ডিএনসিসির ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানের নামে কফিশপে ভাঙচুরের অভিযোগ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলীর অভিযানে অনুসন্ধানী সাংবাদিক মুনজুরুল করিমের কফিশপ ‘ওরোমো’-তে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে গুলশান-২ এর ল্যান্ডমার্ক সেন্টারের ওই কফিশপে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
এব্যাপারে তালাশ খ্যাত অনুসন্ধানী সাংবাদিক মুনজুরুল করিম বলেন, দীর্ঘ ছয় বছর ধরে তিন পার্টনার মিলে খুব সুনামের সঙ্গে কফিশপটি চালাচ্ছি। এটি ল্যান্ডমার্ক সেন্টারের ১ নম্বর দোকানে অবস্থিত, আর দোকানের মালিকও এই ব্যবসার অংশীদার।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওরোমোর আশপাশে অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান থাকা সত্ত্বেও সেগুলো উচ্ছেদ না করে বৈধ দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, কিছু সরঞ্জাম জব্দ করেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হয়ত কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থে প্রতিশোধ নেওয়া হলো কি না, সেটি খতিয়ে দেখছি।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, গুলশান-২ এ রংপুর চায়ের দোকান আর বার্গার কিংয়ের গলিটা গুলশানের গুলিস্তান। ফুটপাত থেকে শুরু করে রাস্তা পর্যন্ত দখলে চলে গেছে, অথচ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোনো নজর নেই। কিন্তু আজ সব নিয়মকানুন মেনে ব্যবসা করা একটি কফিশপে অভিযান চালানো হলো। যারা রাস্তা আর ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছে তাদের দিকে ফিরেও তাকালো না।
এমন ঘটনার পেছনে ব্যক্তিগত স্বার্থ বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কার স্বার্থে? নাকি কোনো চাওয়া আছে? আমরা তা জানার চেষ্টা করছি।
কফিশপের আরেক পার্টনার ও পজিশনের মালিক আসলাম বিশ্বাস বলেন, দুই যুগ ধরে মার্কেটের পজিশন কিনে বৈধভাবে ব্যবসা করছি। দোকানটি অবৈধ নয়, আবার ফুটপাতেও নয়। তবুও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী পূর্ব নোটিশ ছাড়াই অভিযানের নামে দোকান ভাঙচুর করেন।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী সাংবাদিকদের জানান, এটি সিটি কর্পোরেশনের নিয়মিত উচ্ছেদ কার্যক্রমের অংশ। আমরা শুধু ওরোমোতে অভিযান চালাইনি গুলশানে ফুটপাতসহ অনেক জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। তিনি ফুটপাতে কিছু মালামাল রেখেছিলেন। শুধু সেই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়েছে বিষয়টি এমন নয়। তাদের কোনো অভিযোগ থাকলে সিটি কর্পোরেশনে এসে অভিযোগ দিতে বলেন।
ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কফিশপের আরেক পার্টনার ও পজিশনের মালিক আসলাম বিশ্বাস জানান, দোকানের সামনের পুরো ফুটপাত সিটি কর্পোরেশনের জায়গা নয়, অধিকাংশই মার্কেটের নিজস্ব জায়গা। সেই অংশেই দোকানের মালামাল ও সেড করা হয়েছে। এর আগেও সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে ভুলবোঝাবুঝি হয়েছিল, যা পরে সমাধান হয়। কিন্তু আজকের ঘটনা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়মবহির্ভূত।
জেইউ/এমএন