এক সেতুতে সংযুক্ত হবে বরিশাল-পটুয়াখালী
পান্ডব-পায়রা নদী
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ ও পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগের ব্যবস্থা হচ্ছে। এ সেতুর ফলে সরাসরি সংযুক্ত হবে জেলা দুটি। এতদিন পান্ডব-পায়রা নদীর উপর এক হাজার ৩০০ মিটারের একটি সেতুর জন্য এ দুই জেলার দুই উপজেলার সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। তবে ‘বরিশাল (দিনেরারপুল) লক্ষ্মীপাশা-দুমকি সড়ক (জেড-৮০৪৪) এর ২৭তম কি.মি. এ পান্ডব-পায়রা নদীর উপর নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে এ দুই জেলার জনসাধারণ সরাসরি এক হতে পারবে।
‘বরিশাল (দিনেরারপুল) লক্ষ্মীপাশা-দুমকি সড়ক (জেড-৮০৪৪) এর ২৭ তম কি.মি. এ পান্ডব-পায়রা নদীর উপর নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুই জেলার মানুষকে সরাসরি এক করতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব করে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ২০২৬ সালের এপ্রিলের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর। এক হাজার ৩০০ মিটারের এই সেতুটি নির্মাণ করতে খরচ হবে এক হাজার ২৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের কোষাগার থেকে ৩৮৬ কোটি এবং ৬৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা বৈদেশিক ঋণ থেকে পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞাপন
সওজ কর্মকর্তারা জানান, বরিশাল (দিনেরারপুল) লক্ষ্মীপাশা-দুমকি সড়ক (জেড-৮০৪৪) এর ২৭ তম কি.মি. এ পান্ডব-পায়রা নদীর উপর ১ হাজার ৩০০ মিটার সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ ও পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন এবং প্রকল্প সংলগ্ন এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। প্রকল্পটি ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির সুবিধার্থে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে একটি এক হাজার ৩০০ মিটার ব্রিজ নির্মাণ, কালভার্ট নির্মাণ ২৫ মিটার, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ ২৩.০৮ হেক্টর, রিভার ব্যাংক প্রটেকশন ওয়ার্কস (আরবিপিডব্লিউ) ২০০০ মিটার, এক হাজার ২২০ জনমাস পরামর্শক সেবা দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. মামুন-আল-রশীদ বলেন, প্রকল্পের আওতায় পান্ডব-পায়রা নদীর উপর ১ হাজার ৩০০ মিটার সেতু নির্মাণ করা হবে। এর ফলে বাকেরগঞ্জ ও দুমকি উপজেলার জনগণের বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা সদরের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। সেতুটি নির্মাণ হলে প্রকল্প এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থারও উন্নয়ন হবে। এজন্যই প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এসআর/এসএসএইচ