প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

প্রথম আলো

শুধু জাপানি ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ, বাড়তি ব্যয়ের আশঙ্কা

ঢাকার মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-১ নির্মাণের একটি প্যাকেজে জাপানের বাইরে ঠিকাদার থাকবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, প্রকল্পের একটি অংশের (প্যাকেজ-৮) দরপত্রে অংশ নেওয়া চীনা ঠিকাদারকে অযৌক্তিক শর্ত দিয়ে বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এতে প্রতিযোগিতা সীমিত হয়ে ব্যয় বেড়ে যেতে পারে।

বণিক বার্তা

ট্রেড ও সার্ভিসে বড় ঘাটতি শক্তি কেবল রেমিট্যান্স

গত অর্থবছরে আমদানির তুলনায় বড় প্রবৃদ্ধি পেয়েছে রফতানি খাত। কিন্তু রফতানির এ উচ্চপ্রবৃদ্ধিও বাণিজ্য ঘাটতি তেমন কমাতে পারেনি। অন্যদিকে আয়ের তুলনায় দেশের সার্ভিস বা সেবা খাতের ব্যয়ও ক্রমাগত বাড়ছে। এতে বাড়ছে সেবা খাতের ঘাটতির আকারও। বৈদেশিক লেনদেনের এ দুই ঘাটতির বিরূপ প্রভাব পড়ছে দেশের বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অব পেমেন্ট বা বিওপি)।

সমকাল

নির্বাচনের আগেই সংস্কার বাস্তবায়ন

আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগেই বাস্তবায়ন হবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’। বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কারগুলো ভোটের আগেই কার্যকর করবে সরকার। অঙ্গীকারনামায় এ শর্ত রেখে সনদের খসড়া করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান আইন, আদালতের রায়ের ওপর প্রাধান্য পাবে সনদ। সংবিধানের মতো সনদেরও ব্যাখ্যা দেওয়ার এখতিয়ার থাকবে সুপ্রিম কোর্টের।  সনদের কোনো বাক্য, শব্দ সংবিধান-আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে, সনদ প্রাধান্য পাবে। 

যুগান্তর

৭ জেলা ও ২ মহানগরে নাশকতার আশঙ্কা

১৫ আগস্ট ঘিরে সাত জেলা এবং দুই মেট্রোপলিটন এলাকায় নাশকতার আশঙ্কা করেছেন গোয়েন্দারা। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে সরকারের উচ্চপর্যায়ে। প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরেও। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যাপক নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরই অংশ হিসাবে বুধবার বিকালে পুলিশ সদর দপ্তরে বিশেষ সভা হয়। আইজিপি বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পুলিশ সদর দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনলাইনে যুক্ত ছিলেন সাত জেলার এসপি, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং সব রেঞ্জের ডিআইজি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার সভায় যুক্ত না হলেও তার পক্ষে ছিলেন একজন অতিরিক্ত কমিশনার। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

কালের কণ্ঠ

কিশোর গ্যাং বেপরোয়া

রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে কিশোর অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ঢাকার কাছের শিল্পনগরী গাজীপুরে গড়ে উঠেছে কিশোর অপরাধীদের কমপক্ষে ৩০টি চক্র। চট্টগ্রামে ‘বড় ভাই’ পরিবর্তন করে সংগঠিত হচ্ছে এই অপরাধীরা। পর্যটন শহর কক্সবাজারে শতাধিক চক্রের বেশির ভাগ সদস্যই রোহিঙ্গা।

সমকাল

চট্টগ্রাম বন্দরে বিপজ্জনক ৩৫৭ কনটেইনার

দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর রয়েছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঝুঁকিতে। তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকার ঝুঁকিতে একটি কনটেইনার শনাক্ত হলেও বন্দরের অভ্যন্তরে এখনও রয়ে গেছে এমন আরও ১২টি। তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকা এই কনটেইনারগুলো এখনও সরানো হয়নি ইয়ার্ড থেকে। শুধু তাই নয়, বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে থাকা ৩৫৭ কনটেইনারে সালফিউরিক এসিড, সোডিয়াম ও পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইডের মতো বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থও রয়েছে। 

কালের কণ্ঠ

হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ চীনের

হাসপাতাল নির্মাণসহ বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে বড় বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে চীন। ইতিমধ্যে চীনের সহায়তায় রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) চালু হয়েছে আধুনিক রোবটিক ফিজিওথেরাপি সেন্টার। এর বাইরে নীলফামারী, চট্টগ্রাম ও ধামরাইয়ে চলছে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সংস্কার ও আধুনিকায়নে অর্থ দেবে চীন।

