প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

প্রথম আলো

ঐকমত্য কমিশন: মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাবে মতপার্থক্য

রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ হয়েছে। পাঁচটি সংস্কার কমিশনের অনেকগুলো সুপারিশ বা প্রস্তাবের বিষয়ে দলগুলো একমত হলেও ক্ষমতার ভারসাম্যসহ মৌলিক প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে।

ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, প্রথম পর্যায়ের আলোচনার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দলগুলোর সঙ্গে শিগগিরই দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে। এ পর্যায়ে মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবগুলো আলোচনায় গুরুত্ব পাবে। যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা আছে, সেগুলো নিয়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা হবে। পবিত্র ঈদুল আজহার (জুনের প্রথম সপ্তাহ) আগে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হতে পারে। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ তৈরি করা হবে। আগামী জুলাই মাসে এ সনদ চূড়ান্ত করার লক্ষ্য রয়েছে ঐকমত্য কমিশনের।

আজকের পত্রিকা

বিভাগীয় মামলা ছাড়াই চাকরিচ্যুত করতে পারবে সরকার

দায়িত্বে অবহেলা ও শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে বিভাগীয় মামলা না করেই সরকারি কর্মচারীদের যেকোনো সময় চাকরিচ্যুত করতে পারবে সরকার। সর্বোচ্চ ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগ নিষ্পত্তি করে এই পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। জনপ্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে এমন বিধান যুক্ত করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

যুগান্তর

মানবিক করিডরের নামে কী হচ্ছে!

জাতিসংঘের অনুরোধে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়া নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এমন করিডর দেওয়ার পক্ষে কোনো জুতসই যুক্তি দেখছেন না। বরং বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আজকের পত্রিকা

এডিপির ১০ মাসের চিত্র: বাস্তবায়ন মাত্র ৪১ শতাংশ

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু বাজেট ঘোষণার মাত্র ৬৫ দিনের মাথায় গণ-আন্দোলনের মুখে সেই সরকারের পতন ঘটে এবং অন্তর্বর্তী দায়িত্ব নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার।

আজকের পত্রিকা

সাবেক ১৩ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

সামরিক বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় সাবেক ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত ও অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ জন্য ১১টি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে সর্বনিম্ন দুজন থেকে চারজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

এই ১৩ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মামলা হয়েছে, পাঁচজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং চারজনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এসব কর্মকর্তা বিগত সরকারের আমলে সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

প্রথম আলো

পুকুরচুরির শিকার ঢাকার ৩১ পুকুর

সরকারি নথিতে রাজধানীর বাউনিয়ায় বড়সড় একটি পুকুর আছে। জমির দাগ নম্বর ধরে খুঁজতে গেলাম পুকুরটিকে। গিয়ে দেখা গেল, সেখানে গড়ে উঠেছে কয়েকটি টিনের ছাউনির ঘর ও একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এমনকি সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ও করা হয়েছে সরকারি পুকুরের জমিতে।

যেখানে পুকুর ছিল, তার কাছেই একটি বাড়িতে থাকেন এক প্রবীণ ব্যক্তি। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বললেন, তিনি ওই এলাকায় বাস করেন চার দশকের বেশি সময় ধরে। পুকুরটি তিনি দেখেছেন। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা গোসল করতেন। মাছ ধরতেন। বছর ১০-১২ আগে পুকুরটি ভরাট করা শুরু হয়। কয়েক বছরের মধ্যে পুরো ভরাট করে স্থাপনা গড়ে উঠেছে।

বাউনিয়ার পুকুরটি নিয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুকুরের জমির অবৈধ দখলদারের সংখ্যা ১৯।

প্রথম আলো

ভারতের আমদানি বিধিনিষেধ: বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কারা

ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের তিনটি রাজ্যে দেড় বছর ধরে খাদ্যপণ্য রপ্তানি করে আসছে চট্টগ্রামের কালুরঘাটের বিএসপি ফুড প্রোডাক্টস। স্থলপথে ভারতে রপ্তানির ওপর ভর করেই ব্যবসা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। গত শনিবার ভারত সরকারের পক্ষ থেকে স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে কিছু পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করায় প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

বিএসপি ফুড প্রোডাক্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অজিত কুমার দাস গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের উৎপাদিত পণ্যের প্রায় পুরোটাই রপ্তানি হয়। আমাদের উৎপাদিত কুকিজ, টোস্ট ও সল্টেড বিস্কুটের বড় বাজার আসাম, ত্রিপুরা ও কলকাতা। এখন আসাম ও ত্রিপুরায় যদি কলকাতা হয়ে ঘুরপথে পণ্য পাঠাতে হয়, তাহলে পরিবহন খরচই বাড়বে এক লাখ টাকা। বাড়তি এ খরচ বহন করা ক্রেতার পক্ষে অসম্ভব। আবার রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেলে উৎপাদন চালিয়ে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না।’

বণিক বার্তা

রেমিট্যান্সে ৫% কর আরোপ ট্রাম্পের, প্রভাব পড়বে বাংলাদেশেও

বাণিজ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপের পর এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ৫ শতাংশ কর আরোপ করতে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ বাজেট কমিটিতে অনুমোদিত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’-এর ক্ষমতাবলে এ কর আরোপ করা হবে। এ আইন কার্যকর হওয়ার পর বাংলাদেশীসহ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অভিবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানো ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে। একই সঙ্গে বৈধ পথে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কালের কণ্ঠ

রাজস্ব ক্ষতি ১১ হাজার কোটি

অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে টানা পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকে কলমবিরতি। ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হওয়ার পর অচলাবস্থা কাটাতে এবার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজন উপদেষ্টা আলোচনায় বসবেন পরিষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।