েছে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। আরেকটি প্রকল্পে ব্যয় না বাড়লেও সেটির কমাতে হয়েছে কর্মপরিধি। 

প্রথম আলো

পাথরখেকোদের নজর সাদা পাথরে

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি, শাহ আরেফিন টিলা ও বাংকার এলাকার পাথর লুটপাটের পর এবার ‘পাথরখেকো’দের নজর পড়েছে দেশের সুপরিচিত পর্যটনকেন্দ্র সাদা পাথর এলাকায়। গত ২৩ এপ্রিল থেকে চক্রটি সাদা পাথর এলাকায় পাথর লুট শুরু করেছে। ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি ও শাহ আরেফিন টিলা এলাকা এরই মধ্যে প্রায় পাথরশূন্য করে ফেলা হয়েছে। তবে পার্শ্ববর্তী বাংকার এলাকায় দেদার পাথর উত্তোলন চলছে।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী ভোলাগঞ্জ সীমান্তের শূন্যরেখার কাছে সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্রের অবস্থান। প্রায় ১৫ একর এলাকাজুড়ে এ পর্যটনকেন্দ্র। ছোট-বড় অসংখ্য পাথরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত জলের স্রোতোধারা এই পর্যটনকেন্দ্রের মূল আকর্ষণ। এই সৌন্দর্যের টানে প্রতিদিন দেশ-বিদেশের হাজারো পর্যটক ভিড় জমান। 

যুগান্তর

নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির জান্তা সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) যুদ্ধ যতই তীব্র হচ্ছে, ততই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে। সংঘর্ষের মধ্যে দুই পক্ষের হামলার মূল লক্ষ্য হয়ে উঠছে সাধারণ রোহিঙ্গা জনগণ। আর এ কারণে অনেকেই জীবন বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে। এক হিসাবে দেখা গেছে, প্রতিমাসে সাড়ে ৬ হাজারের মতো অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় এবং মানবিক করিডর দিতে জাতিসংঘের আহ্বানকে কেন্দ্র করে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। সবমিলিয়ে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ফের বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক চাপ ও চক্রান্তের শিকার হতে পারে। এতে আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি-এমন আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

প্রথম আলো

বাজেটে করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়তে পারে

ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য সুখবর আসতে পারে। আগামী অর্থবছরে বাড়তে পারে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা। বর্তমানে বার্ষিক আয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত আয়সীমা রয়েছে। এই সীমা আরও ২৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।

আসন্ন বাজেটে একজন করদাতার বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রস্তাব করা হতে পারে। উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে সাধারণ করদাতাদের স্বস্তি দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, কর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এমনটা জানা গেছে।

দেশ রূপান্তর

গণমাধ্যমের জন্য আসছে নতুন অধ্যাদেশ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘সম্প্রচার আইন ২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। প্রস্তাবিত সেই আইনে ‘অনলাইন নিউজ পোর্টাল’, ‘রেডিও’, ‘টেলিভিশন’ এবং মাল্টিমিডিয়া-ভিত্তিক ‘সম্প্রচার প্ল্যাটফর্ম’ নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছরের কারাদ- এবং ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার একটি প্রস্তাবনা ছিল। এবার সেই ধারাসহ বেশ কয়েকটি সংশোধনী এনে নতুন অধ্যাদেশ জারির উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এই সংশোধনীতে ৭ বছরের পরিবর্তে সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছরের কারাদন্ড আর ৫০ কোটি টাকার পরিবর্তে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হচ্ছে। অধ্যাদেশটি বাস্তবায়ন করতে গত ২১ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে নতুন প্রস্তাবিত খসড়া অধ্যাদেশটি মতামতের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ৯ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানার সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় নতুন খসড়াটি চূড়ান্ত করা হয়।

প্রথম আলো

বাংলাদেশমিয়ানমার সীমান্তে মাইন কেড়ে নিচ্ছে প্রাণ; কেউ পঙ্গু, কেউ নিঃস্ব

ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ উড়ে গেছে মাইন বিস্ফোরণে। ক্ষতবিক্ষত পায়ের বাকি অংশ নিয়ে প্রায় এক মাস ধরে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন জেলে মোহাম্মদ ফিরোজ (৪৫)। মাছ ধরে ফেরার সময় গত ৬ এপ্রিল মাইন বিস্ফোরণে আহত হন তিনি। কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের শূন্যরেখার অদূরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ফিরোজের মতো প্রায়ই মাইন ও আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বিস্ফোরণে হতাহত হচ্ছেন মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী মানুষ। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি থেকে ১ মে পর্যন্ত বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বিস্ফোরণে প্রাণ হারান এক তরুণ। বিস্ফোরণের ঘটনা বেশি ঘটেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকায়।

মানবজমিন

দুরবস্থায় ৬০০ বিজ্ঞানী

ক’দিন ধরেই উত্তাল বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন (বাপশক)। দু’মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না কর্মকর্তা-কর্মচারী-বিজ্ঞানীরা। ১১ দফা দাবিতে টানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন তারা। প্রায় ৬০০ বিজ্ঞানী ও ২৫০০ কর্মকর্তার অভিযোগ তাদের নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে খুব বাজেভাবে। করতে দেয়া হচ্ছে না স্বাধীন বিজ্ঞান চর্চা। ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ মেলার পরও মিলছে না অনুমতি। সভা-সেমিনারগুলোতে যাচ্ছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। আমলে নেয়া হচ্ছে না নিউক্লীয় তথ্যের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা। যে সফটওয়্যারে তাদের তথ্য দিতে বলা হচ্ছে তা ভারতীয় একটি সফটওয়্যার। নিয়ন্ত্রণ করা হয় চেন্নাই থেকে।

