দখলে ছোট হচ্ছে ভাওয়াল বন
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
বিজ্ঞাপন
মৌলিক সংস্কারে এনসিপির রূপরেখা, মূল লক্ষ্য তিনটি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে ‘মৌলিক সংস্কারের’ রূপরেখা তুলে ধরেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি বলেছে, মৌলিক সংস্কারের মূল লক্ষ্য তিনটি—ক্ষমতার ভারসাম্য, জবাবদিহি ও বিকেন্দ্রীকরণ।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বর্ধিত আলোচনায় এনসিপি তাদের রূপরেখা তুলে ধরে। এনসিপি মনে করে, নির্বাচন যেকোনো সময় অনুষ্ঠিত হতে পারে। কিন্তু তার আগে অবশ্যই মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা বাস্তবায়ন করতে হবে। এর পাশাপাশি ফ্যাসিবাদী, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার দৃশ্যমান পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।
কালের কণ্ঠ
গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ফাঁদে আটকা ২২৭ জনের ভবিষ্যৎ
৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ পেলেও নিয়োগ পাচ্ছেন না ২২৭ জন প্রার্থী। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদনের কারণে আটকে আছে তাঁদের ভাগ্য।
সরকারি নিয়োগের প্রক্রিয়া অনুযায়ী, প্রার্থীদের প্রাক-চরিত্র যাচাই শেষে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারির কথা থাকলেও এই ২২৭ জনের ক্ষেত্রে তা এখনো হয়নি। এ অবস্থায় নিয়োগের দাবিতে গত ২৯ এপ্রিল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন করছেন বঞ্চিত প্রার্থীরা।
বণিক বার্তা
উদ্ভট পরিসংখ্যানের পিঠে চড়েছে দেশের অর্থনীতি
বিদ্যুতের ভোগ ও মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির মধ্যে বেশ দৃঢ় সম্পর্ক বিদ্যমান। উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলে বিদ্যুতের ভোগও বাড়ে, বিশেষ করে শিল্প ও কৃষি খাতে। এর কারণ হচ্ছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়লে তা শিল্প-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্য প্রয়োজনীয় সেবার ক্ষেত্রে বিদ্যুতের চাহিদাকেও বাড়িয়ে দেয়। যদিও স্বতঃসিদ্ধ এ নিয়ম বাংলাদেশের অনেক ক্ষেত্রেই উল্টো হয়। এখানে বিদ্যুতের ভোগ কমে গেলেও উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে দেখা গেছে। ২০১৮ সালে দেশে বিদ্যুতের ভোগ ছিল দশমিক ৪৪ শতাংশ ঋণাত্মক, যদিও এ সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যদিকে বিদ্যুতের ভোগ বাড়া সত্ত্বেও জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার নজির রয়েছে। ২০২৪ সালে দেশে বিদ্যুতের ভোগ বেড়েছে ৮ দশমিক ৮১ শতাংশ। বিপরীতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে এ উদ্ভট চিত্র দেশের তথ্য-উপাত্তের বিশ্বাসযোগ্যতা আরো প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে।
আজকের পত্রিকা
৬৫৮ কোটি টাকায় কেনা নতুন কোচ-ইঞ্জিনে ত্রুটি
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৬৫৮ কোটি টাকায় কেনা ডিজেলচালিত ২০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) এবং ১৪৭টি যাত্রীবাহী কোচের বেশ কয়েকটিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এগুলোর ডিসপ্লে কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ঘোষণা শুনতে পাচ্ছে না যাত্রীরা। এ কারণে ডিসপ্লে, পিআইএস, কাপলার প্রতিস্থাপনের বিকল্প নেই। অকেজো পড়ে আছে তিনটি পাওয়ার কার।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র বলছে, চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (ওয়ারেন্টির মেয়াদকালে) কোরীয় ঠিকাদারের ত্রুটি মেরামত করার কথা। কিন্তু প্রকল্প দপ্তর, কোরীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রতিনিধি ও কোরীয় প্রতিনিধিকে জানানো হলেও কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় সমস্যা জটিল হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী যন্ত্রাংশ, রক্ষণাবেক্ষণ ও অপারেশনের জন্য সার্কিট ডায়াগ্রাম, ম্যানুয়াল, প্রোডাক্ট ব্রুশিয়ারের হার্ড কপি এবং সফট কপি সরবরাহ করা হয়নি।
সমকাল
শিল্পে টানা গ্যাস সংকট, উৎপাদনে ভাটা
