গালফ হেলথ কাউন্সিল অনুমোদিত বাংলাদেশের মেডিকেল সেন্টারগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যগামী কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় একটি স্বার্থান্বেষী মহল দুর্নীতির আশ্রয় নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে গালফ হেলথ কাউন্সিল অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারের মালিকরা এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গালফ হেলথ কাউন্সিল অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার ওনার্সের সমন্বয়কারী মেজবাহ উদ্দিন সাঈদ বলেন, উপসাগরীয় দেশগুলোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি বোর্ড আছে, যা গালফ হেলথ কাউন্সিল নামে পরিচিত। এর মধ্যে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, ওমান, বাহরাইন উল্লেখযোগ্য। তাদের প্রধান কাজ হলো, উপসাগরীয় দেশগুলো যেসব দেশ থেকে জনশক্তি আমদানি করে সেসব দেশের যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য গালফ হেলথ কাউন্সিলের সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা তাদের নির্দেশমালা অনুসারে সরাসরি এসে পরিদর্শন করে মেডিকেল সেন্টার অনুমোদন দিয়ে থাকেন। তাদের একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা আছে।

মেজবাহ উদ্দিন বলেন, গালফ হেলথ কাউন্সিল পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে ঢাকা ছাড়াও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন শহরে- (সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, বাজশাহী, বরিশাল, শেরপুর ও চাঁদপুর) নতুন নতুন মেডিকেল সেন্টার অনুমোদন দিয়েছে। যার সংখ্যা এখন প্রায় ২৬০। বর্তমানে মেডিকেল সেন্টারগুলোকে পুঁজি করে এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী ভিন্ন উপায়ে অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হিসাবে অবৈধ পথ খুঁজে বের করেছে। তারা গালফ হেলথ সেন্টারের সফটওয়্যারকে মেনুপুলেশন করে নিজের পছন্দের সেন্টারে স্লিপ তুলে অন্যদের বঞ্চিত করছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঢাকার ভেতরে অনুমোদনবিহীন মেডিকেল সেন্টার স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে প্রতারণার মাধ্যমে নির্ধারিত ফি এর ৩ থেকে ৪ গুন অর্থ সংগ্রহ করছে এবং ঢাকার বাইরের অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার থেকে স্বাস্থ্য সার্টিফিকেট ইস্যু করছে, যা গালফ হেলথ কাউন্সিল নীতিমালা ও বাংলাদেশের প্রচলিত আইনেরও পরিপন্থী। এদের মধ্যে কেউ কেউ শুধু অর্থের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করেও স্বাস্থ্য সাটিফিকেট প্রদান করছে। কিন্তু প্রবাসে গেলে যখন পুনরায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় তখন অনেকে স্বাস্থ্যগতভাবে অযোগ্য হয়ে দেশে ফিরে আসছেন। এই ধরনের কাজের কারণে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

ওএফএ/এমএসএ