একাধিক ব্যাংকের ঋণ আত্মসাৎকারী শহিদুল গ্রেফতার
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) লিমিটেড থেকে ২০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন মাদারীপুরের শহিদুল ইসলাম হাওলাদার। কিন্তু সেই ঋণ পরিশোধ না করে আত্মসাতের উদ্দেশে আত্মগোপন করেন। সেই আসামিকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
সিআইডি বলছে, ওই ঘটনায় প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। মামলায় আদালত এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১৫ কোটি টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। একই আসামির বিরুদ্ধে অপর মামলায় এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ কোটি টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১৫ জুন) রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডি’র ঢাকা মেট্রো অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, গ্রেফতার শহিদুল ইসলাম হাওলাদার মাদারীপুর কালকিনী থানার মোর্শেদাবাগের পশ্চিম কমলাপুরের মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে। তিনি ভাটারা থানার ৪৯/১ প্রগতি সরণি, বারিধারার মেসার্স হাওলাদার কারস এর সত্ত্বাধিকারী।
বিজ্ঞাপন
তিনি ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেন। কিন্তু তা পরিশোধ না করে দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে সিআইডি তদন্ত শুরু করে। পরে তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করে।
সিআইডি’র এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের নেতৃত্বে এই অর্থ ঋণ জালিয়াতির মূল হোতা শহিদুল ইসলাম হাওলাদারকে সোমবার (১৪ জুন) পুরানা পল্টন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
শেখ ওমর ফারুক বলেন, গ্রেফতার শহিদুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঋণের অর্থ আত্মসাৎ করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। অর্থ আত্মসাতের পর আসামির চির পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। শহিদুলকে গ্রেফতারের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ইস্যু করা দুইটি গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল হলো।
জেইউ/এমএইচএস