চট্টগ্রামে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে ১০ লাখ গাছ রোপণের ঘোষণা দিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। 

শনিবার (৯ আগস্ট) নগরের বাকলিয়া থানার কল্পলোক আবাসিক এলাকায় বৃক্ষরোপণ অভিযানে এ ঘোষণা দেন মেয়র।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র বলেন, নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডকে সবুজায়নের মাধ্যমে সৌন্দর্যমণ্ডিত করার কাজ শুরু হয়েছে। চসিকের অর্থায়নের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকেও কাজে লাগানো হচ্ছে সবুজায়নে। চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পাহাড়ি অঞ্চলগুলোর জন্য পরিচিত। তাই এখানে গাছের গুরুত্ব আরও বেশি। শহরের দ্রুত বৃদ্ধির সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার গাছপালা শুধু পরিবেশের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না, তা ভূমি ক্ষয়রোধ, বন্যা ও ভূমিধস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে নগরীর আশপাশের বনভূমি ও সবুজ অঞ্চলগুলো রক্ষা করা, নদী ও সমুদ্রের তীরবর্তী এলাকায় গাছ রোপণ করা, এসব উদ্যোগ চট্টগ্রামের পরিবেশ ও বাসযোগ্যতা উন্নত করতে সহায়তা করবে। গাছ কেবল পরিবেশের শোভা নয়। এটি শহরের জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং নিঃসন্দেহে চট্টগ্রামকে আরও সবুজ, নিরাপদ এবং বাসযোগ্য করে তোলে।

মেয়র বলেন, আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করতে হবে, তাই বন উজাড়, পাহাড় কাটা এবং গাছ কাটা থেকে বিরত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের কর্মকাণ্ড রোধে শক্তিশালী আইন প্রণয়ন এবং তার কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি। উদাহরণস্বরূপ- কানাডার টরন্টো শহরে অনুমতি ছাড়া গাছ কাটলে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। আমাদের দেশেও এমন শাস্তির বিধান থাকা প্রয়োজন, যাতে পরিবেশের ক্ষতি কমানো যায় এবং প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শক্তিশালী হয়।

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামাল হোসাইনের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম, আবদুর রহমান, মুমিনুল হক ও এস এম কায়সার।

এমআর/জেডএস