বিড়ির উপর অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার দাবি
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘গণমুখী ও বাস্তবভিত্তিক’ আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। একই সঙ্গে বিড়ির উপর অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারসহ বিড়ি শিল্পকে রক্ষায় ৪ দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (৩ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেন।
বিজ্ঞাপন
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিড়ি শিল্প দেশের প্রাচীন শ্রমঘন একটি শিল্প। বাংলাদেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে এই শিল্পের অবদান অপরিসীম। তবে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণে এ শিল্পে বারবার মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠার শুরুতে বিড়ির ওপর কোনো শুল্ক ছিল না। এখন অসম শুল্কের ভারে শিল্পটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, বিড়ি ও সিগারেট একই গোত্রভুক্ত হলেও এই দুই পণ্যের ওপর আয়করের হারে ব্যাপক বৈষম্য রয়েছে। বিড়ির অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ, যেখানে সিগারেটের ছিল ৩ শতাংশ। শ্রমিকদের দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে সিগারেটের অগ্রিম আয়কর বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হলেও বিড়ির ওপর অগ্রিম কর বহাল রয়েছে। তাই আমরা বিড়ির ওপর থেকে অগ্রিম আয়কর সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করারও দাবি জানাচ্ছি।
বিজ্ঞাপন
সভাপতি আমিন উদ্দিন বলেন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) ও জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (জেটিআই)-এর মতো বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এদেশের তামাকবাজার শোষণ করছে। তারা এ দেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। বর্তমানে তামাক বাজারের ৮০-৮৫ শতাংশ দখল করে আছে নিম্নস্তরের সিগারেট, যা মূলত বিএটি কোম্পানির। দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্প রক্ষায় এসব নিম্নমানের সিগারেট উৎপাদন বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, নকল বিড়ি উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে প্রতিটি জেলায় নকল বিড়ি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, লুৎফর রহমান, আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল গফুর, আবুল হাসনাত লাভলু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ইসলাম প্রমুখ।
এমএইচএন/জেডএস