ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বাসায় ঢুকে তিন জনকে অজ্ঞান করে স্বর্ণ-টাকা লুট
রাজধানীর ডেমরা থানার হাজীনগর এলাকায় বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বাসায় ঢুকে তিন জনকে চেতনানাশক শরবত খাইয়ে অজ্ঞান করে স্বর্ণালংকার ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক বৃদ্ধ দম্পতি ও তাদের নাতনি অচেতন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বুধবার (২৮ মে) দুপুরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি দেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেল ৪ টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে ডেমরার সারুলিয়া হাজীনগর ১৫৩/২২ নম্বর ভবনের চতুর্থ তলার বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
চেতনানাশক শরবত খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন বৃদ্ধ শহিদুল ইসলাম (৭৭), তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৬৫) ও নাতনি ফৌজিয়া আলম (১৬)।
অসুস্থ শহিদুল ইসলামের ছেলে কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের নিজেদের বাড়িতে ভাড়া দেওয়ার জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। এই সুযোগে অজ্ঞাতপরিচয় দুই নারী বাসা দেখতে এসে আমার মায়ের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং চেতনানাশক মিশ্রিত বেলের শরবত খাওয়ায়। শরবত পান করার পর আমার বাবা শহিদুল ইসলাম, মা ফিরোজা বেগম এবং আমার ভাগ্নি ফৌজিয়া আলম অচেতন হয়ে পড়েন। এই সুযোগে প্রতারকরা তাদের গলা ও হাতে থাকা আনুমানিক ৪-৫ ভরি স্বর্ণালংকার, টাকা এবং আলমারি খুলে কিছু কাপড়চোপড় নিয়ে যায়। আমি রাত এগারোটার দিকে অফিস থেকে আসি। এসে তাদের এই অবস্থা দেখতে পাই। রাতে হাসপাতালে না নিলেও সকালে তাদের শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়লে তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক ৬০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে তারা ৬০১ নম্বর ওয়ার্ডের চিকিৎসাধীন রয়েছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কারও জ্ঞান ফেরেনি। জানিয়েছেন তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ডাক দিলেও তাদের কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, আজ দুপুরের পর ডেমরা থেকে দুই নারীসহ একজনকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে তাদেরকে ভর্তি দেন জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক। পরে আমরা ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে জানতে পেরেছি বাসা ভাড়ার কথা বলে প্রচারক চক্র ওই তিনজনকে বেলের শরবতের খাইয়ে অচেতন করে তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
এসএএ/এসআইআর