প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

প্রথম আলো

পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়ল

ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে দুই দেশ। ইসরায়েলে গত শনিবার রাতভর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। একই রাতে ইরানের গ্যাসক্ষেত্র ও তেল শোধনাগারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের কতজন নিহত হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।

গতকাল রোববার ছিল দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলার তৃতীয় দিন। শনিবার রাতের পর রোববার দিনের বেলায়ও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। এদিন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। চলমান সংঘাতে এই প্রথম ইরানপন্থী কোনো গোষ্ঠী যোগ দিল। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশকে শান্ত করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।

দেশ রূপান্তর

আ.লীগের গোপন প্রস্তুতি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগসহ তার অঙ্গসংগঠনের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ, এ সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আগেই দিয়েছে সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও দেশকে অস্থিতিশীল করতে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের নামে মাসব্যাপী কর্মসূচির পরিকল্পনা নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নবিদ্ধ করতে র‌্যাব-পুলিশের পোশাকে ছিনতাই-ডাকাতি, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ ও ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণহত্যার বিচার বন্ধের দাবিতে ঢাকা মহানগর ও বিভাগীয় শহরগুলোতে বিক্ষোভ, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গভীর রাতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ভার্চুয়াল আলোচনা সভা এবং স্বল্প পরিসরে একত্রিত হয়ে ঝটিকা মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছে দলটি। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এ কর্মসূচি পালনে নির্ধারিত তারিখ ২৩ জুনের আগে ও পরে মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবার গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য কর্মসূচি শেষে জনসাধারণের সঙ্গে মিশে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দলের গুপ্ত কার্যক্রমে নিয়োজিত কর্মীদের।

প্রথম আলো

এসএসসিতে অনুপস্থিতির বড় কারণ বাল্যবিবাহ

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় ছয় হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। তাদের মধ্য থেকে পাওয়া ১ হাজার ২০৩ জনের তথ্য বলছে, প্রায় ৪০ শতাংশের (৪৮১) বিয়ে হয়ে গেছে।

বিয়ে হওয়ার এ হার মেয়ে ও ছেলে মিলিয়ে। এ ছাড়া ৭ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল পারিবারিক অসচ্ছলতার জন্য কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়ার কারণে। বাকিরা অসুস্থতা, প্রস্তুতি ভালো না থাকাসহ নানা কারণে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।

সমকাল

প্রস্তুতিতে গতি বাড়াচ্ছে কমিশন

সময়সীমা নির্ধারণ হওয়ায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে গতি বাড়াচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই অংশ হিসেবে ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে গতকাল রোববার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি আগামী বৃহস্পতিবার কমিশন সভা আহ্বান করতে পারেন বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য দিনক্ষণ নির্ধারণ নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা কমলেও কমিশনের প্রস্তুতিতে অনেক ঘাটতি রয়েছে। নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, সংসদের সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা, নির্বাচনী আচরণবিধিমালা সংশোধন ও নির্বাচনী সরঞ্জাম সংগ্রহের কাজ আটকে রয়েছে পরিকল্পনাতে। এ-সংক্রান্ত আইন সংশোধনের কাজও ফাইল চালাচালিতে সীমাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা। তবে বৃহস্পতিবার সভা হলে সেখানে এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

সমকাল

নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আসা শুরু, ইউনিট ৭ টাকা ৮৭ পয়সা

নেপাল থেকে আমদানি বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। শনিবার রাত ১২টার দিকে ভারতের সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করে দেশটি থেকে প্রথম ৩৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি ইউনিটের দাম ৭ টাকা ৮৭ পয়সা (৬ দশমিক ৪ সেন্ট)। ভারতের মুজাফফরপুর-বাহারামপুর হয়ে বাংলাদেশের ভেড়ামারা দিয়ে এ বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।

বাংলাদেশ-নেপাল পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি করেছে। প্রতিবছর ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাস বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে নেপাল। গত বছরের ১৫ নভেম্বর চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতীকী হিসেবে এক দিনের জন্য বাংলাদেশে বিদ্যুৎ দিয়েছিল নেপাল।

কালের কণ্ঠ

অর্থনৈতিক মন্দা কাটছে না

ব্যাংক খাতে অস্থিরতা, খেলাপি ঋণ, বিনিয়োগ স্থবিরতা, মূল্যস্ফীতি ও জ্বালানিসংকটে নাজুক দেশের আর্থিক ভিত্তি। বলতে গেলে বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নানা সূচকে নেমে এসেছে উদ্বেগের ছায়া, বেড়েছে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। চলমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নীতিগত দুর্বলতা যোগ হয়ে দেশের সার্বিক অর্থনীতির মন্দা কোনোভাবেই কাটছে না।

