দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ১৫৩ ভিআইপি
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
বিজ্ঞাপন
ধর্ষণ, নিপীড়ন, অসমতা, অন্যায্যতা, পিতৃতন্ত্র, শ্রমের অবমূল্যায়ন, উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত কণ্ঠে আওয়াজ তুলেছেন নারী–পুরুষ সবাই। ‘নারীর ডাকে মৈত্রীযাত্রা’ ব্যানারে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে স্লোগানে, গানে, পদযাত্রায় এ আওয়াজ ওঠে। ঘোষণাপত্রে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা ও বৈষম্য চালিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টাকে মেনে না নেওয়ার স্পষ্ট অবস্থানের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
লড়াই অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ‘আমরা সরকার ও প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নারীবিষয়ক অবস্থানকে নজরদারিতে রাখব। যে ক্ষমতাকাঠামো জুলুমবাজি জিইয়ে রাখে, সেই কাঠামো ভাঙব। আমরা চুপ করব না, হুমকির মুখে নত হব না। অধিকার আদায়ের দাবিতে অটল থাকব। ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশের স্বপ্ন ও তা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে হাল ছাড়ব না।’
বণিক বার্তা
২১ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধার বাইরে
বিশেষত গত দেড় দশকে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রায় সবক’টি নিজস্ব ক্যাম্পাস ও প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে মোট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৭২। এর মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ৫৭টি। যার ২৮টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে। নতুন এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগেরই যাত্রা শুরু ভাড়া করা ভবনে। এমনকি কয়েক দশক আগে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে পারেনি। ফলে শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাজনিত শঙ্কাসহ নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, যা প্রভাব ফেলছে তাদের শিক্ষাজীবনেও।
দেশ রূপান্তর
ভয়ানক চাপে ভারতে আশ্রিত আ.লীগাররা
ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের কপালে ভাঁজ। সম্প্রতি ভারত সরকার অবৈধ নাগরিকদের বসবাস ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। অবৈধ সবাইকে ভারত ছাড়তে বলেছে দেশটির আইনশৃখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ফলে দেশটিতে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর বড় মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে অবৈধ বসবাসকারী বাংলাদেশিদের আটক করে ‘পুশব্যাক’ করছে ভারত। এ পুশব্যাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখনো না পড়লেও স্বল্প সময়ের মধ্যেই তাদের ওপর এ খড়গ নেমে আসবে বলে জানা গেছে।
প্রথম আলো
১৯৯২ বা ৯৩ সালের দিকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে একটি টেলিফোন সংযোগ নিয়েছিলেন মঞ্জুলা চৌধুরী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এই অধ্যাপকের কাছে টেলিফোনটি ছিল আত্মীয়স্বজন, কর্মস্থলসহ দূরালাপনের একমাত্র ভরসা। এখন অবশ্য অতটা ভরসা না থাকলেও সেই টেলিফোনের সঙ্গে রয়েছে তাঁর আবেগ ও স্মৃতির টান।
৩০ বছর আগে যেতে হবে না, ১৭ বছর আগেও টেলিফোন ছিল বেশির ভাগ মানুষের দূরালাপনের মূল মাধ্যম। উনিশ শতকের আবিষ্কার টেলিফোন একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকে এসেই চাহিদা হারাতে শুরু করে। তবে টেলিফোন এখনো টিকে আছে। হয়তো আরও কিছুকাল থাকবে।
আরও পড়ুন
দেশ রূপান্তর
৮৬ শতাংশ মানুষের নিয়ন্ত্রণে নেই
দেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ৫১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ জানেই না যে, তারা রোগটিতে আক্রান্ত। শনাক্তকৃত ৮৬ শতাংশ মানুষ রোগটি নিয়ন্ত্রণ করতেই পারছে না। এ রোগের নিয়ন্ত্রণের হার মাত্র ১৪ শতাংশ। আর চিকিৎসা নিচ্ছে ৩৫ শতাংশ রোগী।
প্রথম আলো
আট মাসে ১৯২ একর জমি, ২৮ ভবন ও ৩৮ ফ্ল্যাট জব্দ
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আট মাসে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ জব্দ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বাড়ি, ফ্ল্যাট, বাণিজ্যিক স্থাপনা ও জমি।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংস্থাটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ৭৪টি জব্দের আদেশ দিয়েছেন। এসব আদেশে প্রায় ১৯২ একর জমি, ২৮টি ভবন, ৩৮টি ফ্ল্যাট ও ১৫টি প্লট জব্দ করা হয়। জব্দের তালিকায় থাকা যানবাহনের মধ্যে রয়েছে ২৩টি গাড়ি। তিনটি জাহাজও জব্দ করা হয়েছে।
সমকাল
বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব কমছে না জামায়াতের
দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র ও নির্বাচনের সঙ্গী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে দূরত্ব কমছে না। বরং তা আগের চেয়ে বেড়েছে এবং নানা মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। ৫ আগস্টের পর এই প্রবণতা শুরু হলেও সম্প্রতি লন্ডনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সাক্ষাতের পর সম্পর্ক আর খারাপ হবে না বলে আশা করা হয়েছিল। তবে দলীয় আদর্শ আর কৌশলের রাজনীতি তাদের দূরত্ব আরও বাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দু’দলের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে যোগাযোগের ঘাটতিও তৈরি হয়েছে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।
৫ আগস্টের পর থেকে রাজনীতির মাঠে নানা বিষয়ে দল দুটির মধ্যে স্পষ্ট মতবিরোধ দেখা দেয়। দু’দলের তৃণমূল থেকে শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যে তা ফুটে উঠছে। দুই দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা, সরকারের সংস্কার প্রস্তাব, নির্বাচনের দিনক্ষণ, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে দলীয় লোকের বদলি, পদায়ন, নিয়োগ, দখল-চাঁদাবাজির মতো বিষয় নিয়ে চলছে বাগ্যুদ্ধ। সভা-সমাবেশ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তা দৃশ্যমান।
কালের কণ্ঠ
অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ
একসময় সচ্ছল জীবন ছিল সাগর হোসেনের। কুষ্টিয়ার কুমারখালীর এই যুবকের ছিল মোটরসাইকেলের শোরুম। ছিল সুন্দর একটি আধাপাকা বাড়ি। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে সবই হারিয়েছেন।
যে সর্বনাশা আসক্তিতে তিনি বিত্ত-বৈভব খুইয়ে নিঃস্ব হয়েছেন, এটি অনলাইন জুয়া।
অনলাইনভিত্তিক জুয়া ‘ওয়ান এক্স বেট’ ও ‘গ্লোরি ক্যাসিনো’ খেলতে গিয়ে সর্বস্ব হারান সাগর। ২১ লাখ টাকায় বাড়ি, ১৫ লাখ টাকায় শোরুম বিক্রি করেও সমাধান হয়নি। এখনো সাড়ে তিন লাখ টাকা দেনা এই যুবকের।
যুগান্তর
সংস্কার ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলো এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। এর মধ্যে কোনো না কোনো ইস্যুতে প্রায় প্রতিদিনই চলছে রাজপথে আন্দোলন। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে আছে অস্থিরতা। আবার শেয়ারবাজারের অবস্থা চরম নাজুক, বিনিয়োগে স্থবিরতা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন। বলা যায়, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নানামুখী সংকট ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনকেই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক দলগুলো ও বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, যেসব সমস্যার সম্মুখীন, সেগুলো নির্বাচিত সরকারের পক্ষে দ্রুত সমাধান দেওয়া সম্ভব। এজন্য দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিলে এ সংকট থাকবে না। রোডম্যাপ দিলে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের ট্রেনে উঠে পড়বে। স্বাভাবিক হবে দেশের পরিস্থিতি। কিন্তু নির্বাচন যত দেরি হবে দেশ ও গণতন্ত্র তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশে শান্তি-শৃঙ্খলার অবনতি হবে। এজন্য জরুরি ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্রুত নির্বাচনের পথে হাঁটা উচিত বলে মনে করেন তারা।
বণিক বার্তা
জনপ্রশাসনসহ সাধারণ সেবা খাতে সংস্কার হয়নি, বেড়েছে সরকারের খরচ
সরকারের ব্যয় কমাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব ও সচিবের সংখ্যা কমিয়ে ৬০ করারও সুপারিশ ছিল। পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয় কমিশনের প্রতিবেদনে। কিন্তু তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। অথচ জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ সাধারণ সেবা খাতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে সরকারের ব্যয়। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতে ব্যয় বেড়েছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি এবং সামনে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেয়া হলে এ ব্যয় আরো বাড়তে পারে। তবে ব্যয় বাড়লেও এ খাতের সংস্কার না হওয়ায় দেশের সাধারণ নাগরিক সুবিধা পাচ্ছে না বলে মনে করেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।
বণিক বার্তা
দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ১৫৩ ভিআইপি
আবার কারাগারের ভেতর সুবিধা না থাকায় অনেক ভিআইপি বন্দিকে ডিভিশনও দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে তাদের আটক রাখতে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারকে সরকার বিশেষ কারাগার হিসেবে ঘোষণা করে। তার জন্য গঠন করা হয়েছে জেলার, সুপার থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসনিক কাঠামোও। কিন্তু সবকিছু প্রস্তুত থাকার পরও পূর্বনির্ধারিত দিনে শুরু করা যায়নি ভিআইপি বন্দি হস্তান্তর প্রক্রিয়া। এমনকি ঈদের আগে এর কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না বলে জানিয়েছেন কারা কর্মকর্তারা। এতে বন্দিদের নিরাপত্তাঝুঁকি বেড়েছে বলে মনে করছেন তাদের স্বজন ও আইনজীবীরা।