৪ ধরনের অপরাধ বেশি, চ্যালেঞ্জ ‘মব’ নিয়ন্ত্রণ
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
বিজ্ঞাপন
৪ ধরনের অপরাধ বেশি, চ্যালেঞ্জ ‘মব’ নিয়ন্ত্রণ
খুন, ডাকাতি, অপহরণ এবং ধর্ষণ—গত এক বছরে এই চার ধরনের অপরাধের মামলা আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে। এর মধ্যে পুরোনো খুনের অনেকগুলো ঘটনায় গত ১২ মাসে মামলা হয়েছে। তবে গত এক বছরে ছিনতাই ও দস্যুতা, চুরি ও চোরাচালানের মামলা আগের বছরের তুলনায় কমেছে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ সদর দপ্তরের আট ধরনের অপরাধের ঘটনায় হওয়া মামলার তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জুলাইয়ের এই মামলাগুলো থেকে অপরাধ পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেকটা ধারণা পাওয়া যায়। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পুলিশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় গত বছরের শুরুর দিকে অনেক ঘটনায় মামলা হয়নি। তাই কোনো কোনো অপরাধের ঘটনা পরিসংখ্যানের চেয়ে বেশি হবে বলে মনে করছেন অপরাধ বিশ্লেষকেরা।
বণিক বার্তা
কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোয় ওষুধের ঘাটতি
বর্তমানে দেশে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এ ক্লিনিকগুলো স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য ছিল তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা ও বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে দেয়া। সাধারণত বছরে তিন মাস পর পর প্রতিটি ক্লিনিকে ওষুধ সরবরাহ করা হতো। তবে বিগত নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে সরকারের পক্ষ থেকে ক্লিনিকগুলোয় পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ করা হয়নি। কিছু ক্লিনিকে ওষুধ সরবরাহ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। যে কারণে এসব ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা রোগীদের প্রয়োজন অনুসারে ওষুধ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে বিপাকে পড়েছে এসব ক্লিনিকের ওপর নির্ভরশীল নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
আজকের পত্রিকা
মৌলভীবাজারের সিলিকা বালু লুট হচ্ছে নির্বিচারে
মৌলভীবাজারের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে নদী আর ছড়া। এ জেলায় রয়েছে কয়েক শ ছড়া। কিন্তু সিলিকা বালু লুটের কারণে এসব ছড়া শ্রীহীন হয়ে পড়ছে। বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। এখানকার অর্ধশতাধিক ছড়া থেকে রাতের আঁধারে একটি মহল বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে; কিন্তু তা ঠেকানোর দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। প্রশাসন অনেকটা নীরব ভূমিকা পালন করছে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ জেলায় সিলিকা বালুর কোয়ারির তালিকায় রয়েছে ৫২টি ছড়া। এর মধ্যে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর অনুমোদিত ৩৩টি সিলিকা বালু কোয়ারি রয়েছে।
বণিক বার্তা
এক বছরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) বলা হয় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে রেখে আসছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ, শিক্ষকদের বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতি ও দলীয় লেজুড়বৃত্তিতে ভারাক্রান্ত। শিক্ষকদের বড় অংশই একাডেমিক কার্যক্রমের চেয়ে রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য আর পদপদবি দখলেই বেশি ব্যস্ত। গত দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণার মানে হয়েছে অনেক বেশি অবনমিত। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন র্যাংকিংয়ে তাই পিছিয়ে পড়ে প্রাচীনতম উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি। তবে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে এ অবস্থার পরিবর্তন হবে—এমন আকাঙ্ক্ষা ছিল সবার। অথচ গত এক বছরে শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে নেই দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি।
কালের কণ্ঠ
চীনে চিকিৎসায় ‘সন্তুষ্ট’ রোগী
দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিদের সবচেয়ে স্বস্তির গন্তব্য ছিল ভারত। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের পর প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে পুরনো সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়, যার প্রভাবে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করে দেশটি। এমন পরিস্থিতিতে চীনের কুনমিংয়ের চারটি হাসপাতালকে বাংলাদেশিদের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছে সে দেশের সরকার। সেখানে চিকিৎসা সুবিধা দেখতে গত ১০ মার্চ বাংলাদেশি রোগীদের প্রথম দল কুনমিং যায়।
