প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

প্রথম আলো

শুল্ক কমেছে, বাংলাদেশে স্বস্তি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার পর বাংলাদেশের ওপর দেশটির আরোপ করা পাল্টা শুল্কের হার শেষ পর্যন্ত ২০ শতাংশ নির্ধারিত হয়েছে। নতুন শুল্কহার ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসের এক ঘোষণায় এ কথা বলা হয়। বাণিজ্য বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্কহার কমে প্রতিযোগীদের কাছাকাছি অবস্থানে আসার ঘটনা বাংলাদেশের জন্য স্বস্তিদায়ক।

২৯ জুলাই থেকে তিন দিনের আলোচনা ও দর-কষাকষির শেষ দিন ৩১ জুলাই এ ঘোষণার আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭০টি দেশের ওপর ১০ থেকে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা আসে।

কালবেলা

বাড়তি ব্যয় ঠেকাতে পুরোনো কৌশল

পুরোনো রীতিতে ফিরে ডলারের মূল্য ১২২ টাকা ধরে ঠিকাদারদের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার এবং সেই রেটে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়েছে নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) জলযান সংগ্রহ ও নির্মাণ প্রকল্পে এই চুক্তির বাস্তবায়ন হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার প্রকল্প ব্যয় নিয়ন্ত্রণের কৌশল হিসেবে পুরোনো এই রীতিতে ফিরে গেছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, এটি মুক্তবাজার অর্থনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

এই প্রকল্পটি ২০১৮ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন করা হয়। তখন ৮৪ টাকায় এক ডলার হতো। অর্থনীতির সার্বিক মঙ্গলের কথা বিবেচনায় অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ডলারের মূল্য নির্দিষ্ট টাকায় বেঁধে না রেখে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু এতে হুট করে প্রায় সব প্রকল্পের ব্যয় বাড়তে শুরু করে। সেই বাড়তি ব্যয় ঠেকাতে পুরোনো কৌশল অবলম্বন করেছে নতুন সরকার।

প্রথম আলো

জুলাই সনদ চূড়ান্ত হচ্ছে, আইনি ভিত্তি নিয়ে কী ভাবছে দলগুলো

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। এখন ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ চূড়ান্ত করার জন্য কাজ করছে কমিশন। তবে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া এবং বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে প্রথম ধাপের আলোচনায় যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো ইতিমধ্যে লিখিত আকারে রাজনৈতিক দলগুলোকে পাঠানো হয়েছে, দ্বিতীয় ধাপেরগুলোও শিগগিরই পাঠানো হবে। দলগুলোর পরামর্শ বা সংশোধনী নিয়ে সেগুলো সমন্বয় করে জুলাই সনদ খুব দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে। এরপর সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর সই নেওয়া হবে।

কালের কণ্ঠ

অনেক দেশের শুল্ক ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কমাল যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের ওপর আমদানি পণ্যে পাল্টা শুল্ক পুনর্নির্ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসের সর্বশেষ ঘোষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর আগে যেখানে ৩৫ শতাংশ শুল্ক ছিল, সেটি এখন কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে।

তালিকাভুক্ত প্রায় ৫০টি দেশের জন্য পূর্বের চেয়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ শুল্ক হার নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে কোনো কোনো দেশের ক্ষেত্রে শুল্ক বাড়ানোও হয়েছে।

কালের কণ্ঠ

প্রধান শিক্ষক নেই ৩৪ হাজার স্কুলে

দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৫ হাজার ৫৬৯টি। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ১০৬টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। অন্যদিকে মামলা জটিলতায় আটকে আছে প্রধান শিক্ষকের ৩১ হাজার ৪৪৯টি পদ। ফলে সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে যিনি সিনিয়র, তাঁকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে চালানো হচ্ছে স্কুল।

এতে শ্রেণিকক্ষে পড়ানো শিক্ষকের সংখ্যা কমে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। আর শিক্ষার্থীরা শিখন ঘাটতি নিয়ে শেষ করছে প্রাথমিক শিক্ষা, যার প্রভাব পড়ছে পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে।

কালের কণ্ঠ

৬০ জেলায় ডেঙ্গুর বিস্তার ১০টিতে ভয়াবহ অবস্থা

দেশের ৬০ জেলায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ছড়িয়েছে। এর মধ্যে ১০টিতে সংক্রমণের হার ৭৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে এ চিত্র পাওয়া গেছে। 

যে ১০টি জেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ সেগুলো হচ্ছে বরগুনা, ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, গাজীপুর ও কুমিল্লা।

