রাজধানীর উত্তরায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে দগ্ধ শিক্ষার্থী বাপ্পি (৯) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে। এর আগে ৯ শিক্ষার্থী ও এক কো-অর্ডিনেটর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ভোর ৫ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা.শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ভোর পাঁচটার দিকে ৯ বছরের শিশু বাপ্পি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে মারা যায়। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

এর আগে মধ্যরাতে এরিকসন, আরিয়ান, নাজিয়া এবং সায়ান ইউসুফ নামে আরও চার শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এরিকসন শরীরের ১০০ শতাংশ, আরিয়ানের শরীরের ৮৫ শতাংশ, নাজিয়ার শরীরের ৯০ শতাংশ এবং সায়ান ইউসুফের শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

এরও আগে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ, সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আফনান ফাইয়াজ, মাইলস্টোনের প্রাইমারি সেকশনের হেড কো-অর্ডিনেটর মাহেরীন চৌধুরী ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সামিনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে বিভিন্ন ওয়ার্ডে এবং আইসিইউতে ৪১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এছাড়া, ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে জুনায়েদ নামে তৃতীয় শ্রেণীর আরেক শিক্ষার্থী মারা যায়।উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাতীয় বার্ন ও ঢাকা মেডিকেল বার্ণে মোট ১০ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যুর তথ্য জানা গেছে। যদিও আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সর্বশেষ আপডেটে ২০ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে। তবে দিন গড়িয়ে রাত এসে ভোরের আলো ফোটার আগেই সংখ্যাটি দীর্ঘ হচ্ছে।

এসএএ/এমটিআই