পাঁচ মাসে দেড় শতাধিক খুন
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
বিজ্ঞাপন
বাজেট ‘স্মল’, কিন্তু ‘বিউটিফুল’ নয়
‘স্মল ইজ বিউটিফুল’ বা ছোটই সুন্দর—অর্থনীতিতে এই ধারণা বিখ্যাত করেছিলেন ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ আরনেস্ট ফ্রেডারিক সুমাখার। ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত স্মল ইজ বিউটিফুল: এ স্টাডি অব ইকোনমিকস অ্যাজ ইফ পিপল ম্যাটারড বইয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, এই যে বিশ্বব্যাপী বড় বড় প্রকল্প, বিশাল ব্যয়, বড় বড় কোম্পানি—এসবই কি উন্নয়ন। নাকি মানুষের কল্যাণই আসল উন্নয়ন।
বিজ্ঞাপন
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গতকাল সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের যে বাজেট পেশ করলেন, সেটিও বড় ব্যয়ের বাজেট নয়, বড় বড় প্রকল্পের কথাও তিনি বলেননি। কিন্তু এই বাজেট মানুষকে স্বস্তি দেবে কতটা সেই প্রশ্ন যেমন আছে, তেমনি মানুষ যে আরও দারিদ্র্য হচ্ছে, কাজ হারাচ্ছে, কমছে আয়—তা থেকে উত্তরণ ঘটানোর মতো পরিকল্পনাও তিনি দেননি। ফলে নতুন বাজেট সব অর্থেই ‘স্মল’, তবে ‘বিউটিফুল’ কি না, সেই প্রশ্ন করাই যায়।
সমকাল
দেশে বাইসাইকেলের বাজার বিস্তৃত হচ্ছে। দুই যুগ আগে দেশের বাজার পুরোটাই ছিল আমদানিনির্ভর। সেই চিত্র অনেকটা বদলে গেছে। মান ও দামের দিক থেকে বিদেশি ব্র্যান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে দেশি ব্র্যান্ডের সাইকেল।
সাইকেল আমদানিকারক ও নির্মাতাদের সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে বাইসাইকেলের স্থানীয় বাজার ১ হাজার ৮০০ কোটি থেকে দুই হাজার কোটি টাকার। এর মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে তৈরি হচ্ছে ৪০ শতাংশ বাইসাইকেল। সাইকেলের বাজার ধরতে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, হবিগঞ্জ, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জেলায় ছোট-বড় অনেক কারখানা গড়ে উঠেছে।
কালের কণ্ঠ
রাজধানীতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে দেড় শতাধিক ব্যক্তি হত্যার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ গত শনিবার মিরপুরের দারুসসালামের দ্বীপনগর এলাকায় দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নিহতদের মধ্যে নারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছে।
বণিক বার্তা
বেহাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ঋণের বোঝা আরো বাড়বে
‘ঋণ করে ঋণ শোধ’ করার যে নীতি বিগত সরকারের মেয়াদে গড়ে উঠেছিল, অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেটেও তা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এ মুহূর্তে সরকারের ঘাড়ে চাপা ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের মধ্যেই সে বোঝা বেড়ে ২৩ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হবে বলে প্রাক্কলন করেছে সরকার। আর ২০২৬-২৭ অর্থবছরে এ ঋণ আরো বেড়ে ২৬ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকায় ঠেকতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি’তে সরকারের ঋণ বৃদ্ধির এ চিত্র তুলে ধরা হয়।
কালের কণ্ঠ
আস্থাহীনতায় বিনিয়োগ তলানিতে। উচ্চ সুদের কারণে কাঙ্ক্ষিত ঋণ পাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। ডলারের উচ্চ দরে আমদানিতে বাড়তি খরচ। এর মধ্যে করের বোঝা চাপানো হলেও বেসরকারি খাতের জন্য স্বস্তির বার্তা নেই প্রস্তাবিত বাজেটে।
আরও পড়ুন
আজকের পত্রিকা
বিভিন্ন পর্যায়ের ২৬৫ জন বিচারককে বদলি করা হয়েছে। আজ সোমবার আইন মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়।
বদলি হওয়া বিচারকদের মধ্যে সহকারী ও সিনিয়র সহকারী জজ পদমর্যাদার ১৬২ জন, জেলা ও দায়রা জজ ৩০ জন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩৮ জন ও যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ২৩ জন।
দেশ রূপান্তর
সুদ গুনতে ব্যয় হবে ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা
একসময় বাজেটের সবচেয়ে বড় ব্যয়ের খাত ছিল শিক্ষা। কিন্তু ধীরে ধীরে সরকারের প্রাধিকার স্থানান্তরিত হতে থাকে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ধীরে ধীরে ভৌত অবকাঠামো খাতে বরাদ্দ বাড়তে থাকে। আর এসব অবকাঠামো বাস্তবায়নে দেশি-বিদেশি নানা উৎস থেকে অনেক বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয়। এসব ঋণের মধ্যে অনেকগুলো অপ্রয়োজনীয় ঋণও ছিল। সময়ের পরিক্রমায় সেসব ঋণ পরিশোধের সময় হয়েছে। ফলে বর্তমানে বাজেটের খাতভিত্তিক ব্যয়ে সবচেয়ে বড় ব্যয়ের খাত হিসেবে স্থান দখল করে নিয়েছে ঋণের সুদ পরিশোধ। আগামী অর্থবছরের জন্য ঋণের সুদ পরিশোধে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
সমকাল
চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন হাজারো রোগী
রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অচলাবস্থা কোনোভাবেই কাটছে না। সোমবার ষষ্ঠ দিনের মতো বন্ধ রয়েছে সেবা কার্যক্রম। সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজারো রোগী ফিরে গেছেন চিকিৎসা না পেয়ে।
চলমান অচলাবস্থার মধ্যে গতকাল হাসপাতাল পরিদর্শনে গেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি। তারা চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলছেন। তবে গত ২৯ মে গঠিত কমিটিকে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে পারেনি।
কালবেলা
ফরমায়েশের ঝাঁপি, বোঝা বাড়ার ভয়
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার এক কঠিন সময়ে গতকাল সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। প্রস্তাবিত এই বাজেটে মোটা দাগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপ সামাল দিয়ে জনমনে স্বস্তি দেওয়ার একটা প্রাণপণ চেষ্টা করা হয়েছে। তবে কঠিন অর্থনৈতিক বাস্তবতায় প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
যুগান্তর
আমেরিকান বিনিয়োগকারী রবার্ট কিয়োসাকির অভিমত- ‘একটি আর্থিক সংকট পেশাদার বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি দুর্দান্ত সময় এবং গড় বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ভয়ংকর সময়’। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ অর্থনৈতিক সংকটে দাঁড়িয়ে প্রথম বাজেট দিতে গিয়ে কিছুটা রবার্ট কিয়োসাকির পথে হাঁটার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কতটা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে পারবেন-তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।