চট্টগ্রামে ড্রোন শো, শান্তদের দেখা মিলল আকাশে
জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থান স্মরণে গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ড্রোন শো আয়োজন করা হয়েছে চট্টগ্রামে। বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে ২ হাজার ২০০ ড্রোনের মাধ্যমে মাধ্যমে জুলাই অভ্যুত্থান ও শহিদদের অবদান চিত্রিত করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জুলাইয়ের চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করে শিরোনামহীন, বে অব বেঙ্গল, র্যাপার হান্নান, এলিটা করিম, পারশা মাহজাবীন এবং আরও অনেকে।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
এছাড়া সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট ও মুরাদপুর মোড়ে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। এসময় তিনি জানান, জুলাই শহীদদের স্মরণে দেশের ৮৬৪টি স্থানে ফলক স্থাপন করা হবে। শহীদদের স্মরণে তারা যেখানে শহীদ হয়েছেন, সে স্থানে এসব ফলক হবে। শহীদদের হত্যার দ্রুত বিচারের জন্য সরকার তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে। তাড়াহুড়া করতে গিয়ে ক্যাঙ্গারু কোর্ট নয়, সময় নিয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে বিচার কার্যক্রমকে এগিয়ে নিচ্ছে সরকার।
জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে চট্টগ্রামে আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল বহদ্দারহাট ও মুরাদপুর এলাকা। সরকারি-বেসরকারি স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে চট্টগ্রামে সবচেয়ে রক্ত ঝরেছে এ এলাকাতেই। জেলার ১৫ জন শহীদের মধ্য শুধু বহদ্দারহাট ও মুরাদপুরেই প্রাণ হারিয়েছেন ওয়াসিম, শান্ত, ফারুক, তানভীর, সাইমন সহ আটজন।
এমআর/এআইএস