চাহিদার তুলনায় গ্যাস মিলছে ৪০ শতাংশ কম। কলকারখানার চাকা ঘুরছে ধুঁকে ধুঁকে। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, ভালুকাসহ দেশের সব শিল্পাঞ্চলেই অভিন্ন পরিস্থিতি। সবচেয়ে বিপদে পড়েছে দেশের বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাত। গ্যাসের অভাবে ঝুঁকিতে পড়েছে এ খাতের ৭০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ।
রাতে মিললেও দিনে গ্যাস যেন দুষ্প্রাপ্য। কাজ না থাকায় অনেক কারখানার শ্রমিক দিনে অলস সময় কাটাচ্ছেন। রাত থেকে ভোর– এ সময়ে গ্যাসের চাপ বাড়লেই ঘোরে কারখানার চাকা। শ্রমিককে অতিরিক্ত মজুরি দিয়ে সে সময় কাজে নামানো হয়।
অনেক উদ্যোক্তা সিএনজি, এলপিজি বা ডিজেল দিয়ে উৎপাদন ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। বিকল্প জ্বালানি ও অতিরিক্ত মজুরির কারণে উৎপাদন খরচ হচ্ছে দ্বিগুণ। খরচ বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কিছু কিছু কারখানা। গত আট মাসে শুধু নারায়ণগঞ্জেই ১৯ পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে রপ্তানি আয়েও। মার্চের চেয়ে এপ্রিলে রপ্তানি আয় কমেছে প্রায় ১২৩ কোটি ডলার। এর পরও আমদানিকারকদের অর্ডার সময়মতো পাঠানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিল্প মালিকরা। তারা বলছেন, সময়মতো পণ্য পাঠাতে না পারায় বাতিল হচ্ছে রপ্তানি আদেশ।
আজকের পত্রিকা
শিক্ষার্থীদের ‘কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে’ সপরিবারে পালিয়েছেন বিএসবির বাশার
উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখিয়ে শত শত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রাজধানীর একটি শিক্ষা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। চটকদার বিজ্ঞাপন, আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তির দাবি আর একঝাঁক ‘ভালো খবরের’ গল্প—সব মিলিয়ে ‘বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’ নামের প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছিল বিশ্বাসের এমন এক আবরণ, যার আড়ালে চলত সুপরিকল্পিত প্রতারণা। আর এর নেপথ্যে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার খায়রুল বাশার বাহার। তিনি এখন সপরিবারে উধাও।
১৪১ জনের কাছ থেকে ১৮ কোটি ২৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ এবং পাচার করার অভিযোগে বাশার, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে ৪ মে ডিএমপির গুলশান থানায় অর্থ পাচার মামলা করেছে সিআইডি। বাশারের এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালিয়ে গত ডিসেম্বরেই অর্থ পাচারের প্রমাণ পায় সিআইডি। এরপর মামলা হয়। এ ছাড়া ৭০০ ভুক্তভোগীর অভিযোগ রয়েছে সিআইডির কাছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। বিদেশে পাঠানোর কথা বলে প্রতিষ্ঠানটি অন্তত ৮৫০ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের কাছ থেকে ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রথম আলো
নির্মাণের দুই বছর পরও চালু হয়নি ছাতক সিমেন্টের নতুন কারখানা
ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের নতুন কারখানার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে। তবে নির্মাণের দুই বছর পরও সরকারি কারখানাটি উৎপাদনে যেতে পারছে না।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মূলত ভারত অংশে রোপওয়ে (চুনাপাথর আনার পথ) নির্মাণের অনুমতি না পাওয়া এবং গ্যাসলাইন নির্মাণ না করতে পারায় উৎপাদন শুরু করা যাচ্ছে না। এতে একদিকে সম্পদ–জনবলের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে বসিয়ে রাখায় নতুন কারাখানার যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ইত্তেফাক
ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, সক্রিয় হচ্ছে পুলিশ
ঠিক ৯ মাস আগে বিধ্বস্ত পুলিশ বাহিনী মাঠ ছেড়ে চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে ঘুড়ে দাঁড়াচ্ছে পুলিশ। পুড়ে যাওয়া থানা সংস্কার হয়েছে। আনা হয়েছে কিছু গাড়িও। ইতিমধ্যে সক্রিয় হয়ে মাঠে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের জন্য পুলিশকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আসলে পুলিশ কতটুকু প্রস্তুত? কতটুকুই বা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে পুলিশ?
