স্বাধীনতাবিরোধীদের নির্মূল করতে না পারা বড় ব্যর্থতা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ
সরকারের টানা একযুগের ক্ষমতার সময়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে নির্মূল করতে না পারাকে বড় ব্যর্থতা বলে মনে করছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সচিত্র বঙ্গবন্ধু’ অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন ও বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও একটি বড় রাজনৈতিক দল, যারা স্বাধীনতা চায়নি তাদেরকে দিয়ে রাজনীতি করে। এই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশ থেকে নির্মূল হয়নি। এটি আমাদের ব্যর্থতা, আমরা তাদের নির্মূল করতে পারিনি।
সরকারের এক যুগ পূর্তিতে বড় সফলতা এবং বড় ব্যর্থতা কি, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একযুগ পূর্তিতে সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে, দেশের যেমন উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে, তেমনি প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। দারিদ্র্যতা কমেছে। বাংলাদেশে এখন ছেঁড়া কাপড় পড়া মানুষ দেখা যায় না, এখন খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন কুঁড়েঘর আছে কবিতায়। এই পরিবর্তন ১২ বছরে শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ১২ বছর আগে আমরা বলতাম ক্ষুধা এবং দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব। আমরা ক্ষুধাকে এরইমধ্যে জয় করতে সক্ষম হয়েছি।
বাংলাদেশ খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ বছর মুনাফালোভীরা যাতে দাম বাড়াতে না পারে সেজন্য চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। চাল উৎপাদনে ঘাটতির জন্য নয়, মুনাফালোভীরা যাতে জনগণকে জিম্মি করতে না পারে সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমাদের এই উন্নয়ন অগগ্রযাত্রা বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা দেখতে পায় না। একইসঙ্গে কিছু-কিছু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি, যারা অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করে, মাঝেমধ্যে রিপোর্ট পেশ করেন, তারাও এ উন্নয়ন অগ্রগতি দেখেন না, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমি আশা করব, সরকার দায়িত্বে যেহেতু আছে সমালোচনা হবে, সমালোচনা থাকবে, সমালোচনা থাকতে হবে। কিন্তু সমালোচনা যেন অন্ধের মতো না হয়। যে অগ্রগতি হয়েছে সেটির প্রশংসা থাকতে হবে এবং গঠনমূলক সমালোচনা থাকতে হবে, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে।
এসএইচআর/জেডএস