কমিশনের যৌক্তিক সমালোচনার বদলে হেফাজতে ইসলামসহ একটি গোষ্ঠী নারীদের নিয়ে অবমাননাকর ও ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করছে, যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। নারী বিদ্বেষ ছড়ানো এই বক্তব্যগুলোর বিরুদ্ধে সরকারের নীরবতা উদ্বেগজনক।

আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা। 

তারা আরও বলেন, এ দেশের নারীরা প্রতিটি গণআন্দোলনে, জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে নারীরা এগিয়ে এসেছে, লড়াই করেছে। সর্বশেষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানেও আমরা দেখেছি, নারীরা কীভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারা সহযোদ্ধাদের রক্ষা করেছেন, গুলির মুখে দাঁড়িয়েছেন। ফলে অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নারীর মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত হবে এটাই সকলের কাম্য ছিল।

সমাবেশে সরকারকে অবিলম্বে হেফাজতসহ নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। নারী অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন। 

বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্তের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুস্মিতা রায় সুপ্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের অর্থ সম্পাদক নওশিন মুস্তারী সাথী, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রগতি বর্মণ তমা প্রমুখ।

এমএইচএন/এনএফ