যুগান্তর

অপশক্তি রোধে জাতীয় ঐক্য জরুরি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্রের নানা সমীকরণ ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে-এমন ঘোষণার পর অপশক্তিগুলো নির্বাচন বানচাল করতে চতুর্মুখী অপতৎপরতা শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠী এবং পতিত আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা নাশকতা সৃষ্টিসহ পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির মতো ক্ষেত্র তৈরির অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সমাজের বিভিন্ন সেক্টরে ছদ্মবেশে থাকা পতিত আওয়ামী লীগের দোসররা সক্রিয় রয়েছে।

প্রথম আলো

পাথর তোলায় রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য, পরে লুট, ঘটল কীভাবে

বড় পাথর, মাঝারি পাথর, ছোট পাথর। তার মধ্য দিয়ে পাহাড় থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ জলধারা। সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রের সেটাই ছিল আকর্ষণ। পর্যটকেরা গিয়ে পাথরের ওপর বসতেন, ছবি তুলতেন।

অবশ্য এখন তা অতীত। চার মাস ধরে লুট করা হয়েছে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রের পাথর। এই লুটের কথা সবাই জানত। কারণ, দিনদুপুরে চলেছে লুটপাট। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন কিছু কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তা জোরালো ছিল না। ফলে পাথর লুট ঠেকানো যায়নি।

বণিক বার্তা

মেট্রোর নির্মাণ ব্যয় নিয়ে জাইকার সঙ্গে দর কষাকষিতে সরকার

ঢাকায় বর্তমানে আরো দুটি মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্প চলমান। এগুলোর জন্য সরকার ব্যয় প্রাক্কলন করেছে ৯৩ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা। এখন চলছে দরপত্র যাচাই-বাছাই ও মূল্যায়নের কাজ। তবে ঋণদাতা জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) বেঁধে দেয়া শর্তের কারণে কেবল জাপানি প্রতিষ্ঠান কিংবা জয়েন্ট ভেঞ্চারই দরপত্রে অংশ নিতে পেরেছে। শুধু তাই নয়, দর প্রস্তাব বেশি হলে তা কমানোর জন্য দ্বিতীয়বার দরপত্র আহ্বানেরও সুযোগ রাখা হয়নি। এ সুযোগে জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো যে দর প্রস্তাব করেছে, তা বিশ্লেষণ করে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কর্মকর্তারা বলছেন, মেট্রোরেল দুটি নির্মাণে ব্যয় দাঁড়াতে পারে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা, যা সরকারের প্রাক্কলনের প্রায় দ্বিগুণ।

ইত্তেফাক

রাজধানীর সড়কে খানাখন্দ গর্তে পানি, দুর্ভোগ

কোথাও সড়কের ঢালাই ভেঙে লোহার রড বেরিয়ে আছে, কোথাও ভেঙে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সেই গর্তে পানি জমে চলাচলে ঝুঁকি তৈরি করছে। রাজধানীর প্রধান ও অলিগলির অনেক সড়কেই এখন এমন ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। শুধু সড়ক নয়, রাজধানীর ওভারব্রিজগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে স্কেলেটরগুলো নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে। সেগুলো মেরামত না করায় হকাররা সেখানের দামি যন্ত্রাংশও খুলে নিয়ে যাচ্ছে। রাজধানীর এয়ারপোর্ট ওভারব্রিজে এমন চিত্র দেখা গেছে। এমন বেহাল অবস্থায় সড়ক ও নাগরিক সেবা চললেও উদাসীন দেখা যাচ্ছে নগর কর্তৃপক্ষকে। সড়ক সংস্কারে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে দুই সিটি করপোরেশনের কর্তৃপক্ষকে বেশির ভাগ সময় আন্দোলন ঠেকানো ও রাজনৈতিক প্রোগ্রামে সময় কাটাতে দেখা গেছে।

টিবিএস

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর: জনপ্রশাসন এখনও দুর্বল অবস্থায়

চলতি আগস্টের শুরুর দিকে এক অনুষ্ঠানে শ্রম ও নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন,  'আমি আগে জানতাম না যে ব্যুরোক্রেটিক প্যাচ কাকে বলে।' মাত্র দু'দিন পরেই অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ খোলাখুলি স্বীকার করেন, 'প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা ঠিকমতো রেকটিফাই করতে পারিনি। আর মানুষগুলোকে (কর্মকর্তারা) আমরা ঠিক করতে পারিনি। আমাদের সাথে তারা সমান তালে চলে না। অনেকে ইচ্ছে করে চলে না, অনেকে পারে না।'

বিবিসি

প্রতি মাসেই খুনের ঘটনা বেড়েছে, কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার

বাংলাদেশে গত বছর অগাস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এক বছর পার হলেও অপরাধ কিংবা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি সরকার। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো কেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না- সেই প্রশ্ন গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় আসছে।

সম্প্রতি সমালোচনার মুখে সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করে দাবি করা হয়েছে যে 'চলতি বছর বড় ধরনের অপরাধের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য বেড়েছে-এই দাবি সঠিক নয়। এ ধরনের অপরাধের প্রবণতা স্থিতিশীল আছে'।