বিভাগীয় সব শহরে ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরি স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে পুলিশ সংস্কার কমিশনে।

গত ২৩ জুলাই পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

সোমবার (২৮ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানা গেছে।

পুলিশের বিশেষায়িত সংস্থা, ইউনিট শক্তিশালীকরণ বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানো হয়, পরীক্ষামূলকভাবে ৮টি বিভাগীয় মেট্রোপলিটন এলাকায় করোনার (Coroner) নিয়োগ এবং তার অফিস স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ মহাপরিদর্শক জানান যে, ৮টি বিভাগীয় মেট্রোপলিটন এলাকায় করোনার নিয়োগ এবং পুলিশ অধিদপ্তর কর্তৃক অফিস স্থাপন সংক্রান্ত প্রস্তাবনা শিগগিরই পেশ করা হবে। পুলিশ সদর দপ্তরের প্রস্তাব পাওয়ার পর সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

করোনার হলেন একজন স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, যিনি মৃত্যুর কারণ, তারিখ, স্থান এবং পরিস্থিতি নির্ধারণের জন্য আকস্মিক, সহিংস বা অব্যক্ত মৃত্যুর তদন্ত করেন। ময়নাতদন্ত পরীক্ষার নির্দেশ দিতে পারেন, সাক্ষীর বক্তব্য এবং মেডিকেল রেকর্ডের মাধ্যমে প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারেন এবং মৃত্যুর আশেপাশের পরিস্থিতি তদন্তের জন্য তদন্ত পরিচালনা করতে পারেন। করোনারের ভূমিকা, কী ঘটেছে তা খুঁজে বের করা, দোষারোপ করা নয়। যদিও করোনার এবং মেডিকেল পরীক্ষক উভয়ই মৃত্যুর তদন্ত করেন, তাদের পদ্ধতি এবং প্রশিক্ষণ ভিন্ন।

মামলার আলামত চিহ্নিতকরণ, সংগ্রহ, পরিবহন ও সংরক্ষণের পেশাগত জ্ঞানের উন্নয়নের জন্য একটি ফরেনসিক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (এএফআইটি) প্রতিষ্ঠা; সব বিভাগের শহরের ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরি স্থাপনের সুপারিশ এবং প্রতিটি বিভাগে একটি ক্রাইম সিন ইউনিট/ব্যালাস্টিক শাখা গঠন করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করে পুলিশ সংস্কার কমিশন।

সুপারিশে বলা হয়, মামলার আলামত চিহ্নিতকরণ, সংগ্রহ, পরিবহন ও সংরক্ষণের পেশাগত জ্ঞানের উন্নয়নের জন্য একটি ফরেনসিক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা যায়। সব বিভাগীয় শহরে ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরি স্থাপনের সুপারিশ করা হয়। প্রতিটি বিভাগে একটি ক্রাইমসিন ইউনিট, ব্যালাস্টিক শাখা গঠন করা যেতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া প্রতিটি বিভাগে জাল নোট ও অন্যান্য জাল দলিলাদি শনাক্তকরণের জন্য ইউনিট গঠন করা যেতে পারে। হস্তলিপি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট শাখা এবং অটোমেটেড ডিএনএ ল্যাব থাকবে। প্রতিটি বিভাগে একটি পদচিহ্ন শাখা, একটি হস্তলিপি শাখা ও একটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট শাখা গঠন করা যেতে পারে। প্রতিটি বিভাগীয় শহরে অটোমেটেড ডিএনএ ল্যাব স্থাপন করার সুপারিশ করা হলো বলেও উল্লেখ করা হয়।

এএসএস/জেডএস