প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

প্রথম আলো

ছয় মাসে খুন বেড়েছে

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেশে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে খুনের ঘটনা। জানুয়ারিতে সারা দেশে খুনের মামলা হয় ২৯৪টি, জুনে হয়েছে ৩৪৪টি। গত ছয় মাসে ডাকাতি, দস্যুতা, ধর্ষণ ও পুলিশ আক্রান্ত হওয়ার মতো ঘটনায় মামলা কখনো বেড়েছে, কখনো কমেছে।

গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের দেওয়া পুলিশ সদর দপ্তরের অপরাধ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রেস উইং ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত অপরাধের পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে।

কালবেলা

আ.লীগের মন্ত্রীর ভাই পাচ্ছেন ১ কোটি বই ছাপার কাজ

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের সব সেক্টর থেকে ওই সরকারের সুবিধাভোগীদের সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও ব্যতিক্রম শুধু জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সরকারি এ দপ্তরটি হাঁটছে উল্টোপথে। দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতিতে ডুবে থাকা দপ্তরটি এবার আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগীদের পুনর্বাসন শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের সাবেক এক মন্ত্রীর ভাইকে ১ কোটি ৩৩ লাখ বই ছাপার কাজ দেওয়া হয় গত বছর, যা নিয়ে শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। আপত্তি তোলে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। এর পরও আগামী ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে তাকে ১ কোটির বেশি বইয়ের কাজ দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। শুধু তাই নয়, বিতর্কিত এই মুদ্রাকরকে নিয়ে গোপনে বৈঠক করেন সংস্থাটির কর্তাব্যক্তিরা।

সমকাল

জলবায়ু উদ্বাস্তুদের ফ্ল্যাট প্রভাবশালীদের দখলে

কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীতীরে গড়ে ওঠা আবাসন প্রকল্পে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের ৪ হাজার ৪০৯ জনের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ বরাদ্দের তালিকায় স্থানীয় প্রভাবশালীর সংখ্যাই বেশি, যার অধিকাংশ তৎকালীন শাসক দলের নেতা।

গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মহিবুল হাসানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তালিকা বাতিল করা হয়। এতে বলা হয়, কক্সবাজারে জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্পে (খুরুশকুল) নির্মিত বহুতল ভবনের উপকারভোগী বাছাই, সরকারি ফ্ল্যাট হস্তান্তর ও রক্ষণাবেক্ষণ নীতিমালা-২০২৫ অনুযায়ী এ প্রকল্পে পুনর্বাসনের জন্য ২০১১ সালে প্রণীত ৪ হাজার ৪০৯ জনের তালিকা ত্রুটিপূর্ণ, প্রশ্নবিদ্ধ ও পক্ষপাতদুষ্ট। 

আজকের পত্রিকা

ঋণ নিয়ে উধাও ইয়াসীন, ব্যাংকের গচ্চা ১৬২৬ কোটি

বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসি থেকে নেওয়া ঋণের ১ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা এক যুগেও পরিশোধ করা হয়নি। এই অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ উঠেছে এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেড ও ফ্রেন্ডস মাল্টিট্রেড কোম্পানি নামক দুটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত সময়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের যোগসাজশে এই অর্থ তুলে নেন এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াসীন চৌধুরী, পরিচালক খাতুনে জান্নাত ও হামিদা খাতুন। পরে তা বিদেশে পাচার করেছেন ইয়াসীন চৌধুরী।

দেশ রূপান্তর

অবসরের বয়স বাড়ে ইচ্ছেমতো

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুজন পরিচালক এ বছরেই অবসরে যাবেন। তারা সবসময়ই সংস্থাটির প্রাইম পোস্টগুলোতে চাকরি করেছেন। এখন অবসরের সময়ে এসে মনে হচ্ছে আরও কিছুদিন চাকরি করতে হবে। সংস্থাটিতে কর্মকর্তা, কর্মচারী, প্রকৌশলী, পাইলট কেবিন ক্রুসহ অন্যদের নানা সংগঠন, ইউনিয়ন ও অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে। এসব সংগঠন, ইউনিয়ন ও অ্যাসোসিয়েশন নেতাদের ডেকে এই দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ‘উসকে’ দিচ্ছেন। তাদের বলেছেন, ‘সংগঠনের প্যাডে চাকরি থেকে অবসরের বয়স বাড়ানোর দাবি জানাতে।’ সেই চিঠিতে কি লিখতে হবে তার খসড়াও তারাই করে দিচ্ছেন। এ ধরনের একাধিক সংগঠন, অ্যাসোসিয়েশন ও ইউনিয়নের চিঠি বিমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেছে। এসব আবেদনের বক্তব্য একই। রেফারেন্স হিসেবেও একই বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এসব চিঠিতে বলা হয়েছে, বিদ্যুতের সরকারি কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৬২ বছর বয়সে অবসর নিচ্ছেন। কয়টি ব্যাংকেও এই বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। কাজেই বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়সও বাড়াতে হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সংগঠনের নেতা দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বণিক বার্তা