আজকের পত্রিকা

ব্যবসায়ীকে বালুতে পুঁতে রেখে ৪ কোটি টাকা আদায়

যশোরের অভয়নগরে ব্যবসায়ীকে বালুতে পুঁতে এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৪ কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত বুধবার (৩০ জুলাই) অভয়নগর থানায় ও গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) আর্মি ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী মোছা. আসমা খাতুন। তবে থানায় অভিযোগ না নেওয়ার কথা জানান তিনি।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর নাম শাহনেওয়াজ কবীর টিপু, তিনি নওয়াপাড়ার জাফ্রিদী এন্টারপ্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। অপর দিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির (পদ স্থগিত) সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান জনি ও নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

সমকাল

মৌলিক সংস্কারের যৌগিক চিত্র

ঐকমত্যের সংলাপে ২০ মৌলিক সংস্কারের সিদ্ধান্তের আটটিতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি। বিএনপি চারটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রাজি নয়। তিনটিতে নোট অব ডিসেন্টসহ (আপত্তি) একমত হয়েছে দলটি। জামায়াতে ইসলামী একটি সিদ্ধান্তে রাজি নয়। তিনটিতে আপত্তিসহ একমত তারা। অন্যদিকে এনসিপি ১৮ সিদ্ধান্তে একমত। কিন্তু ৭ শতাংশ আসনে নারীর সরাসরি মনোয়নের সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে নবগঠিত দলটি ১৫ শতাংশ নারী প্রার্থীর প্রস্তাব করেছে। 

বিএনপি প্রস্তাব করেছিল, এক ব্যক্তি জীবনে ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকতে পারবেন না। এ সিদ্ধান্তে সব দল একমত হয়েছে। এমপিদের গোপন ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একমত হয়নি ইসলামী আন্দোলন। দলটি প্রত্যক্ষ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন চায়। বাকি দলগুলো এ প্রস্তাবে একমত। গণঅধিকার, এবি পার্টি, এলডিপি, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, নাগরিক ঐক্য, জেএসডি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি দলও সংস্কারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে রাজি হয়নি কিংবা আপত্তিসহ একমত হয়েছে। ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লেবার পার্টি, এনডিএমের অবস্থান বিএনপির মতোই। 

যুগান্তর

বিশ্বমানের আইসিইউতে দগ্ধদের চিকিৎসা জরুরি

বয়স্কদের শরীরের পাঁচ ভাগের এক ভাগ এবং শিশুদের ১০ ভাগের এক ভাগ পুড়লে বিপদের আশঙ্কা থাকে। আর আগুনে শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হলে আক্রান্ত ব্যক্তির বাঁচার আশা ক্ষীণ হয়ে পড়ে। উন্নত দেশে দগ্ধ ব্যক্তিদের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বার্ন চিকিৎসায় অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের সমন্বয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশে প্লাস্টিক সার্জনরা বার্ন চিকিৎসা দেন। এ কারণে দেশে বার্ন চিকিৎসায় আলাদা বার্ন চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফ সমন্বয়ে বিশ্বমানের অত্যাধুনিক আইসিইউ নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানান, এতে দগ্ধদের মৃত্যুহার কমবে।

বণিক বার্তা

জলাশয় ও খাল ভরাট করে তিন দশকে উত্তরায় গড়ে উঠেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসন প্রকল্প

একদিকে তুরাগ নদ আর অন্যদিকে টঙ্গী খাল। এর তীরঘেঁষা রাজধানীর বৃহৎ এলাকা উত্তরা। তিন দশক আগেও দিয়াবাড়ি, বাইলজুড়ি, ফায়দাবাদ ও কালাদিয়া খালসহ ছোট-বড় অনেক খাল প্রবাহিত ছিল এখানে। উত্তরার বড় অংশ ছিল প্লাবনভূমি। সরকারের ভুল পরিকল্পনায় একে একে ভরাট হতে থাকে খাল-বিল-প্লাবনভূমি, এমনকি নদীর অংশও। গত তিন দশকে সরকারি-বেসরকারি আবাসন প্রকল্প ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের ফলে বদলে গেছে উত্তরার ভূমির চিত্র। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সুপারিশ সত্ত্বেও প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়নি সরকার।

