আইসিটি শ্বেতপত্র প্রণয়নে অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য আহ্বান
দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সংঘটিত সম্ভাব্য অনিয়ম ও অপব্যবস্থাপনা চিহ্নিত করতে এবং একটি পূর্ণাঙ্গ শ্বেতপত্র প্রণয়ন করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেজন্য খাতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য দেওয়ার আহ্বান করা হয়েছে। অবশ্য, এক্ষেত্রে তথ্যপ্রদানকারী ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বছরের ১৭ এপ্রিল একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে আইসিটি বিভাগ। যার নেতৃত্বে রয়েছেন উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. এম. নিয়াজ আসাদুল্লাহ। এই টাস্কফোর্সের মূল কাজ ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়কালে আইসিটি খাতে কী কী প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে কোন কোন স্থানে অনিয়ম, দুর্নীতি কিংবা প্রশাসনিক ব্যর্থতা রয়েছে—তা অনুসন্ধান করা এবং গবেষণালব্ধ ফলাফলের ভিত্তিতে একটি তথ্যনির্ভর ও সমন্বিত ‘আইসিটি শ্বেতপত্র’ প্রকাশ করা।
বিজ্ঞাপন
আইসিটি সূত্রে জানা গেছে, টাস্কফোর্স ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং কয়েক দফা বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শ্বেতপত্র তৈরির কাজে নাগরিক সমাজ, প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সাধারণ জনগণের মতামত ও তথ্য সম্পৃক্ত করা হবে, যাতে করে শ্বেতপত্রটি হয় যথার্থ, নির্ভুল ও বাস্তবসম্মত।
এরই ধারাবাহিকতায়, টাস্কফোর্স সাধারণ জনগণের কাছ থেকে আইসিটি খাতসংক্রান্ত যেকোনো অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রশাসনিক ব্যত্যয় বা রাজনৈতিক প্রভাবের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিযোগ ও প্রমাণ আহ্বান করেছে। যেমন—টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কারসাজি, প্রকল্প অনুমোদনে স্বজনপ্রীতি, নির্ধারিত এলাকা পরিবর্তনে রাজনৈতিক চাপ কিংবা অকার্যকর খাতে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের মতো যেকোনো তথ্য সরাসরি জানানো যাবে টাস্কফোর্সকে।
বিজ্ঞাপন
এক্ষেত্রে, তথ্য-মতামত বা প্রস্তাবনা পাঠানোর জন্য টাস্কফোর্স বেশ কয়েকটি চ্যানেল চালু করেছে। আগ্রহী নাগরিকরা ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ictwhitepaperbd2025@gmail.com ঠিকানায়। এছাড়া, টাস্কফোর্সের ফেসবুক পেজ (facebook.com/ictwhitepaperbd2025) এবং লিংকডইন প্রোফাইল (linkedin.com/company/ictwhitepaperbd2025) ব্যবহার করেও মতামত ও প্রস্তাবনা পাঠানো যাবে।
পাশাপাশি সরাসরি উপস্থিত হয়ে তথ্য জমা দেওয়া যাবে টাস্কফোর্স প্রধানের কার্যালয়ে, যা অবস্থিত আইসিটি টাওয়ারের ৭ম তলার রুম-৭০৭-এ, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ভবনের নিচতলায় একটি ‘পরামর্শ বাক্স’ স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা নাম প্রকাশ না করেও তাদের অভিযোগ, অভিজ্ঞতা বা সুপারিশ গোপনীয়ভাবে জমা দিতে পারবেন।
টাস্কফোর্স জানিয়েছে, প্রাপ্ত সব তথ্য যথাযথ গোপনীয়তা ও গুরুত্বের সঙ্গে যাচাই-বাছাই করে বিবেচনায় নেওয়া হবে।
আরএইচটি/এমএ