জনপ্রশাসন ও পুলিশ সংস্কারের উদ্যোগ চাপা পড়ে যাচ্ছে

দেশে ফ্যাসিবাদী কাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল জনপ্রশাসন ও পুলিশের। জনগণের সেবক না হয়ে শাসক হয়ে উঠেছিল সরকারের এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। সরকারি চাকরির শর্ত ভঙ্গ করে অনেক আমলা ও পুলিশ বাহিনীর সদস্য আবির্ভূত হয়েছিলেন রাজনৈতিক কর্মীর ভূমিকায়। গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি প্রতিষ্ঠানে আমূল সংস্কার হবে। সংস্কারের মধ্য দিয়ে লালফিতার দৌরাত্ম্য কিংবা পুলিশি রাষ্ট্র থেকে বের হয়ে আসবে বাংলাদেশ। কিন্তু অভ্যুত্থানের এক বছর হতে চললেও গণমানুষের সে প্রত্যাশা অর্জিত হয়নি।

ইত্তেফাক

সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীদের তথ্য সংগ্রহে মাঠে পুলিশ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েছে এই তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম। দেশের প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন এমন প্রত্যেক প্রার্থীর ১১টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে। এই কাজকে ‘অত্যন্ত জরুরি’ উল্লেখ করে পুলিশ সদর দপ্তর সব থানাকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।

কালবেলা

শত শত শিক্ষার্থীর টাকা হাতিয়ে গ্রেপ্তার ক্যামব্রিয়ানের বাশার

‘বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ’—এমন প্রতিশ্রুতিতে ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে শত শত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের কর্ণধার খায়রুল বাশার বাহার এবং তার চক্রের সদস্যরা। ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক। বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখিয়ে শত শত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতে অভিযুক্ত বাশারকে মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল সোমবার দুপুরে সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে একটি টিম রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে আটক করে।

যুগান্তর

ধরাছোঁয়ার বাইরে দুর্নীতি ধামাচাপার তিন কারিগর

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার আমলে বড় বড় দুর্নীতির ঘটনা ধামাচাপার ‘কারিগর’ ছিলেন তিনজন। তাদের ইশারায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের রক্ষা করা হতো। শুধু তাই নয়, মামলার জালে ফাঁসানো হতো সরকারবিরোধী নেতা ও ব্যবসায়ীদের। আবার তাদের বিরুদ্ধে আছে ব্যাংক-বিমা লোপাটকারী অলিগার্কদের (যারা শুধু ক্ষমতা ও অর্থের মালিকই নন, প্রচুর সম্পদের উৎসগুলোর নিয়ন্ত্রকও) ছেড়ে দিয়ে অঢেল অর্থ উপার্জনের অভিযোগও। তারা হলেন-দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক তিন চেয়ারম্যান-এম বদিউজ্জামান, সৈয়দ ইকবাল মাহমুদ ও মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লা।

টিবিএস

অর্থায়নের অভাবে চট্টগ্রামে দেশের প্রথম স্মার্ট স্কুল বাস সেবা বন্ধের মুখে

চট্টগ্রাম শহরে শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হওয়া দেশের প্রথম 'স্মার্ট স্কুল বাস' সেবা অর্থসংকটের কারণে বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় পড়েছে।

গত ১৯ মাস ধরে এই বাস সার্ভিস চট্টগ্রাম শহরের ৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য যাতায়াত সুবিধা দিয়ে আসছে। তবে প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড অর্থায়ন বন্ধ করে দেওয়ায় সেবাটির ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) যৌথভাবে এই সেবা চালু করে। বর্তমানে ১০টি ডাবল ডেকার বাসের মাধ্যমে প্রতিদিন ১০টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়া করা হয়।

কালের কণ্ঠ

বেশির ভাগ ইবতেদায়ি মাদরাসা এমপিওর যোগ্য নয়

প্রয়োজনীয় যোগ্যতার অভাবে এমপিওভুক্তির (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) জন্য আবেদন করতে পারছে না বেশির ভাগ অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা। অনুদানভুক্ত এক হাজার ৫১৯টি মাদরাসার মধ্যে সোমবার পর্যন্ত আবেদন করেছে মাত্র ১৩৭টি। গত ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এমপিওভুক্তির আবেদন গ্রহণ কার্যক্রম শেষ হচ্ছে আজ (মঙ্গলবার)। জমা দেওয়ার আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত তালিকার সারসংক্ষেপ আগামী ২০ জুলাই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।