আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল অবস্থায় আসছে, সামনে আরও উন্নতি হবে
দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একটা স্থিতিশীল অবস্থায় আসছে এবং সামনে আরও উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ সভাপতি মাসউদুল হক। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল।
বিজ্ঞাপন
প্রেস সচিব বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখছি, স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। হ্যাঁ, একটা-দুইটা হঠাৎ জঘন্য খুন দেখে অনেকে আঁতকে উঠছেন, বলছেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আমি আপনাদের বলব পরিসংখ্যান দেখেন।
শফিকুল আলম বলেন, পুলিশের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে এবং এটা আরও বাড়বে। তারা আমাদের একটা ডকুমেন্ট দিয়েছে ২১ পাতার, কী কী কাজ করেছে। আপনি গত এক বছরে পুলিশকে দেখেছেন মারণাস্ত্র ব্যবহার করতে। আগে কলোনিয়ান একটা ক্রাউড কন্ট্রোলের ল ছিল, সে অনুযায়ী করত। এখন আমরা যেটা করেছি আন্তর্জাতিকভাবে যেটা গ্রহণযোগ্য, ইউএন (জাতিসংঘ) যেটা বলে সেই কাজটা করছি।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
প্রেস সচিব বলেন, পুলিশে কাজ হচ্ছে। জুডিশিয়ারিতে যুগান্তকারী কিছু কাজ হয়েছে জাজ নিয়োগের ক্ষেত্রে। আমি বলব আপনি ফাইন্যান্স বলেন, এনবিআর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বলেন- এমন কোথাও নাই যেখানে এই সরকার গত এক বছরে কাজ করেনি।
তিনি বলেন, আমাদের বড় একটা সাফল্য স্থিতিশীলতা আনা। ভয়ংকর রকমের একটা দুর্যোগের থেকে একটা দেশকে স্থিতিশীলতায় আনা খুবই কষ্টসাধ্য একটা কাজ। এই সরকার সেটা করতে পেরেছে।
প্রেস সচিব বলেন, প্রফেসর ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার এই দেশটাকে একটা স্থিতিশীল জায়গায় নিয়ে এসেছে। মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কাছাকাছি এসেছে। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা কত বড় কষ্টসাধ্য বিষয় অনেকে এটা বুঝতে পারেন না। মূল্যস্ফীতি আটকে থাকলে তাকে নিচে নামিয়ে আনা খুবই কষ্টসাধ্য বিষয়। এই সরকার সেটা বাস্তবায়ন করতে সফল হয়েছে।
তিনি বলেন, টাকা-ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল হয়েছে। রিজার্ভ বাড়ছে। রিজার্ভ বাড়ার জন্য অবশ্যই আমরা আমাদের প্রবাসী ভাইদের ক্রেডিট দেই। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে, সেটা এটাকে (রিজার্ভ বাড়া) সাহায্য করেছে।
তিনি আরও বলেন, এনবিআরে আমরা হস্তক্ষেপ করে কিছু সংস্কার এনেছি। এনবিআরের সংস্কারের সুফল সামনে সবাই পাবেন। বিডাতে আমরা সংস্কার এনেছি, এটা সুফল আসতে শুরু করেছে। আমরা মনে করি আগামী সরকারের আমলে বিদেশ থেকে খুব ভালো বিনিয়োগ আসবে।
প্রেস সচিব বলেন, আমরা কতটুকু সফল, কতটুকু ব্যর্থ আপনারা বিচার করবেন। কিন্তু আমার মনে হয়, আমরা যে ভয়ানক রকমের একটা ভূমিকম্পে.. মানে ভূমিকম্পে যেমন একটা দেশ ছারখার হয়ে যায়, সেরকম একটা দেশকে আমরা পেয়েছি। সেই জায়গায় এই সরকার চেষ্টা করেছে, দেশটাকে আবার গ্রোথের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে। সেই জায়গায় আমি মনে করি এই অন্তর্বর্তী সরকার খুবই সফল।
তিনি বলেন, সব মন্ত্রণালয়ে কাজ হয়েছে। আমি বলব খুবই সিরিয়াস কাজ হয়েছে। বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমি মনে করি এগুলো খুবই যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এ কাজগুলো সামনে আরও সাহায্য করবে।
শফিকুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে একটা আইন ছিল, স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর থেকে বাজে ল (আইন) আসেনি। এটা ছিল বাংলাদেশের মহাচুরির বন্দোবস্তের একটা ল। একটা ল-কে সামনে রেখে এত চুরি.. আমরা রিপোর্ট করেছি লাখ কোটি টাকা চুরি হয়েছে এই একটিমাত্র ব্লক ব্যবহার করে। আমি আর আমার দুলাভাই মিলে সিদ্ধান্ত নেবো, কোথায় কে কোনটা কাজ পাবে। ল! কোনো টেন্ডার প্রসেস নেই, আইনের প্রতি মিনিমাম কোনো নজর নেই। ওই আইনটা বাতিল করা হয়েছে আমাদের দায়িত্ব নেওয়ার ১০ দিনের মাথায়। আমরা প্রতিদিন নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।
এসএইচআর/এমএ