চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়িয়ে বাংলাদেশকে গ্লোবাল উৎপাদন ও কারখানার কেন্দ্রে পরিণত করতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যেই কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শনের পর সার্কিট হাউসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে চট্টগ্রামকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বন্দর, ব্যবসা ও বিনিয়োগ-সবই এই নগরী ঘিরেই। তাই এই শহরের উন্নয়ন ছাড়া দেশের অগ্রগতি সম্ভব নয়।

চৌধুরী আশিক বলেন, চট্টগ্রামের গুরুত্ব ঐতিহাসিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে পর্তুগিজ ও ব্রিটিশদের দৃষ্টিও ছিল এই শহরের ওপর। তাই বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ঢাকার চেয়ে চট্টগ্রাম বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বিডা চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে দেশে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং সক্ষমতা মাত্র ৩ দশমিক ২৯ মিলিয়ন টিইইউএস। সব বন্দর পুরোপুরি চালু হলেও তা হবে ৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন টিইইউএস। অন্যদিকে ভিয়েতনামে রয়েছে ৪৪টি বন্দর, যাদের সম্মিলিত সক্ষমতা বছরে ৪৭ মিলিয়ন টিইইউএস। এই ব্যবধান কমাতে বন্দরের আধুনিকায়ন জরুরি।

তিনি আরও বলেন, বন্দর উন্নয়নে বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। যদি বিদেশিরা বন্দর পরিচালনায় যুক্ত হয়, তাহলে আমাদের শ্রমিকদের আন্তর্জাতিক মানে প্রশিক্ষণ দিয়ে বৈশ্বিক বাজারে যুক্ত করা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডেলিং সক্ষমতা ছয় গুণ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তা না হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম এবং প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

এমআর/এমএ