বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সম্মতি পেলে ‘করিডর’ স্থাপনে সহযোগিতা করবে জাতিসংঘ
রাখাইনে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য ‘মানবিক করিডর’ স্থাপন করার বিষয়ে জাতিসংঘ কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।
বুধবার (৪ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন আবাসিক সমন্বয়কারী।
বিজ্ঞাপন
গোয়েন লুইস বলেন, রাখাইনে মানবিক করিডর হবে কি না সেটা নির্ভর করবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সরকারের ওপর। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সরকার সম্মত হলেই এটা বাস্তবায়ন সম্ভব। দুদেশ সম্মতি দিলে জাতিসংঘ সহযোগিতা করবে। তবে এ বিষয়ে জাতিসংঘ কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
রাখাইনে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি ‘মানবিক করিডর’ স্থাপনের প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে বিতর্ক চলছে। গত ২৭ এপ্রিল রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে সরকারের নীতিগত সম্মতির তথ্য প্রকাশ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এরপর শুরু হয় করিডর বিতর্ক। প্রায় মাসখানেক কেটে গেলেও এখনো বিতর্ক থামেনি। চলছে সমালোচনা।
এই ইস্যুতে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে ছেড়ে কথা বলছে না। বরং ক্রমাগত চাপ তৈরি করছে। বিষয়টি এতটাই সমালোচনার জন্ম দিয়েছে যে, সম্প্রতি সরকারের তরফ থেকে ‘বিশেষ’ ব্রিফ পর্যন্ত করে অবস্থান স্পষ্ট করতে হয়েছে। তবে আলোচনা এখনো থামেনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান মামুন।
এনআই/এমএসএ