তৈরি পোশাক শিল্পে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ
শ্রমিক ও কর্মচারীদের করোনাকালে ভাতা দিয়ে তৈরি পোশাক শিল্পের উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য সরকার সহজ শর্তে ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার কোভিড সংক্রমণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানের জন্য স্বল্প সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে রফতানিমুখী খাতগুলোর জন্য ৩৩ হাজার কোটি টাকার সহজশর্তে ঋণ দিতে তহবিল গঠন করেছে।
তিনি বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পে দেওয়ার ঋণের সুদ পরিশোধের শর্ত সহজ করা হয়েছে। রফতানিমুখী দেশীয় বস্ত্রখাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা ৪ শতাংশ হারে দেওয়া হচ্ছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পেও ৪ শতাংশ হারে অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী বলেন, আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য ছাড়া নতুন বাজার সম্প্রসারণে ৪ শতাংশ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ইউরো অঞ্চলে রফতানিতে বিদ্যমান ৪ শতাংশের অতিরিক্ত ২ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও তৈরি পোশাক খাতে ১ শতাংশ হারে বিশেষ নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, রফতানি পণ্যের কাঁচামাল ক্রয়ে ইডিএফ তহবিলের আকার ৫.৫ বিলিয়ন ডলারে বাড়ানো হয়েছে। করোনার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বায়ারদের বাতিল করা ক্রয়াদেশ পুর্নবহালের নেগোসিয়েশন অব্যাহত রাখা হয়েছে।
বগুড়া-৬ আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে রফতানির পরিমাণ ৩৯ হাজার ৭৫৫ দশমিক ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই সময়ে আমদানি ব্যয় ৫৫ হাজার ৬৩৪ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এতে বাণিজ্য ঘাটতি ১৫ হাজার ৮৭৯ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এইউএ/জেডএস