আজকের পত্রিকা
সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান: ভারতীয় দুই কোম্পানির ব্যাংক গ্যারান্টি প্রত্যাহার করল বাংলাদেশ
ভারতীয় দুই জ্বালানি কোম্পানির পারফরম্যান্স ব্যাংক গ্যারান্টি প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। ভারতীয় কোম্পানি দুটি হলো ওএনজিসি ভিদেশ (ওভিএল) এবং অয়েল ইন্ডিয়া (ওআইএল)। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানির ব্যাংক গ্যারান্টি প্রত্যাহারের ঘটনা ঘটল। এই দুটি কোম্পানি বাংলাদেশের দুটি অফশোর তেল ও গ্যাস ব্লকে কাজ করছিল।
কালের কণ্ঠ
অন্তরালে জোট নিয়ে দৌড়ঝাঁপ
দেশ এখন নির্বাচনমুখী। রাজনৈতিক দলগুলো যার যার মতো ভোটের মাঠ দাপিয়ে বোড়চ্ছে। তারা ধরনা দিচ্ছে ভোটারদের কাছে। এরই মধ্যে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নানা শর্ত জুড়ে দিয়েছে দুই-একটি দল।
আজকের পত্রিকা
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে উঠেপড়ে লেগেছে পাকিস্তান, আসছেন ৩ মন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের পাঁচ দশকের কূটনৈতিক সম্পর্ক বরাবরই চড়াই-উতরাইয়ের। এর মধ্যে ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে এ সম্পর্ক টিকে ছিল সুতোর ওপর। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে তিনি ভারতে আশ্রয় নিলে দেশটির চিরবৈরী পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে গতি আনতে সক্রিয় হয়। এর অংশ হিসেবে পাকিস্তানের দুজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে ঢাকা সফরের কথা রয়েছে। এরপর শিগগিরই আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী আসতে চান, এমনটা জানিয়ে রেখেছে দেশটি।
প্রথম আলো
মৃত ব্যবসায়ীর বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠান চার বছর ধরে পাচ্ছে ১৪০০ এলপিজি
স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি (এসএওসিএল) থেকে এলপিজি কিনে ব্যবসা করতেন ফরিদুল আলম। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পুরোনো বাসস্টেশন এলাকায় তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বস অ্যান্ড কোং। ২০২০ সালের ৪ মার্চ এই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। এরপর প্রতিষ্ঠানটি সিলিন্ডার বিক্রিই বন্ধ করে দেয়। কেউ গ্যাস সিলিন্ডার নিতে এসএওসিএলে যাননি। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির নামে ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ সিলিন্ডার খালাস হয়েছে।
বণিক বার্তা
সংস্কারহীন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত পরবর্তী সরকারের জন্য হবে বড় বোঝা
কয়লাভিত্তিক ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির আরো একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়। রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল) ও নরিনকো পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এ কেন্দ্র মিলিয়ে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার মেগাওয়াটে। অথচ বিদ্যুতের পিক আওয়ারেও এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ চাহিদা তৈরি হয়েছে ১৬ হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের কিছু বেশি। চাহিদার এ হিসাব ধরলেও অন্তত ১০ হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার কেন্দ্র বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ না নিয়েও সরকারকে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ক্যাপাসিটি চার্জ।
সমকাল
৫২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে বাপেক্সকে
গ্যাসকূপ খনন প্রকল্প নিয়ে বিদেশি কোম্পানির করা মামলায় প্রাথমিকভাবে ৫২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের মুখে পড়েছে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বাপেক্সকে। তিনটি গ্যাসকূপ খনন করতে ২০১৭ সালে আজারবাইজানের কোম্পানি সকারের সঙ্গে ৩৯৯ কোটি টাকার চুক্তি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। চুক্তি ভঙ্গসহ কয়েকটি অভিযোগ এনে বাপেক্সের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তি আদালতে মামলা করে আংশিক রায়ও পায় তারা। বাপেক্স এখন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে।