শিক্ষক সারোয়ার হোসেন-আসিফ মাহতাবকে হুমকিদাতার গ্রেপ্তার দাবি
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন ও আসিফ মাহতাব উৎসকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইন্তিফাদা বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন। একইসঙ্গে হুমকিদাতাকে গ্রেপ্তার করাসহ ৪ দফা দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে— অবিলম্বে হুমকিদাতাকে গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনতে হবে; হুমকিদাতার পক্ষ নেওয়া সংগঠন ও ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে; ভিক্টিম শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং এলজিবিটি নরমালাইজেশনের যেকোনো প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে ইন্তিফাদার সদস্য ড. মোহাম্মদ সরোয়ার বলেন, সম্প্রতি সাফওয়ান চৌধুরী বেবিল নামের একজন এলজিবিটি অ্যাক্টিভিস্ট সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন ‘কিল পাবলিক ফিগারস, হু আর অ্যাগেইনস্ট ইউর রাইটস’। শুধু তাই নয়, তিনি দুইজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার ও আসিফ মাহতাব উৎসর মাথা দ্বিখণ্ডিত করে ফুটবল খেলার চিত্র প্রকাশ করেন। এটি সরাসরি হত্যার ডাক, নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে টার্গেট করা ও ভীতি সৃষ্টির উদ্দেশে ভয়াবহ ভিজ্যুয়াল ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকি।
তিনি বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড দণ্ডবিধি ৫০৬, ৫০৫, ১০৭ ধারা ও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী গুরুতর অপরাধ। অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো হুমকিদাতাকে গ্রেপ্তার করেনি কিংবা ভিক্টিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনি।
ড. মোহাম্মদ সরোয়ার আরও বলেন, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন, ছাত্র ইউনিয়ন, গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট ও গণসংহতি আন্দোলনের কিছু নেতা প্রকাশ্যে হুমকিদাতার সাফাই গেয়েছেন। এমনকি ১৬২ জন কথিত নাগরিক বিবৃতি দিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষকদেরকেই ক্ষমা চাইতে বলেছেন। এটি কাঠামোগত ইসলাম-বিদ্বেষ ও এলজিবিটি অ্যাজেন্ডা নরমালাইজেশনের অংশ।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, হুমকির বিষয়ে শিক্ষক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার উত্তরা পশ্চিম থানা ও শিক্ষক আসিফ মাহতার উৎস ভাটারা থানায় জিডি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন লেখক ও গবেষক আসিফ আদনান, ইন্তিফাদা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মেহেদী হাসান, সদস্য আহমেদ রফিক, শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস প্রমুখ।
এমএইচএন/এসএসএইচ