কালের কণ্ঠ

জুলাই শহীদ ও আহতদের জন্য ৩৮১৩ কোটি টাকার ৮ প্রকল্প

২০২৪ সালের জুলাই মাসে দেশের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া এক ব্যতিক্রমী ছাত্র-জনতার আন্দোলন। ঢাকা থেকে খুলনা, চট্টগ্রাম থেকে রাজশাহী, সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার গর্জনে কেঁপে উঠেছিল দেশ। পুলিশি গুলিতে ঝরে যায় তরুণ প্রাণ, অনেকেই চিরতরে পঙ্গু। এবার সেই ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও ক্ষতিগ্রস্তদের সম্মান জানাতে এবং পুনর্বাসনের জন্য আটটি বড় উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

বণিক বার্তা

শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ক্ষত তৈরি করেছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও অটোপাস

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জেরে ২০২০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অটোপাস দিয়েছিল তৎকালীন সরকার। আর ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা এবং উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে জুলাই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থগিত হওয়া ২০২৪ সালের এইচএসসির পরীক্ষাগুলোয় অটোপাস দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস অনুযায়ী। শিক্ষক, অভিভাবকসহ শিক্ষার নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২০ সালের পর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অটোপাস, সিলেবাস সংক্ষিপ্তকরণের মতো ঘটনা শিক্ষার মানে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

আজকের পত্রিকা

রাজধানীতে অপরাধী চক্রের দ্বন্দ্বে পাঁচ মাসে ৫৬ খুন

রাজধানী ঢাকায় গত পাঁচ (জানুয়ারি থেকে মে) মাসে ১৬৮ জন খুন হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ (৫৬ জন) হত্যাকাণ্ডই ঘটেছে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ডিশ-ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অপরাধী চক্রের দ্বন্দ্বের জেরে। বেশির ভাগ হত্যা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। কয়েকটি হত্যার সঙ্গে পলাতক সন্ত্রাসীদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।

ক্ষমতার পালাবদলে সন্ত্রাসী চক্রগুলো এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য এই খুনোখুনি রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। পাশাপাশি সামাজিক অস্থিরতাও তৈরি করছে। এসব সন্ত্রাসীর পেছনে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগও রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের বেশির ভাগই গ্রেপ্তার হয়নি।

যুগান্তর

এবার কর্মকর্তা-কর্মচারী একসঙ্গে আন্দোলনে

সরকারি চাকরি (সংশোধিত) অধ্যাদেশ-২৫ বাতিলের দাবিতে আজ (সোমবার) থেকে ফের কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এবার কর্মচারীদের সঙ্গে মাঠে নামছেন প্রশাসন ক্যাডারসহ নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের ভাষায় নিবর্তনমূলক ও কালো আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত থাকবে। দাবি আদায় না হলে প্রয়োজনে তারা এ আন্দোলন মাঠ প্রশাসনে ছড়িয়ে দেবেন। তবে আন্দোলনের কর্মসূচি হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং শৃঙ্খলিত। কর্মসূচির অংশ হিসাবে আজ সচিবালয়ে মিছিল-সমাবেশ শেষে স্বরাষ্ট্র, সমাজকল্যাণ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ঈদুল আজহার আগে একই দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ শেষে আইনসহ বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা এবং মন্ত্রিপরিষদ ও জনপ্রশাসন সচিবকে স্মারকলিপি দিয়েছিল কর্মচারী সংগঠনগুলো।

বণিক বার্তা

এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা

দেশের ব্যাংক খাতে চাপিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। তাই অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে এর পরিমাণ ও হার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের মার্চ শেষে তফসিলভুক্ত ৬১টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকায়। অর্থাৎ ব্যাংক খাতের বিতরণকৃত ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশই এখন খেলাপির খাতায়।

যুগান্তর

খেলাপি ঋণ বাড়ছে বেপরোয়া গতিতে

ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের আসল চিত্র। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত খেলাপি ঋণ অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এটি বিতরণ করা ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ, যা খুবই হতাশা ও আশঙ্কাজনক। গত ডিসেম্বর থেকে মার্চ-এ তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। গত বছরের মার্চের তুলনায় চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এই এক বছরে বেড়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংক খাতে লুটপাটের ঋণ এখন খেলাপি হচ্ছে। এ কারণে খেলাপি ঋণ বেড়ে যাচ্ছে বেপরোয়া গতিতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

কালবেলা

দুর্ভোগের শেষ নেই বিচারপ্রার্থীদের

সন্তানের ভরণ-পোষণ, খোরপোশ ও কাবিনের টাকার দাবিতে করা মামলায় ২০২২ সাল থেকে ঢাকার আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন দোহারের শারমিন আক্তার। ঢাকার প্রথম পারিবারিক আদালতে তার মামলাটি বিচারাধীন। গত ধার্য তারিখে আদালতে এসে ফিরে গেছেন। গতকাল রোববার তার মামলার শুনানির পরবর্তী ধার্য তারিখ ছিল। সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে এসেছেন। আদালতে আসার পর জানতে পারেন, আদালত বসছেন না। একদিকে বছরের পর বছর বিচার পাননি, তার পরও কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ করে আদালত না বসার খবরে শারমিনের মন বিষণ্নতায় ভরা।

গতকাল বেলা ১১টার দিকে প্রথম পারিবারিক আদালতের সামনে শারমিনের সঙ্গে কথা হয় কালবেলা প্রতিবেদকের।