কালের কণ্ঠ
শীর্ষ সন্ত্রাসীরা আবার বেপরোয়া
‘শীর্ষ সন্ত্রাসীর সহযোগী পরিচয়ে অর্ধকোটি টাকা চাঁদা চেয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। টাকা না দিলে পরিবারের কাউকে ছাড়বে না বলে শাসিয়েছে। আমার বাড়িতে এসে দুই দফায় গুলি করেছে। আতঙ্কে পরিবার নিয়ে আমি এখন অনেকটা ঘরবন্দি।’
গতকাল মঙ্গলবার কালের কণ্ঠের কাছে এভাবে নিজের এই দুরবস্থার কথা তুলে ধরেন আবাসন ব্যবসায়ী মনির হোসেন। তিনি মোহাম্মদপুর চন্দ্রিমা হাউজিং লিমিটেডের পরিচালক। গত ২৮ এপ্রিল চাঁদার দাবিতে শেরশাহ শূরি রোডে তাঁর বাসার গ্যারেজে ঢুকে গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে মোটরসাইকেলে আসা দুই সন্ত্রাসী।
দেশ রূপান্তর
গাজীপুরে গত নয় মাসে শালবন দখল করে পাঁচ হাজারের বেশি বাড়িঘর, দোকানপাটসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা গড়ে উঠেছে। স্থাপনাগুলোর মধ্যে টিনশেড, আধাপাকা ও বহুতল ভবনও রয়েছে। গত বছর গণঅভ্যুত্থানপরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে বনের জমি দখল শুরু করে এক শ্রেণির ভূমিদস্যু। গত নয় মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও থেমে নেই বনভূমি জবরদখল। অব্যাহত দখলের কারণে ভাওয়াল বনখ্যাত শালবনের আয়তন ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য, বাস্তুচ্যুত হচ্ছে বন্যপ্রাণী।
কালের কণ্ঠ
ব্যবসা-বিনিয়োগে আস্থাহীনতা। উৎপাদন, সরবরাহ ও বিপণনে ধীরগতি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ। ব্যবসা প্রসার ও নতুন বিনিয়োগ নিয়ে নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষা। সেই সঙ্গে উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে চাহিদা কমায় এর প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আয়ে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ঘাটতি ছাড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা।
টিবিএস
রেমিট্যান্সে ভর করে জুলাই-মার্চ সময়ে চলতি হিসাবের ঘাটতি কমেছে ৮৫%
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরু থেকে দীর্ঘ সময় ধরে চলা সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার মাঝেও অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বাংলাদেশের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট বা চলতি হিসাবের ঘাটতি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৫ শতাংশ কমে এসেছে।
মূলত শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ, অর্থ পাচার হ্রাস এবং আমদানির তুলনায় রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার বেশি থাকায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া পাচার সম্পদ জব্দের আদেশ শুধু কাগজে-কলমে; সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের বিপজ্জনক ৯টি ধারা বাতিল; ফিরেই অসুস্থ মাকে দেখতে গেলেন ডা. জুবাইদা; রাজপথে না থাকলেও দলের প্রয়োজনে ভূমিকা রাখবেন—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।