মে মাসে ৬০টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)। সংগঠনটি জানায়, এসব ঘটনায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩৮১ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির ৫ জন, আওয়ামী লীগের ৩ জন ও জামায়াতের ১ জন।

সোমবার (২ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় এইচআরএসএস। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও এইচআরএসএসের তথ্য অনুসন্ধানী ইউনিটের তথ্যের ভিত্তিতে মে মাসের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্যগুলো উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মে মাসে গণপিটুনির শিকার হয়ে ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৫ জন। মে মাসে অন্তত ৩১টি ঘটনায় কমপক্ষে ৯১ জন সাংবাদিক নির্যাতন, গ্রেপ্তার ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে ৩৩ জন, হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন ৭ জন ও গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩ জন। এ ছাড়া ৭টি মামলায় ৪৮ জন সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এইচআরএসএস বলছে, মে মাসে কমপক্ষে ১৩৬ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন অন্তত ৫৫ জন, যাদের মধ্যে ২৫ জন ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে ১৪ জন নারী ও কন্যাশিশু দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে তিনজনকে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, ও নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি উন্নয়ন করা জরুরি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনগণের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আর এসব বিষয় বাস্তবায়ন করতে না পারলে দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাবে। তাই এইচআরএসএস সরকারকে মানবাধিকার রক্ষায় ও সার্বিক পরিস্থিতি উন্নয়নে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে এবং দেশের সব সচেতন নাগরিক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতারা ও দেশিবিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে আরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এসএসএইচ