ভাঙলে নদী নিজের জমি চরের নামে ‘পর’ হয়
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
বিজ্ঞাপন
‘মব’ তৈরি করে সাবেক সিইসিকে হেনস্তার পর পুলিশে সোপর্দ
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে ‘মব’ (উচ্ছৃঙ্খল জনতার বিশৃঙ্খলা) তৈরি করে হেনস্তার পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আজ রোববার রাজধানীর উত্তরার বাসায় ঢুকে একদল লোক তাঁকে বের করে আনেন এবং জুতার মালা পরিয়ে দেন। ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ জানিয়েছে, পরে বিএনপির করা একটি মামলায় নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। রাতে এই প্রতিবেদন লেখার সময় তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে ছিলেন।
সমকাল
১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়, বিএনপির নারাজি
প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হতে পারেনি। ফলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের সংলাপে প্রস্তাব করেছে, কেউ জীবনে ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রীর পদ দুইবারে সীমাবদ্ধ করার প্রস্তাবে বিএনপির বিরোধিতার সূত্র ধরেই নতুন এ প্রস্তাব আসে। তবে দলটি এতেও রাজি নয়।
যদিও জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলনসহ অধিকাংশ দল প্রস্তাবে একমত। বিএনপির এবারের অবস্থান সমর্থন করেছে এনডিএম ও ১২ দলীয় জোট। সংলাপের পর লেবার পার্টিও বিএনপির পক্ষে অবস্থানের কথা জানায়।
বণিক বার্তা
অর্থ উপদেষ্টা স্বীকার করলেন বাজেট হয়েছে চিরাচরিতভাবেই
গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এবারের বাজেটে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্যে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এছাড়া আয়কর, মূল্য সংযোজন কর ও শুল্কের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন এসেছে। অন্যদিকে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রফতানিতে প্রণোদনা কমানোর ঘোষণা এসেছে।
যুগান্তর
পাগলা ঘোড়ার গতিতে বাড়ছে মন্দ ঋণ
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে লুটপাটের মাধ্যমে নেওয়া ঋণের সবই এখন খেলাপি হচ্ছে। এসব ঋণ দীর্ঘ সময় ধরে পরিশোধিত না হওয়ায় খেলাপি ঋণের তিনটি ধাপের মধ্যে শেষ ধাপে অর্থাৎ আদায় অযোগ্য কু-ঋণ বা মন্দ ঋণে পরিণত হচ্ছে। এসব ঋণ আদায় হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে বলে এর বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে অর্জিত মুনাফা থেকে শতভাগ প্রভিশন রাখতে হয়। যেভাবে মন্দ ঋণ বাড়ছে, সেভাবে মুনাফা বাড়ছে না। ফলে ব্যাংকগুলো মন্দ ঋণের বিপরীতে চাহিদা অনুযায়ী প্রভিশন রাখতে পারছে না। এতে প্রভিশন ঘাটতি বাড়ছে। পাশাপাশি ব্যাংকের ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদও বেড়ে যাচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের বিপরীতে চাহিদা অনুযায়ী মূলধন রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ব্যাংকগুলোর মূলধন কমে গেছে স্মরণকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে। এতে ব্যাংকগুলো আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে। দুর্নামের কারণে আন্তর্জাতিক ব্যবসায় খরচ বেড়ে গেছে। যে কারণে উদ্যোক্তাদের ব্যবসা খরচ বেড়ে গিয়ে পণ্যের দামও বেড়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে ঋণের সুদের হার বাড়ছে ও ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা প্রত্যাশিত লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন
বণিক বার্তা
বাংলাদেশে রেল ট্রানজিটের তিন প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে ভারত
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের রেলপথ ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গের গেদে থেকে ভুটান সীমান্তবর্তী ডালগাঁও পর্যন্ত নিজেদের ট্রেন পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছিল ভারত। এর আগেই ভারত বাংলাদেশের তিনটি রেলপথ উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়, যেগুলো নেয়া হয়েছিল এই ‘ট্রানজিট করিডোর’ উন্নয়নের অংশ হিসেবে। প্রকল্পগুলো হলো বগুড়া-সিরাজগঞ্জে নতুন রেলপথ নির্মাণ, খুলনা-দর্শনায় ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণ ও পার্বতীপুর-কাউনিয়ার মিটার গেজ রেল ডুয়াল গেজে রূপান্তর। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রকল্প তিনটি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে ভারত।
প্রথম আলো
