দীর্ঘ সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা, সরকারের আদেশ অমান্য করা এবং গণমাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগসহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত হলেন যুগ্মসচিব (সাময়িক বরখাস্তকৃত) ধনঞ্জয় কুমার দাস। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আলোচিত কর্মকর্তা ছিলেন তিনি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ধনঞ্জয় কুমার দাস ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডে পরিচালক পদে ন্যস্ত হওয়ার পর থেকে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন, যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ‘পলায়ন’-এর সংজ্ঞায় পড়ে।

এছাড়া, আইনগত কারণ ছাড়া সরকারের নির্দেশ অমান্য করায় ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগও তার বিরুদ্ধে আনা হয়। তদুপরি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য ও পোস্ট দেওয়ার মাধ্যমে সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার লঙ্ঘনের অভিযোগও তোলা হয়।

এ সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয় এবং তদন্ত শেষে ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’—এই দুইটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। যদিও রাষ্ট্রদ্রোহ বা ‘নাশকতা’-সংক্রান্ত অভিযোগের কোনো প্রমাণ মেলেনি।

দুই দফা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি। তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনার ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ নিয়ে তাকে গুরুদণ্ড হিসেবে ‘চাকরি থেকে বরখাস্তকরণ’ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এই বরখাস্তের আদেশ ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর ধরা হয়েছে।

এসএইচআর/এনএফ