প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশ সুরক্ষায় উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো), বাংলাদেশ যৌথভাবে ‘প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা’ প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচিত উদ্যোক্তারা পাবেন মোট ৫৪ লাখ টাকা পুরস্কার।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁও পর্যটন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মুসফিকুর রহমান।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সৈয়দ শাহজাহান আহমেদ, জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইউনিডো, বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. জাকিউজ্জামান এবং বিশেষজ্ঞ মো. মাহবুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দিয়েছেন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজিম হাসান সাত্তার।

প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে নারী, শিক্ষার্থী, গবেষক, বেসরকারি সংস্থা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতের উদ্যোক্তাদের প্রাধান্য দিয়ে ২৫ জন নির্বাচিত হবে, যাদের প্রত্যেককে দেওয়া হবে এক লাখ টাকা। এরপর মেন্টরশিপ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৭ জনকে আরও দুই লাখ টাকা করে এবং চূড়ান্ত নির্বাচিত ৫ জনকে তিন লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে হবে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মুসফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার বৃদ্ধি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার অভাবে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিশ্বব্যাংকের ২০২০ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বছরে উৎপন্ন ৯ লাখ ৭৭ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্যের মাত্র ৩১ ভাগ পুনর্ব্যবহার হয়। শুধু ঢাকায় প্রতিদিন ৬৪৬ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়, যার ৩৭ শতাংশই পুনর্ব্যবহার হয়। জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক ব্যবহারের অর্ধেক কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশের অর্থনীতিকে শিল্পভিত্তিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বাড়ানো, প্রযুক্তি উন্নয়ন, উৎপাদনশীলতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান প্রায় ৩০ শতাংশ, যেখানে প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ শিল্প প্রতিষ্ঠানের ৯৯ শতাংশই ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা।

এসআই/বিআরইউ