আজকের পত্রিকা

বিদ্যুতে গ্যাস দিলে শিল্পে টান

দেশের শিল্পকারখানায় চরম গ্যাস-সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাস না থাকায় অনেক স্থানে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও উৎপাদন নেমে এসেছে তিন ভাগের এক ভাগে। শুধু শিল্প নয়, বাসাবাড়ি ও সিএনজি স্টেশনেও চলছে গ্যাসের জন্য হাহাকার। গ্রীষ্মে লোডশেডিং কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোয় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশীয় গ্যাসের উত্তোলন কমতে থাকায় সামনের দিনে সংকট আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে দৈনিক ৩৮০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। ৩০০ থেকে ৩২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। কিন্তু এই চাহিদার বিপরীতে ২৮ এপ্রিল গ্যাস সরবরাহ করা হয় ২৭০ কোটি ঘনফুট। সেখান থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে দেওয়া হয় প্রায় ১১০ কোটি ঘনফুট। বাকি ১৬০ কোটি ঘনফুট গ্যাস দিয়ে শিল্পকারখানা, বাসাবাড়ি ও সিএনজি স্টেশনের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে শিল্প-কারখানাগুলোকে।

বণিক বার্তা

ইঞ্জিন-কোচ সংকটে দেশজুড়ে বন্ধ ৭০ ট্রেন

ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) ও কোচ সংকটের কারণে সারা দেশে ৭০টি ট্রেন বন্ধ আছে। এর মধ্যে ৩৩টি কমিউটার ট্রেন, ২১টি লোকাল, ১০টি মিশ্র, চারটি মেইল ও দুটি শাটল ট্রেন। বন্ধ থাকা ট্রেনগুলোর বেশির ভাগই চলাচল করত স্বল্প ও মাঝারি দূরত্বে, যা ভূমিকা রাখত দৈনন্দিনের পাশাপাশি স্বল্প আয়ের মানুষের যাতায়াতে। ইঞ্জিন ও কোচ সংকট এবং জনবল স্বল্পতার কারণে সেগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

সান্তাহার-পঞ্চগড় রুটের উত্তরবঙ্গ মেইল বন্ধ হওয়া ট্রেনগুলোর একটি। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর সময় সারা দেশেই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এরপর অন্যগুলো চালু হলেও এ ট্রেনটি তখন থেকেই বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ মেইল ট্রেনটি নিম্ন আয় ও শ্রমজীবী মানুষের অল্প খরচে যাতায়াতের একমাত্র যানবাহন ছিল। ট্রেনটি বন্ধ হওয়ায় তাদের যাতায়াত খরচ ও ভোগান্তি—দুই-ই বেড়েছে।

কালের কণ্ঠ

পঞ্চপাণ্ডবে ধ্বংস বিদ্যুৎ খাত

বিদ্যুৎ খাতে তাঁরা পরিচিত ছিলেন পঞ্চপাণ্ডব নামে। এই পাঁচজনই ছিলেন বিদ্যুৎ খাতের অর্থ লেনদেনের মূল নিয়ন্ত্রক। প্রকল্প গ্রহণ, কারো পদায়ন বা বিদ্যুত্সংক্রান্ত কোনো আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেন তাঁরা। তাঁদের হাতেই চলত দেশের বিদ্যুৎ খাত।

তাঁরা লুটেছেন বিপুল অর্থ। পঞ্চপাণ্ডবের গডফাদার ছিলেন তিনজন। গডফাদারদের কমিশন দিতেন বলে তাঁদের অপকর্মের জবাব দিতে হতো না। এককথায় তাঁরা ছিলেন জবাবদিহির ঊর্ধ্বে।

টিবিএস

ক্ষমতার পালাবদলে উধাও রাজনৈতিক ক্রেতারা, বিলাসবহুল আবাসন বাজারে ধস

গত বছরের সরকার পরিবর্তনের পর দেশের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট বাজারে বড় ধাক্কা লেগেছে। রাজনৈতিকভাবে সংযুক্ত অনেক ক্রেতা—যাদের বেশিরভাগই ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত—দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বা কারাগারে গেছেন। ফলে বহু উচ্চমূল্যের চুক্তি বাতিল হয়ে গেছে।

ডেভেলপারদের মতে, ডজন ডজন দামি ফ্ল্যাট—যেগুলোর কিছু ইউনিটের দাম ২১ কোটি টাকা পর্যন্ত—সংরক্ষিত ছিল সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও দলীয় ঘনিষ্ঠদের জন্য। এদের অনেকেই শুধু ডাউনপেমেন্ট দিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেছেন। এখন এই ফ্ল্যাটগুলো পুনরায় বিক্রি করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

বারিধারা কূটনৈতিক এলাকার ৭ নম্বর রোডে ছয় কাঠা জমির ওপর একটি ছয়তলা বিলাসবহুল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের শেষ দিকে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাবেক ক্ষমতাসীন দলের একজন সাবেক সংসদ সদস্য প্রতি বর্গফুট ৫৭ হাজার টাকা দরে তৃতীয় তলার ২,৯০০ বর্গফুটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট বুক করেন। মোট দাম প্রায় ১৭ কোটি টাকা, যা ১৫টি কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য ছিল। দলিল হস্তান্তরের সময় নির্ধারিত ছিল ২০২৫ সালের জুনে।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা / কাশ্মীর নিয়ে প্রতিক্রিয়া যেন আঞ্চলিক সংঘাতে না গড়ায়; বিএনপিকে ভাবাচ্ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিতর্ক; খালেদা জিয়ার সঙ্গে সোমবার ফিরছেন জুবাইদাও; স্বেচ্ছায় যৌন নির্যাতন! —সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।