রাজধানীর বাজারে এখন এক কেজি ওজনের একটি নদীর ইলিশের দাম চাওয়া হয় আড়াই হাজার টাকা, যা পোশাক খাতের একজন শ্রমিকের প্রায় ছয় দিনের নিম্নতম মজুরির সমান। গরমকালে মধ্যম আয়ের একটি পরিবারের এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এবং যেকোনো মৌসুমে দুই মাসের গ্যাস বিলের (মিটার ছাড়া) সমান টাকা দিয়ে কেনা যায় একটি ইলিশ।
ছোট ইলিশও কেনার সুযোগ কম। ৫০০ গ্রাম আকারের নদীর (চাঁদপুর ও বরিশাল) ইলিশের প্রতি কেজির দাম সর্বনিম্ন দেড় হাজার টাকা। আর মাঝারি আকারের (৮০০ গ্রাম) এক কেজি ইলিশ কিনতে আপনাকে দিতে হবে প্রায় দুই হাজার টাকা। সাগরের ইলিশের দাম কিছুটা কম।
সমকাল
অবশেষে ইরানে হামলা চালিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতে সরাসরি নিজেকে জড়াল যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার মধ্যরাতে বোমা ফেলে দেশটির তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের ঘোষণা দেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তেহরান দ্রুত শান্তির পথে না এলে আরও হামলা চালানো হবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। এ হামলার মাধ্যমে কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে ধ্বংস করা হয়েছে জানিয়ে ‘চিরস্থায়ী পরিণতি’ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। এরই মধ্যে গতকাল রোববার বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথ হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। তবে ইরান মার্কিন নৌবহর কিংবা সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করবে কিনা, তা নিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
দেশ রূপান্তর
বন্দর কর্তৃপক্ষই চালাবে টার্মিনাল
চট্টগ্রাম বন্দরের বহুল আলোচিত এনসিটি কনটেইনার টার্মিনাল এখনই দেশি বা বিদেশি অপারেটরের হাতে যাচ্ছে না। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেরাই এ টার্মিনালটি পরিচালনা করবে। টার্মিনালটি পরিচালনা করতে আগামী ছয় মাসে প্রায় ৪২ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। এ টাকা খরচের অনুমতি চেয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে গত ১৯ জুন তারিখের স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এনসিটি কনটেইনার টার্মিনাল প্রাইভেট অপারেটরের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আগামী ৬ জুলাই এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এনসিটি নিয়ে গত ১৮ জুন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভার আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে টার্মিনালটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করবে বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আর তা আগামী ছয় মাস মেয়াদে পরিচালনা করা হবে। কিন্তু টার্মিনালে থাকা কি-গ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার টায়ারড গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ অন্যান্য ইকুইপমেন্ট পরিচালনা ও আইটি ব্যবস্থাপনার জন্য মাসে ৭ কোটি টাকা হারে ছয় মাসে ৪২ কোটি টাকা খরচ হবে। কিন্তু মাসে ৫ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে খরচের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন। আর এ চিঠিতে সেই অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।
কালবেলা
ভাঙলে নদী নিজের জমি চরের নামে ‘পর’ হয়
নদীভাঙনে বসতভিটা হারিয়েছেন। কষ্টেসৃষ্টে হয়তো জীবন গুছিয়ে নিয়েছেন অন্যত্র। দীর্ঘ বছর পর হয়তো যেদিকে ভাঙন হয়েছিল, সেদিকে চর জাগে।
জমির অবস্থান এবং কাগজপত্র থাকলেও সেই জমির ওপর তাদের আর মালিকানা থাকছে না। ভাঙনে নিঃস্ব মানুষের জমি একসময় ফিরলেও আইনের মারপ্যাঁচে হয়ে যাচ্ছে সরকারের খাসজমি। এমন ঘটনা শুধু একজনের নয়। দেশের বিভিন্ন নদনদীর পাড়ে ভাঙনের শিকার লাখ লাখ মানুষ একই বাস্তবতার মুখোমুখি। জমি ভেঙে গেলে তা ফেরত পাওয়ার আইন থাকলেও চরের জমি ‘সরকারি’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে পূর্বতন মালিকদের বাদ দিয়েই। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্যদিকে আইনি জটিলতা এবং প্রশাসনিক উদাসীনতা—সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবনে বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে জমির মালিকানা। স্বাধীন বাংলাদেশে দুইবার এ আইন আংশিক পরিবর্তন হলেও ৩০ বছরের সময়সীমা তুলে দেওয়া হয়নি। এসব আইনে জমির মূল মালিক বরাদ্দের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেলেও জমি যদি ৩০ বছরের বেশি নদীর মধ্যে থাকে তবে সেক্ষেত্রে জমির মালিকের আর কোনো অধিকারই থাকবে না।