প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

প্রথম আলো

এবার সাড়ে ৪ কোটি বই কম লাগছে

আগামী বছরের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপার কাজ শুরু করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। মোট বইয়ের সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় সাড়ে চার কোটির বেশি কমছে। মাধ্যমিকেই বেশি বই কমছে। এর ফলে ছাপার কাজে খরচও কমছে।

দেশ রূপান্তর

আরিফ দম্পতির দেড়শ বিঘা জমি

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আরিফ মোস্তফা দায়িত্ব পালনকালে কম দামের যন্ত্র বেশি দামে কেনা, টেন্ডারবাজি ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের এবং স্ত্রী তাহেরা মোস্তফার নামে ঢাকা ও খুলনায় বিপুল পরিমাণ সম্পদ কিনেছেন। বিদেশেও বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন তিনি। তার ঢাকার গুলশান ও ধানম-িতে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনা এবং খুলনায় ১৫০ বিঘা জমি কেনার তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা হয়েছে। দুদক এসব অবৈধ সম্পদের বিষয়ে কাজ করছে।

প্রথম আলো

তালগাছ, দণ্ড কিছুই কাজে এল না

হাওর এলাকায় বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাতে সুনামগঞ্জের ৬টি উপজেলায় ২০২২ সালে ১৮টি বজ্রনিরোধক দণ্ড (লাইটনিং অ্যারেস্টার) স্থাপন করা হয়েছিল। এতে সরকারের কোটি টাকার ওপরে ব্যয় হয়। এসব দণ্ড কোথায় কীভাবে আছে, কেউ খোঁজ রাখেন না। এরও আগে ২০১৮ সালের দিকে সরকারি উদ্যোগে হাওরে তালগাছ লাগানো হয়েছিল। এখন সেসব গাছের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।

হাওরে বজ্রপাত থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে; কিন্তু কোনো প্রকল্পই সফলতার মুখ দেখেনি। ফলে বজ্রপাতে প্রাণহানির তালিকা প্রতিনিয়ত দীর্ঘ হচ্ছে।

দেশ রূপান্তর

বিচারের পর আ.লীগ নিষিদ্ধে সিদ্ধান্ত

আগামী জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হবে, সেটিতে কোনো দায়িত্বে থাকার ইচ্ছে নেই বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল বুধবার যুক্তরাজ্যের নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউজ আয়োজিত সংলাপে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান বলে প্রধান উপদেষ্টা প্রেস উইং থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়।

প্রথম আলো

৫১% মেয়ের বিয়ে আঠারোর আগেই

দেশের ৫১ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে ১৮ বছর হওয়ার আগেই। আবার ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী এক হাজার মেয়ের মধ্যে ৭১ জন এক বা একাধিক সন্তানের মা।

বাল্যবিবাহ ও কম বয়সী মেয়েদের সন্তান জন্ম দেওয়ার এই তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের জনসংখ্যাবিষয়ক সংস্থা ইউএনএফপিএর বার্ষিক প্রতিবেদনে। গত মঙ্গলবার ইউএনএফপিএর বৈশ্বিক জনসংখ্যা পরিস্থিতি ২০২৫ বিষয়ক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

সমকাল

জুলাই সনদ ঘোষণা করে তার ভিত্তিতে নির্বাচন

আগামী জুলাই মাসে দেশের সব রাজনৈতিক দলের উপস্থিতিতে জুলাই সনদ ঘোষণা করে তার ভিত্তিতে নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল বুধবার লন্ডনে যুক্তরাজ্যের নীতিগবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে তিনি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা ও তার প্রতিক্রিয়া, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কসহ নানা বিষয়ে তাঁর অবস্থান তুলে ধরেন। জবাব দেন বিভিন্ন প্রশ্নের। খবর বাসস, বিবিসি বাংলা ও ইউএনবির।

কালের কণ্ঠ

ঋণখরায় ব্যবসা-বিনিয়োগ স্থবির

দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা চলছে। ডলার সংকট, বিদ্যুৎ-জ্বালানির সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্যোক্তাদের আস্থাহীনতার পাশাপাশি এই স্থবিরতার বড় কারণ ঋণের উচ্চ সুদহার। কঠোর মুদ্রানীতির কবলে পড়ে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধিতে বড় ধাক্কা লেগেছে। এতে পুরনো ব্যবসার সম্প্রসারণ যেমন থমকে গেছে, তেমনি নতুন বিনিয়োগ ঠেকেছে তলানিতে।

সমকাল

পরীক্ষার খাতা দেখতে অনীহা শিক্ষকদের

সম্মানী কম এবং তা পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়ায় পাবলিক পরীক্ষার খাতা দেখতে চান না শিক্ষক-পরীক্ষকরা। চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার খাতা দেখা নিয়েও তাদের আগ্রহ কম। এবার শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে অনেকটা জোর করে খাতা দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের।

তবে প্রাইভেট পড়ানো ও কোচিংয়ে যুক্ত থাকলে আয় বেশি হওয়ার কারণেও শিক্ষকরা দিন দিন খাতা দেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বলে মনে করছেন কেউ কেউ। অনেক শিক্ষক নিজেরা খাতা দেখেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে। স্বজনকে দিয়ে খাতা দেখানোয় অনেক ক্ষেত্রে ভুল হয়। এর প্রভাব পড়ে ফলে। দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। 

বণিক বার্তা

রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামা করছে ১১ মাস ধরে

দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই উৎস রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়। চলতি অর্থবছরে এ দুটি খাতেই বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর মধ্যে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ। আর প্রায় ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে রফতানি আয়ে। তবে প্রধান এ দুই উৎসের উচ্চ প্রবৃদ্ধিও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে পারছে না। গত ১১ মাস বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

সমকাল

বাংলাদেশে শিশু গৃহকর্মী সুরক্ষায় আইন নেই

শিশুশ্রম নিয়ে আইন আছে। কিন্তু গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুদের সুরক্ষায় আইন নেই। অথচ দেশে প্রতিনিয়ত ৪০ শতাংশ শিশু, আর রাজধানীতে প্রায় ৫০ শতাংশ শিশু নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হয়। তারা মারধরসহ নানা নিপীড়ন সহ্য করছে। তাই সুনির্দিষ্ট আইন ও এর যথাযথ প্রয়োগ এসব শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবে বলে মনে করেন শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

তারা মনে করেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) আলোকে সরকার চলতি বছরের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকারের এ প্রতিশ্রুতি ও ঘোষণা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুর অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন এবং তার সফল বাস্তবায়ন। বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতায় আইন কমিশনের জন্য এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবেও বিবেচিত হবে বলে মনে করছেন তারা।

আজকের পত্রিকা

দুর্বল ব্যাংক উদ্ধারে আগের পথেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক

দুর্বল ব্যাংককে আর টাকা ছাপিয়ে সহায়তা দেওয়া হবে না, দায়িত্ব নেওয়ার পর একাধিকবার এমনটাই বলেছিলেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। কিন্তু সেই কথায় অনড় থাকতে পারেননি তিনি। পূর্বসূরিদের মতো তিনিও টাকা ছাপিয়ে ‘ব্যাংক বাঁচানোর’ পথ অনুসরণ করে চলেছেন। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, টাকা ছাপিয়ে দুর্বল ব্যাংককে সহায়তার এই পথটা ঠিক নয়। এতে ব্যাংকগুলোকে উদ্ধার করা তো যাবেই না, উল্টো মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর থেকে টাকা ছাপানো, গ্যারান্টি ও বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে দেওয়া মোট সহায়তার পরিমাণ ৫৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ঈদের দুই কার্যদিবস আগেও ৫টি ব্যাংককে ৩ হাজার কোটি ছাপানো টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্ট থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংককে ১ হাজার কোটি, এবি ব্যাংককে ৫০০ কোটি, বেসিক ব্যাংককে ৫০০ কোটি, ইউনিয়ন ব্যাংককে ৫০০ কোটি এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়।

কালবেলা

থানার দরজায় নতুন দালাল

নতুন পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর পুলিশপ্রধান (আইজিপি) থেকে শুরু করে থানার ওসি পর্যন্ত সব কর্মকর্তাই থানাকে সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন। পুলিশ ও জনগণের সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে থাকেন তারা। কিন্তু থানায় পুলিশ-জনতার সেতুবন্ধনের মধ্যে প্রভাবক হয়ে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে আরেকটা শ্রেণি; যারা দালাল হিসেবে পরিচিত। গত বছর সরকার পতনের পর থানাগুলোয় এসেছে পুলিশের নতুন মুখ, তবে আগের মতোই প্রতিবন্ধক হিসেবে থেকে গেছে দালালদের দৌরাত্ম্য। অবশ্য মুখ বদলেছে তাদেরও।