কালবেলা

ঘুষ খেয়ে ধরা মাদকের ১০ কর্মকর্তা

মাদকদ্রব্যের বিস্তার ঠেকাতে মাঠে নেমে নিজেদের ওপরই নিয়ন্ত্রণ হারান তারা, যাদের দায়িত্ব ছিল মাদক পাচার-কারবার ঠেকানো, সেই কর্মকর্তারাই জড়িয়ে পড়েন ঘুষ, চাঁদাবাজি, স্বর্ণ ছিনতাই ও চেক লুটের মতো অপরাধে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অন্তত ১০ কর্মকর্তা গত জুলাইয়ে বরখাস্ত হয়েছেন এসব গুরুতর অভিযোগে। কেউ নিয়েছেন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ব্যাংক চেক, কেউ বা সাজানো অভিযানে গিয়ে তুলে এনেছেন লাখ টাকা। এক কাউন্সিলরের কাছ থেকে তেল খরচ নেওয়ার পরও তার বাসায় লুটপাটে অংশ নিয়েছেন কয়েক কর্মকর্তা। এমনকি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে স্বর্ণের বার ছিনিয়ে নেওয়ার মতো অপরাধে সম্পৃক্ততাও। কেমিক্যাল (রাসায়নিক) ব্যবহারের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘুষ গ্রহণের ঘটনাও ঘটেছে।

টিবিএস

চাহিদা বাড়লেও পর্যটন ও হসপিটালিটি খাতে দক্ষ জনবলের অভাব

বাংলাদেশে পর্যটন ও হসপিটালিটি খাত দ্রুত সম্প্রসারণের পথ খোলা থাকলেও দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক দক্ষ সংশ্লিষ্ট গ্র্যাজুয়েট তৈরি হচ্ছে না। ফলে ভয়াবহ জনবল সংকটে হুমকির মুখে পড়েছে এ খাতের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের 'ন্যাশনাল ট্যুরিজম হিউম্যান ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজি' অনুযায়ী, ২০২২ সালে এই খাতে নিয়োজিত ছিল প্রায় ২৯ লাখ কর্মী। ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে ৪৩ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে—অর্থাৎ চাহিদা বাড়বে ৪৫ শতাংশ।

শিল্প-খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থায় দ্রুত সংস্কার না আনলে বাংলাদেশ এ সম্ভাবনাময় খাত থেকে সুফল পাবে না।

বিবিসি

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ইস্যুতে বিতর্ক, কী বলছেন ইসলামপন্থিরা

সম্প্রতি মালয়েশিয়া ও পাকিস্তান বাংলাদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ সামনে আনার পর আবারও আলোচনায় এসেছে এদেশে জঙ্গি তৎপরতার প্রসঙ্গটি।

পাঁচই অগাস্ট পরবর্তী সময়ে একদিকে যেমন জঙ্গিবাদের মামলায় অভিযুক্ত বহু আসামির জামিন হয়েছে, আবার অন্যদিকে সেই একই জঙ্গিবাদ ইস্যুতে নতুন করে মামলা-গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটেছে।

বণিক বার্তা

বছরে দুই লাখ গ্র্যাজুয়েট বের হলেও প্রাতিষ্ঠানিক কর্মে নেই বেশির ভাগই

দেশে প্রতি বছর কওমি ও আলিয়া ধারার মাদ্রাসা থেকে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তবে আধুনিক কারিগরি ও পেশাভিত্তিক শিক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় তাদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের সুযোগ একেবারেই সীমিত। কেবল একটি ধারায় শিক্ষা নেয়া এসব গ্র্যাজুয়েটের সিংহভাগই থাকছেন বেকার, কিংবা বাধ্য হচ্ছেন অনানুষ্ঠানিক পেশায় যুক্ত হতে। অনেকে আবার নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেই যুক্ত হচ্ছেন যৎসামান্য বেতনে।

যুগান্তর

কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছেনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। ওইসময় সারা দেশে হামলার শিকার হয় পুলিশবাহিনী। থানা, ফাঁড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ভেঙে পড়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। আওয়ামী লীগের পতনের তিন দিন পর দায়িত্ব নেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দায়িত্ব নিয়ে শুরুতেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে নবগঠিত সরকার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢেলে সাজানো হয় পুলিশবাহিনীকে। পুলিশের মনোবল ও দক্ষতা বাড়াতে নেওয়া হয় নানা উদ্যোগ। এরপর থেকে ধীরে ধীরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। দেখতে দেখতেই এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হলেও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছেনি। বরং মব ভায়োলেন্স, খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, দস্যুবৃত্তিসহ নানা অপরাধ বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। এমনকি হামলার শিকার হচ্ছে পুলিশও। ১১ মাসে (২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত) সারা দেশে নানা অপরাধের ঘটনায় ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮৮টি মামলা হয়েছে।