কলাবাগান ও যাত্রাবাড়ীতে ইডেন ছাত্রীসহ ২ নারীর অস্বাভাবিক মৃত্যু
রাজধানীর কলাবাগান ও যাত্রাবাড়ীতে পৃথক ঘটনায় এক শিক্ষার্থী ও এক নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন— নাজমা বেগম (৫০) এবং ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী সাথী মনি চৌধুরী (২৫)।
কলাবাগানে নারীর আত্মহত্যা
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৮ মে) দুপুর ৩টার দিকে অচেতন অবস্থায় নাজমা বেগমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা ভাগ্নে ডাক্তার ফয়সাল জানান, তার মামি বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। আজ নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেন। তারা দেখতে পেয়ে দ্রুত মামিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন, কিন্তু চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, নাজমা বেগমের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার ফরিদপুর গ্রামে। তিনি কামরুল হাসানের মেয়ে। বর্তমানে কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
যাত্রাবাড়ীতে ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
এদিকে, যাত্রাবাড়ীর ধনিয়া রসুলপুর রোড এলাকার একটি বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে ইডেন কলেজের এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) মধ্যরাতের দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার (২৮ মে) দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কাউসার হোসাইন জানান, খবর পেয়ে তারা যাত্রাবাড়ী ধনিয়া রসুলপুর রোড এলাকার একটি বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহত সাথীর বাবা দুই বছর আগে মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর থেকেই তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। মানসিক দুশ্চিন্তায় গত রাতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
নিহতের মামা আপেল চন্দ্র জানান, তার ভাগ্নি ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী। গত এক বছর আগে তার বাবা ভজন চন্দ্র চৌধুরী মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর থেকেই মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। তারা ধারণা করছেন, মানসিক সমস্যার কারণেই সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তিনি আরও জানান, তাদের বাড়ি ঢাকা জেলার ধামরাই থানার চন্ডিপুর গ্রামে। সাথী ওই এলাকার ভজন চন্দ্র চৌধুরীর মেয়ে। বর্তমানে ধনিয়া রসুলপুর রোড এলাকার ২৮৪/৫৩৭ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
এসএএ/এমজে