চট্টগ্রামে কোরবানির ঈদে ৪ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য
ফাইল ছবি
ঈদুল আজহায় চট্টগ্রামে প্রায় ৪ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। গত বছরের তুলনায় কাঁচা চামড়ার দাম কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া এবার বাজারে লবণের দাম গত বছরের তুলনায় কমেছে। পাশাপাশি সরকার মাদরাসা ও এতিমখানায় বিনামূল্যে ৩০ হাজার টন লবণ সরবরাহ করেছে। এসব কারণে চামড়া সংগ্রহে কিছুটা স্বস্তি থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. মুসলিম উদ্দিন বলেন, গত বছর আমরা প্রায় ৩ লাখ ৬১ হাজার চামড়া সংগ্রহ করেছি। এর মধ্যে গরুর চামড়া ছিল প্রায় ৩ লাখ। এবার আমরা ৪ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য ধরেছি।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আগে ১০০ বেশি আড়তদার চামড়া সংগ্রহে যুক্ত থাকলেও এখন সেটি ৩০ নেমে এসেছে। আবার আগে চট্টগ্রামে ২২টি ট্যানারি ছিল। এখন আছে মাত্র একটি। এটি আমাদের কাছ থেকে ৪০ হাজারের মত চামড়া সংগ্রহ করে। বাকি চামড়া বিক্রির জন্য আমরা ঢাকার ট্যানারিগুলোর ওপর নির্ভরশীল।
জানা যায়, সরকার এ বছর কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে। ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। ঢাকার বাইরে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। সারা দেশে খাসির চামড়া ২২-২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছর ছিল ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা। এছাড়া সারা দেশে বকরির চামড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২০-২২ টাকা, যা গত বছর ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতির আহ্বায়ক আবদুল জলিল বলেন, সরকার যে দাম বেঁধে দিয়েছে, সেটি মূলত সংরক্ষিত ও প্রক্রিয়াজাত চামড়ার জন্য। অনেকেই ভুলভাবে ধরে নেন, আড়তদাররা মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও এই দামে চামড়া কিনবেন। ট্যানারি মালিকেরা সাধারণত চামড়ার মান বিবেচনায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত কর্তন করে থাকেন। তাছাড়া চট্টগ্রামে সব চামড়ার ক্রয়-বিক্রয় সম্ভব হয় না। ঢাকায়ও পাঠাতে হয়। এতে বাড়তি পরিবহন ও আড়ত খরচ পড়ে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, দেশে অতিরিক্ত কাঁচা চামড়া থাকলে তা রপ্তানির সুযোগ রাখা হয়েছে। আগের বিধিনিষেধ তুলে নিয়ে এবার চামড়া রপ্তানি উন্মুক্ত করা হয়েছে। সঠিক সংরক্ষণের জন্য সরকার দেশের মাদারাসা ও এতিমখানায় ৩০ হাজার টন লবণ সরবরাহ করেছে।
এমআর/এমএন