পায়রা বন্দরের জন্য উচ্ছেদ : পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ চায় ৬ রাখাইন পরিবার
পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের জন্য উচ্ছেদ হওয়া ছয়টি রাখাইন পরিবারের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে উচ্ছেদকৃত ৬টি রাখাইন পরিবার ও নাগরিক উদ্যোগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। তিনি বলেন, রাখাইন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের নামে এমন জায়গায় রাখা হয়েছে, যেখানে তারা নিজের সংস্কৃতি অনুযায়ী জীবনযাপন করতে পারে না। মাসিক ভাড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আদিবাসীদের ধ্বংস করে দিয়ে উন্নয়নের নামে জাদুঘর বানানো হচ্ছে, এটি আত্মপ্রবঞ্চনার এক নির্মম উদাহরণ।
উচ্ছেদকৃত পরিবারের সদস্য চিং ধামো রাখাইন বলেন, পায়রা বন্দর নির্মাণের জন্য দ্বিতীয় দফায় জমি অধিগ্রহণের সময় আমাদের ২৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বসতভিটা অধিগ্রহণ করা হয়। আমাদের সাথে পূর্ব কোনো আলোচনা ছাড়াই আমাদের বসতবাড়ি এই অধিগ্রহণ করা হয়। অধিগ্রহণের পর শুধু গাছপালা ও বসতবাড়ির ক্ষতিপূরণ হিসেবে আমরা কিছু টাকা পেয়েছি কিন্তু ভোগদখলকৃত জমির ক্ষতিপূরণ এখনো পায়নি।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ৩৭ মাস অতিবাহিত হলেও এখনও কার্যকর কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা বাসা ভাড়া বাবদ দেবেন বললেও ছয় মাস পর সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা অনতিবিলম্বে আমাদের এই ছয় পরিবারের পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছি।
ওএফএ/এমএ